ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে হতাশা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও পরাজিত হয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শনিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল।
এদিন শুরুটা দেখে শুনেই করেছিলেন বাংলাদেশি ওপেনাররা। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। মুর্শিদা খাতুন (১২ বলে ১৩), দিলারা আক্তার (১৬ বলে ২১), শারমিন আক্তার (৬), তাজ নেহার (১০) ও লতা মন্ডল (৫) রান করে ফিরেছেন।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি একপ্রান্ত ধরে রাখলেও ৪৩ বলে ৩৩ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন, যা দলের সংগ্রহকে বড় করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১০৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে জ্যানেলিয়া গ্লাসগো ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া জেইদা জেমস, অ্যাশমেনি মুনিসার ও অ্যাফি ফ্লেচার ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
ছোট লক্ষ্য হলেও বাংলাদেশের স্পিনাররা শুরুতে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন। দলীয় ২৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। সুলতানা খাতুন ৭ রানে নেরিসা ক্র্যাপ্টনকে বোল্ড করেন এবং ফাহিমা খাতুনের বলে ১০ রান করা ওপেনার জেনাবা জোসেফও আউট হন।
কিন্তু লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ক্যারিবীয়দের ছোট ছোট জুটিই জয় নিশ্চিত করতে যথেষ্ট ছিল। ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দিয়েন্দ্রা দোটিন ১০, গ্লাসগো ২৫, সাবিকা গজনবি ২৭ ও জেইদা জেমস ১৪ রান করে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন ও ফাহিমা খাতুন ২টি করে এবং রাবেয়া খান ১টি উইকেট নেন।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় তারা। শুধু একটি ম্যাচ জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে একেবারেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি জ্যোতির দল।
এ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস অসুস্থতার কারণে খেলেননি। তার জায়গায় কারিশমা রামহারাক দলকে নেতৃত্ব দেন। তবে অধিনায়ক বদল হলেও ম্যাচের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বাংলাদেশ নারী দলের জন্য এই সিরিজ ছিল নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা পরখ করার একটি বড় মঞ্চ। ওয়ানডেতে কিছুটা লড়াই করলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দল একেবারেই প্রতিযোগিতা গড়ে তুলতে পারেনি। ব্যাটিং লাইনআপের দুর্বলতা ও অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ নারী দলের সামনে এখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিরিজ ও টুর্নামেন্ট রয়েছে। এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসাই হবে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন