logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
সৌরশক্তিতে চলবে বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিদ্যুৎ বিলের চিন্তা শেষ
পুরোনো ফোন বিক্রির আগে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা আপনাকে বিপদে পড়তে দেবে না
বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এটি শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং অনলাইন পেমেন্ট, কাজের উপকরণ, ছবি ও ভিডিও ধারণ করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। তাই পুরোনো ফোন বিক্রি করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। না হলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে, যা আপনাকে নানা সমস্যায় ফেলতে পারে। এখানে পুরোনো ফোন বিক্রির আগে যেসব কাজ আপনাকে অবশ্যই করতে হবে ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলুন ফোন বিক্রি করার আগে প্রথমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। ফোনে থাকা সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যেমন ছবি, ভিডিও, মেসেজ, নথি, এবং ফোন নম্বরগুলো ক্লাউড স্টোরেজ বা অন্য ডিভাইসে ব্যাকআপ নিন। গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি সহজেই গুগল ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখতে পারেন। ফ্যাক্টরি রিসেট করুন ব্যাকআপ নেওয়ার পর ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করুন। এটি আপনার ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে 'সেটিংস > সিস্টেম > রিসেট > ফ্যাক্টরি রিসেট' অপশনে গিয়ে এবং আইফোনে 'সেটিংস > জেনারেল > রিসেট > ইরেজ অন কনটেন্ট অ্যান্ড সেটিংস' অপশনে গিয়ে ফ্যাক্টরি রিসেট করা যেতে পারে। অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করুন এবং লিংক মুছে ফেলুন যেসব অ্যাপে আপনি লগ ইন করেছেন (যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, পে-অ্যাপ ইত্যাদি), সেগুলো থেকে সাইন আউট করুন। ফোনে থাকা গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক অথবা ই-মেইল অ্যাকাউন্টগুলো থেকেও অবশ্যই লগ আউট করুন। এমনকি, কোনো অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত লিংকগুলোও মুছে ফেলুন। ফোনটি পরিষ্কার ও মেরামত করুন আপনার ফোনের বাহ্যিক অবস্থা যত ভালো হবে, তত ভালো মূল্য পেতে পারবেন। তাই ফোনের স্ক্রিন, বডি ও পোর্টগুলো পরিষ্কার করুন। একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় এবং অ্যালকোহল-ভিত্তিক ক্লিনার দিয়ে স্ক্রিন ও বডি মুছে নিন। চার্জিং পোর্ট, হেডফোন জ্যাকসহ অন্যান্য পোর্টগুলোও ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার পুরোনো ফোন বিক্রি করার পর কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যাতে বাইরে চলে না যায় এবং আপনাকে বিপদে না ফেলে। এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করলে আপনি বিক্রি করার পর নিরাপদে থাকতে পারবেন এবং আপনার ফোনও প্রাপ্য মূল্য পাবে। জাগতিক /এস আই  
ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার ৯টি কার্যকর উপায়
হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে এবার পছন্দের গান যুক্ত করা যাবে
নিয়মিত হেডফোন ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হতে পারে 
স্মার্টফোন ব্যবহারে যে ভুলগুলো দ্রুত নষ্ট করে ডিভাইস
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক পুনরায় চালু, ধন্যবাদ জানিয়ে ফিরল অ্যাপটি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে আবারও চালু হয়েছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য ফের সক্রিয় হয়েছে, যা দেশের প্রশাসনিক জটিলতার কারণে একসময় নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকটকের মালিকানা হস্তান্তরের জন্য বাইটড্যান্সকে চাপ দিয়ে আসছিল, কারণ নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ ছিল। গত বছরের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে অ্যাপটির মালিকানা পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট টিকটক নিষিদ্ধের আইন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন, তবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় টিকটক জানিয়ে দিয়েছিল যে, যদি কোনো আইন কার্যকর না করা হয়, তাহলে তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগেই টিকটক-এর বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে বলেছিলেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত করবেন এবং মালিকানা হস্তান্তরের জন্য আরও সময় দেবেন। এর ফলে, টিকটক তাদের সেবা পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে আবার চালু হতে শুরু করে। টিকটক পুনরায় চালু হওয়ায় ব্যবহারকারীরা একটি বিশেষ বার্তা দেখতে পান, যেখানে বলা হয়েছে: "ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি"। এর মাধ্যমে, ট্রাম্পের সহায়তায় আবারও টিকটক ফিরে আসার খবর নিশ্চিত হয়। টিকটকের সিইও শাও চিউ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ২০ জানুয়ারি, ২০২৫-এর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়া, টিকটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা থেকে মুক্ত থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা করবে। এই চলমান পরিস্থিতি শীঘ্রই অন্য নতুন সিদ্ধান্তের দিকে এগোতে পারে, বিশেষ করে মালিকানা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত। তবে, ট্রাম্পের পদক্ষেপে আপাতত টিকটক-এর কার্যক্রম পুনরায় চালু হলেও ভবিষ্যতে নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। জাগতিক /এস আই  
দুর্বল পাসওয়ার্ড: সাইবার অপরাধীদের জন্য স্বর্ণপথ 
ডিজিটাল যুগে প্রতিটি ডিভাইস, অ্যাপ এবং অ্যাকাউন্টের সঙ্গে পাসওয়ার্ডের সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্বল পাসওয়ার্ডের কারণে সাইবার অপরাধীদের শিকার হতে হচ্ছে অনেককেই। সামান্য অসতর্কতায় ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, আর্থিক ক্ষতি, এমনকি পরিচয় চুরি পর্যন্ত হতে পারে। পাসওয়ার্ড হ্যাক কত সহজ? আপনার একটি ৮ অক্ষরের সাধারণ পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে হ্যাকারদের সময় লাগে মাত্র ৩৭ সেকেন্ড! বিশেষত সহজে অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড যেমন ‘১২৩৪৫৬’ বা ‘পাসওয়ার্ড’ ব্যবহার করলে বিপদ আরও বাড়ে। দুর্বল পাসওয়ার্ডের উদাহরণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং দুর্বল পাসওয়ার্ডগুলোর তালিকায় উঠে এসেছে– ১২৩৪৫৬ ১১১১১১ ০০০০০০ অ্যাডমিন কিউয়েরটি ওয়েলকাম এবিসিডি১২৩৪ ইন্ডিয়া১২৩ একটি সাম্প্রতিক সাইবারসিকিউরিটি স্টাডি (ইনফরমেশন ইজ বিউটিফুল) থেকে জানা যায়, ৩.৪ মিলিয়ন পিন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ সাধারণ এবং অনুমানযোগ্য প্যাটার্ন পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করেন। সবচেয়ে দুর্বল পিনের মধ্যে রয়েছে: ১২৩৪ ১১১১ ০০০০ ১২১২ ৬৯৬৯ দুর্বল পাসওয়ার্ড সাইবার অপরাধীদের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। তারা সহজেই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনে। অন্তত ১২ অক্ষরের দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন যোগ করুন। ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন জন্মতারিখ, ফোন নম্বর) পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করবেন না। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করে নিরাপদে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন। অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে পাসওয়ার্ডকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুর্বল পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ডিজিটাল জীবন আরও সুরক্ষিত করতে হবে। মনে রাখুন, সচেতনতাই সাইবার নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। জাগতিক /এস আই  
মহাকাশে নজরদারি স্যাটেলাইট বসালো পাকিস্তান, কিসের ইঙ্গিত? 
প্রথমবারের মতো মহাকাশে নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলো পাকিস্তান। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উত্তর চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। পাকিস্তানের স্যাটেলাইটটির নাম ‘পিআরএসসি-ইও১’, যা ভূমি মানচিত্রণ, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্যাটেলাইটটি চীনের লং মার্চ ২ডি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। উৎক্ষেপণের সময় পাকিস্তানের স্যাটেলাইটের সঙ্গে চীনের দুটি স্যাটেলাইটও মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে মহাকাশ সম্পর্ক গভীর হওয়ার এটি একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। পাকিস্তান এর আগেও চীনের সঙ্গে মহাকাশ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান চীনের আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা প্রকল্পে যোগ দেয়। বর্তমান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ চীনের সঙ্গে তাদের মহাকাশ প্রযুক্তির সহযোগিতার ধারাবাহিকতা। ভারত এবং আন্তর্জাতিক মহলের মতে, স্যাটেলাইটটির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র অসামরিক নয়। ভারতের কিছু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সামরিক নজরদারির জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। এর পেছনে চীনের সহযোগিতাকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর আগে চীনের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গোপন নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। চীন ২০২৩ সালে ‘ইয়াওগান-৪১’ নামে একটি শক্তিশালী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল, যা সামরিক নজরদারির উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। একই ধাঁচে, পাকিস্তানের এই স্যাটেলাইটও নজরদারি বা সামরিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। পাকিস্তানের দাবি, ‘পিআরএসসি-ইও১’ স্যাটেলাইটটি কৃষি, নগরায়ণ পরিকল্পনা, এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে এর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ তাদের মহাকাশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বলে মনে হলেও, এটি যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। জাগতিক /এস আই  
অনলাইন ডেস্ক প্রযুক্তিতে বিল গেটসের যেসব ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তব
প্রযুক্তি জগতে বিল গেটস শুধু একজন উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তা নন, তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও স্মরণীয়। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত তার বই বিজনেস @ দ্য স্পিড অফ থটস-এ তিনি আজকের অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছিলেন। সম্প্রতি প্রযুক্তি-বিষয়ক সাইট এমএসএন তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী তুলে এনেছে। ১৯৯৯ সালে যখন মোবাইল ফোন ছিল বিলাসিতার একটি অংশ, তখন বিল গেটস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ছোট ডিভাইসের আগমন সম্পর্কে। তিনি বলেছিলেন, মানুষ এমন ডিভাইস ব্যবহার করবে যা তাদের যোগাযোগ, খবর পড়া, ফ্লাইট বুকিং, এবং আর্থিক লেনদেন সহজ করে তুলবে। আজকের স্মার্টফোন তার সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে পুরোপুরি বাস্তব করেছে। বিল গেটস পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, অর্থ স্থানান্তর এবং লেনদেন করবে। আজকের দিনে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ওয়ালেট, এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম গেটসের সেই ধারণার নিখুঁত প্রতিফলন। গেটস বলেছিলেন, ভবিষ্যতে এমন সফটওয়্যার থাকবে যা মানুষের দৈনন্দিন কাজকে আরও সহজ করে তুলবে। আজ আমরা সেই সফটওয়্যারগুলোকেই ব্যক্তিগত সহায়ক অ্যাপ (যেমন: সিরি, অ্যালেক্সা, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট) হিসেবে ব্যবহার করছি, যা আমাদের রিমাইন্ডার থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং পর্যন্ত সহজ করে দিচ্ছে। গেটস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য কেনাকাটা করবে এবং গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবাগ্রহণ করতে পারবেন। আজকের আমাজন, ইবে, এবং অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তার সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজে বের করবে এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। লিঙ্কডইন, গ্লাসডোর এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম তার এই ভবিষ্যদ্বাণীর সফল উদাহরণ। ভবিষ্যতে প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষকে তাদের কাজের পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। বর্তমানে ক্যালেন্ডার অ্যাপ, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল এবং অন্যান্য সফটওয়্যার আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সংগঠিত করছে। গেটস বলেছিলেন, অনলাইনে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে এবং মানুষ তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবে। আজকের টেলিমেডিসিন এবং স্বাস্থ্য অ্যাপ্লিকেশন তার সেই ভবিষ্যৎ চিন্তাধারার বাস্তব প্রমাণ। প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিল গেটসের দৃষ্টিভঙ্গি তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। তার অনেক ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির প্রতি তার এই দৃষ্টিভঙ্গি নতুন উদ্ভাবকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। জাগতিক /এস আই  
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর: অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যোগ হবে
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী সুবিধা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডাটা শুধু একই প্যাকেজ নয়, বরং নতুন যেকোনো প্যাকেজ কিনলেও তা সংযুক্ত হবে। সম্প্রতি বিটিআরসি ‘মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ডাটা এবং ডাটা প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে, যেখানে গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, অব্যবহৃত ডাটা ফেরত পেতে গ্রাহকদের একই প্যাকেজ পুনরায় কিনতে হতো। তবে নতুন নিয়মে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না। গ্রাহক যেকোনো প্যাকেজ কিনলেই পূর্বের অব্যবহৃত ডাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হবে। নতুন নিয়মে কী সুবিধা পাবেন? ১. অব্যবহৃত ডাটা সংরক্ষণ: প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হলেও অব্যবহৃত ডাটা হারানোর ঝুঁকি নেই। ২. নতুন প্যাকেজে ডাটা যোগ হবে: নতুন প্যাকেজ কেনার পর পুরনো প্যাকেজের অব্যবহৃত ডাটাও ব্যবহার করা যাবে। ৩. প্যাকেজের ধরন ও মেয়াদ: নিয়মিত প্যাকেজের মেয়াদ কমপক্ষে ১৫ দিন। গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ কমপক্ষে ৩ দিন। গবেষণা ও উন্নয়নমূলক প্যাকেজের মেয়াদ কমপক্ষে ৭ দিন। ডাটা প্যাকেজের সীমা নতুন নির্দেশিকায় মোবাইল অপারেটরদের প্রতি ঘণ্টা, ১ দিন, ২ দিন ও ৩ দিনের জন্য ডাটা প্যাকেজের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘণ্টায়: সর্বোচ্চ ২০০ এমবি। ১ দিনে: সর্বোচ্চ ৩ জিবি। ২ দিনে: সর্বোচ্চ ৫ জিবি। ৩ দিনে: সর্বোচ্চ ৮ জিবি। গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা ১. যেকোনো প্যাকেজ কিনে অব্যবহৃত ডাটা ব্যবহার করা যাবে। ২. কম মেয়াদি ও ঘণ্টাভিত্তিক প্যাকেজের সুযোগ। ৩. প্যাকেজের মেয়াদ ও ডাটার পরিমাণে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্লেক্সিবিলিটি। মোবাইল অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া বিটিআরসির এই নতুন নিয়মকে ইতিবাচকভাবে দেখছে মোবাইল অপারেটরগুলো। এটি গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই নতুন নিয়ম গ্রাহকদের জন্য শুধু সাশ্রয়ীই নয়, বরং ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতা ও সহজতাও নিশ্চিত করবে। সঠিক প্যাকেজ ও সময়মতো ব্যবহার নিশ্চিত করলে গ্রাহকরা তাদের খরচের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবেন। বিটিআরসির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে গ্রাহকরা বলছেন, এটি তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। জাগতিক /এসআই  
আইফোন ১৬ সিরিজে গুরুতর অভিযোগ: চার্জিংয়ের সময় ইলেকট্রিক শকের ঝুঁকি
গত বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যাপল তাদের আইফোন ১৬ সিরিজ বাজারে আনার পর থেকেই একের পর এক সমস্যার মুখে পড়ছে। আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো, এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স মডেলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীরা একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। প্রথম দিকে স্পর্শনির্ভর পর্দা কাজ না করা, ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া, বারবার রিস্টার্ট নেওয়া এবং হ্যাং হওয়ার মতো সমস্যার অভিযোগ উঠেছিল। এবার ব্যবহারকারীরা চার্জ করার সময় ইলেকট্রিক শকের অভিযোগ করেছেন। অ্যাপলের গ্রাহক ফোরামে একাধিক ব্যবহারকারী এই গুরুতর সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এক ভুক্তভোগী লিখেছেন, "মাত্র এক সপ্তাহ আগে আইফোন ১৬ কিনেছি। চার্জ করার সময় ক্যামেরা বাটন স্পর্শ করলেই ইলেকট্রিক শক খাচ্ছি। এটি খুবই অস্বস্তিকর।" আরেকজন অভিযোগ করেন, "আমার আইফোন ১৬ প্রো চার্জ দেওয়ার সময় ইলেকট্রিক শক খেয়েছি। আঙুল এখনো ঝনঝন করছে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ব্যবহার করতে ভয় লাগছে।" অ্যাপলের সুরক্ষা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অফিসিয়াল চার্জিং এক্সেসরিজ ব্যবহার করলে আগুন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া বা ডিভাইসের ক্ষতির ঝুঁকি কমে যায়। তবে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন যে, অ্যাপলের অফিসিয়াল চার্জিং ক্যাবল ব্যবহার করেও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "অ্যাপলের অফিসিয়াল চার্জার ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধান পাইনি। অ্যাপলের উচিত দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।" প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইফোন ১৬ সিরিজের এই সমস্যা একটি গুরুতর ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ইলেকট্রিক শকের কারণে ব্যবহারকারীদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা ছাড়াও এটি ডিভাইসের স্থায়িত্ব এবং ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখনো পর্যন্ত অ্যাপলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে এই সমস্যা নিয়ে প্রযুক্তি মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, চার্জ করার সময় আইফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে এবং সমস্যাটি এড়াতে প্রয়োজনে ডিভাইসটি ব্যবহার বন্ধ রাখতে। আইফোন ১৬ সিরিজের এই গুরুতর সমস্যাগুলি সমাধানে অ্যাপলের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সমস্যার সমাধান করে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা অ্যাপলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাগতিক /জেএএস  
নতুন বছরের উপহার: হুন্দাইয়ের ক্রেটা ইলেকট্রিক গাড়ি
২০২৫ সালের শুরুতেই গাড়ি প্রেমীদের জন্য চমক নিয়ে আসছে জনপ্রিয় গাড়ি নির্মাতা হুন্দাই। বাজারে আসছে তাদের নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্রেটা ইলেকট্রিক, যা ক্রেতাদের উন্নত প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব ফিচার এবং অসাধারণ ডিজাইনের মিশেলে আকৃষ্ট করবে। ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স: ক্রেটা ইলেকট্রিক দুইটি ব্যাটারি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে: ৪২ কিলোওয়াটআওয়ার ব্যাটারি প্যাক: রেঞ্জ ৩৯০ কিলোমিটার। ৫১.৪ কিলোওয়াটআওয়ার ব্যাটারি প্যাক: রেঞ্জ ৪৭৩ কিলোমিটার। গাড়িটি টপ-এন্ড সংস্করণে ১৭১ বিএইচপি পাওয়ার উত্পাদন করবে এবং ০-১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতি তুলতে সময় নেবে মাত্র ৭.৯ সেকেন্ড। চার্জিং সুবিধা: ফাস্ট ডিসি চার্জার: মাত্র ৮০ মিনিটে ব্যাটারি চার্জ করবে। ১১ কিলোওয়াট ওয়াল বক্স চার্জার: সম্পূর্ণ চার্জ করতে সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা। ডিজাইন ও স্টাইলিং: ক্রেটা ইলেকট্রিকের ডিজাইনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন: নতুন এরোডাইনামিক অ্যালয় হুইল। সক্রিয় অ্যারো ফ্ল্যাপ। টুইকড ফ্রন্ট-এন্ড ও পিক্সেলেটেড ডিজাইন। সামনের চার্জিং পোর্ট এবং ২২ লিটারের ফ্রন্ট স্টোরেজ স্পেস। গাড়িটির বডি আটটি মনোটোন এবং দুটি ডুয়ালটোন রঙে পাওয়া যাবে। ভেরিয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্সিকিউটিভ, স্মার্ট, প্রিমিয়াম, এবং এক্সেলেন্স। ইন্টেরিয়র ও প্রযুক্তি: ক্রেটা ইলেকট্রিকের কেবিনে ব্যবহার করা হয়েছে রিসাইকেল উপাদান এবং কৃত্রিম চামড়া। ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। ডুয়াল ১০.২৫ ইঞ্চি স্ক্রিন। নতুন স্টিয়ারিং হুইল এবং মোর্স কোড ডিজাইন। ডার্ক নেভি ও গ্রানাইট গ্রে থিমের ডুয়াল টোন ইন্টেরিয়র। নীল অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং। ফিচারস: গাড়িতে আধুনিক সব ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যেমন: ভি২এল প্রযুক্তি: বাহ্যিক ডিভাইস চার্জের সুবিধা। ডুয়াল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল। প্যানোরামিক সানরুফ। এডিএএস লেভেল ২ প্রযুক্তি। লিঙ্কড রিজেনারেটিভ ব্রেকিং। সিঙ্গেল প্যাডেল ড্রাইভিং। উন্নত প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি: হুন্দাই ক্রেটা ইলেকট্রিক শুধু উন্নত প্রযুক্তির জন্যই নয়, বরং পরিবেশবান্ধব ফিচারের জন্যও পরিচিতি পাবে। গাড়িটি নির্গমন কমানোর পাশাপাশি আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। ২০২৫ সালে ক্রেটা ইলেকট্রিক বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির নতুন মাপকাঠি স্থাপন করতে পারে। উন্নত ফিচার, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে এটি ক্রেতাদের কাছে একটি আকর্ষণীয় পছন্দ হয়ে উঠবে। জাগতিক/ জেএএস