logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
সাইবার সুরক্ষা / অধ্যাদেশ প্রণয়নে সব অংশীজনের অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার আহ্বান ২৭ নাগরিকের নিন্দা
সবজির বাজারে দাম কমলেও মাছ-মুরগির বাজার চড়া
শীতের আগমনে বাজারে মৌসুম সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সবজির দাম কিছুটা স্থীতিশীল রয়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চাল। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপির পিসও ৩০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটোর কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির দাম কমলেও মাছ ও মুরগি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে হতাশ ক্রেতা সাধারণ। সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে অনেকের মধ্যে। আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বসুন্ধরা, মিরপুর, হাতিরপুল, জিগাতলা ও মিরপুরসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, পটোল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, নতুন আলু ৫০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও প্রতিপিস লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। মাছের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা, শিং এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২৫০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ তিন হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দুই হাজার টাকা হারে, আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৪০০ টাকা ও ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। মুরগির বাজারও চড়া।  বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়। মাংসের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।  অপরদিকে ডিমের আড়তে দেখা গেছে, প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।   জাগতিক /আফরোজা  
বড়দিনে রাজধানীতে ফানুস-পটকা-আতশবাজি নিষিদ্ধ
মা ও ৯ বছরের শিশু গুম  / ১০ বছর ধরে গুম হওয়াপরিবারের জন্য অপেক্ষায় 
আপেল না পেয়ারা? কোনটির পুষ্টিগুণ বেশি 
বাংলা একাডেমি / কবি হেলাল হাজিজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত
বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারীদের তালিকা শীর্ষে ফ্রাঁসোয়া বেথেনকোর্ট মেয়ার্স
বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারীদের তালিকায় ২০২৪ সালের শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন শিল্প ও উদ্যোগের প্রভাবশালী নারীরা। এখানে তাদের সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ: 1. ফ্রাঁসোয়া বেথেনকোর্ট মেয়ার্স (নেট সম্পদ: $৯৯.৫ বিলিয়ন): ফ্রান্সের এই ধনী নারী লরিয়ালের উত্তরাধিকারী এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৩৫% মালিক। তিনি চার বছর ধরে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন এবং শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দানশীলতার জন্যও পরিচিত। 2. অ্যালিস ওয়ালটন ($৭২.৩ বিলিয়ন): ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতার কন্যা এবং বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী নারী। তিনি আর্ট মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিল্পকলা প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। 3. জুলিয়া কচ ($৬৪.৩ বিলিয়ন): কচ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪২% শেয়ার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জুলিয়া কচ এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 4. সাবিত্রি জিন্দাল ($৩৩.৫ বিলিয়ন): ভারতের সবচেয়ে ধনী নারী এবং জিন্দাল গ্রুপের প্রধান, যিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়। 5. ম্যাকেঞ্জি স্কট ($৩৫.৬ বিলিয়ন): আমাজনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী, যিনি তাঁর সম্পত্তির একটি বড় অংশ দান করার জন্য বিখ্যাত। এছাড়া, এই তালিকায় রাফায়েলা অ্যাপন্টে-ডায়মন্ড (Mediterranean Shipping Company), জ্যাকলিন মার্স (Mars Inc.), এবং আবিগাইল জনসন (Fidelity Investments) সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নারীর নাম রয়েছে। তাদের প্রতিটি তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জাগতিক /জেএএস
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকাও ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশ হলো: ১.মোনাকো: মাত্র ২.১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত এই ইউরোপীয় দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। ২. সিঙ্গাপুর: আধুনিক নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে প্রতিটি বর্গকিলোমিটারে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে। ৩.ভ্যাটিকান সিটি: বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হলেও জনসংখ্যার ঘনত্ব এখানে উল্লেখযোগ্য। ৪.মালদ্বীপ: ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটনের জন্য বিখ্যাত হলেও জনসংখ্যার ঘনত্বও উচ্চমাত্রার। ৫.বাহরাইন: মধ্যপ্রাচ্যের এই ছোট দ্বীপ দেশটি জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে তালিকায় স্থান পেয়েছে। ৬. বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং মোট জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ৭.লেবানন: মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি আকারে ছোট হলেও এখানে ঘনবসতি অনেক বেশি। ৮. বার্বাডোস: ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি ছোট এলাকায় বেশি মানুষের বসবাসের জন্য পরিচিত। ৯.মার্টিনিক: ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত ক্যারিবিয়ান দ্বীপ, যা উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের জন্য পরিচিত। ১০. মাল্টা: ভূমধ্যসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি ইউরোপের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। জাগতিক /জেএএস
`শীতে কাবু মানুষ' / উত্তর অঞ্চলে দিনেও সূর্যের দেখা মিলছে না
বাংলা বর্ষপঞ্জির অগ্রহায়ণে শেষ সপ্তাহে উত্তরের সীমান্তবর্তী দুই জেলা কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে শীত জেঁকে বসেছে। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় এসব জেলায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। হিমেল বাতাসে অনুভব হচ্ছে বরফের শীত। হাড় কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে বেড়েছে ঘন কুয়াশা।  রাজশাহীতেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও কুয়াশায় শীত জেঁকে বসেছে। আজ সোমবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা দেখা দেয়। বৃষ্টির মতো কুয়াশাও ঝরেছে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।  রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সারা দিন আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমনই থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ও বিকেলেও তাপমাত্রা কম থাকবে। গত দু’দিন ধরে উত্তরের এসব জেলায় নিয়মিত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো করে পড়ছে শিশির। তাপমাত্রা কমে আসায় কনকনে শীতের প্রকোপে জর্জরিত হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ। গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায়ও একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তেঁতুলিয়া অফিস । অন্যদিকে, কুড়িগ্রামে আজ বুধবার দুপুর ২টার পরেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজনের জীবনযাত্রা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করাও। চিলমারী নৌবন্দর ও যাত্রাপুর নৌঘাট থেকে সকাল ৮টার নৌযানগুলো ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে।  ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। বেলা গড়িয়ে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ও হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডার অনুভূতি থাকছে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও প্রচণ্ড শীতে জেলাবাসীর জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে নদীর চর-দ্বীপ চরের মানুষজন বেশি কষ্ট পাচ্ছে।  কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আকাশে মেঘ ও ঘন কুয়াশার বলয় থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না, যা আরও দুই-একদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হবে। চলতি মাসে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।  যাত্রাপুরের পোড়ার চরের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, দুপুর ২টা পর হইল এল্যাও সূর্যের দেখা নাই। মানষের বাড়িত কাম করি, আজ ঠান্ডার জন্য নদী পারে হবার পাই নাই। যাত্রাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ঠান্ডা তো আজ কয়েকদিন থাকি খুব পড়তেছে। আমার এলাকার মানুষজনক সব থেকে হতদরিদ্র। এনা দিনমজুরী করে চলে, পরিষদ থেকে কোনো কম্বল পাই নাই। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, শীতের জন্য এ বছর নতুন করে কম্বল বা অর্থ এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়নি। আমাদের কাছে ৯ উপজেলার জন্য ১৮০০ কম্বল মজুত রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, রোববারের চেয়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে। তাপমাত্রা কমে গত ১০ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। সোমবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কৃষক মাজহার মিয়া জানান, ভাই খুবই ঠান্ডা। রাত-ভোর পর্যন্ত বরফের মতো লাগে। এতো ঠান্ডা, কাজ কাম করা খুবই কঠিন হয়ে উঠে। ভোরে পালং শাক, লাফা শাক ও লাউ শাক তুলতে এসেছি। ধরা যাচ্ছে না, বরফের মতো মনে হচ্ছে। হাত অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কি করবো, টাটকা সবজি বাজারে নিতেই কাজ করতে হচ্ছে। জাগতিক/ আফরোজা   
প্লাস্টিকজাত সামগ্রী থেকে বাড়ছে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা 
প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য থেকে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। প্লাস্টিকে এমন ৪০০ রকম রাসায়নিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা মানবশরীরের জন্য বিষ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। ‘দি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’র একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্য ও নিত্যব্যবহার্য অনেক সামগ্রীতেই প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, যা প্রতিনিয়তই শরীরে প্রবেশ করছে। এই ধরনের প্লাস্টিক ক্যানসার রোগের আশঙ্কা বহু গুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্লাস্টিকের দ্রব্য তৈরি করতে ‘বিপিএ’ (বিসফেনল-এ) রাসায়নিকটি ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিকটি খুব সহজে নষ্ট করা যায় না। তাই সেটি পরিবেশেই থেকে যায়। ক্ষুদ্র আকারে খাবারের সঙ্গে মিশে তা মানব শরীরে প্রবেশ করে এবং নানা রকম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।  দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’-র তথ্য বলছে, প্রায় ১৬ হাজার রাসায়নিক থাকে প্লাস্টিকে। যার মধ্যে পিএফএএস, প্যারাবেনস, অ্যারোমাটিক অ্যামাইনের মতো অন্তত ৪০০ রকম রাসায়নিক মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই সব রাসায়নিক প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিসপত্র থেকেই শরীরে ঢুকছে। কিভাবে ঢুকছে? গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাজারে যে চিনি ও লবণ বিক্রি হচ্ছে, তাতেও মিশে রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। শুধু খোলা বাজারে নয়, অনলাইনেও যে লবণ ও চিনি পাওয়া যায়, সেগুলোতেও প্লাস্টিকের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আবার, বাড়িতে অফিসে, স্কুল-কলেজ, কাজের জায়গায় বেশির ভাগ মানুষই প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করেন। প্লাস্টিকের বোতলভর্তি পানিকে প্লাস্টিকের কণা মিশে থাকে, এমন তথ্য আগেই দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।  সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের থেকেও সূক্ষ্ম ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে বোতলের পানিতে। এদের দৈর্ঘ্য এক থেকে পাঁচ হাজার মাইক্রোমিটারের মতো, যা মানুষের মাথার চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। প্লাস্টিকের বোতলের পানিতে এই সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণাগুলোই মিশে থাকে। প্লাস্টিকের বোতল থেকে পানি খেলে সেই প্লাস্টিকের কণাগুলো শরীরে ঢুকে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। ক্ষতিকর সেই সব উপাদান মানুষের শরীরের জন্য বিষ। বাড়িতেও খাবার খাওয়ার জন্যও অনেকে প্লাস্টিকের প্লেট, চামচ ইত্যাদি ব্যবহার করেন। প্লাস্টিকের কাপে চা বা কফি খাওয়া হয়। এইসব থেকেও প্লাস্টিকের কণা শরীরে প্রবেশ করে, যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন গবেষকরা। তাই প্লাস্টিকের সামগ্রীর বদলে তার বিকল্প কিছু ব্যবহারেই বেশি জোর দিচ্ছেন তারা।   জাগতিক/ আফরোজা 
জামিন পেলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে তিন মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৯ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস ও শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। জাগতিক/ আফরোজা 
দেশে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হচ্ছে আজ
নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাঙালি নারী শিক্ষার অগ্রদূত এবং সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়ার অবদানকে স্মরণ করতে আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালনে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য নারীদের ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা উভয়েই ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেতে যাওয়া নারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী ও ৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার রংপুরে বাংলা একাডেমি আলোচনা সভার আয়োজন করবে। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে এ আলোচনা সভা হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজাম মুনিরা এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আলোচনায় অংশ নেবেন তারাগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ আই এম মুসা ও রংপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন সুজন। জাগতিক/ আফরোজা   
বেগম রোকেয়া দিবস আজ
আজ ৯ ডিসেম্বর। বেগম রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। সে হিসেবে বেগম রোকেয়ার ১৪২তম জন্মবার্ষিকী ও ৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী ৯ ডিসেম্বর। মানবসভ্যতার ইতিহাসে উজ্জ্বলতম একটি শতক উনিশ শতকে বেগম রোকেয়ার জন্ম। এই শতকে জাতিসত্তার বিকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনও হয়ে ওঠে শক্তিশালী। অনেক ইতিহাসবিদ এই সময়কালকে নবজাগরণের যুগ বলেও অভিহিত করেছেন। এই যুগে এসেছেন অনেক মহিষী, যাঁরা মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে যুক্ত করেছেন নতুন মাত্রা। নারীর জীবনের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছিল। বেগম রোকেয়া এই দশকে এনেছিলেন আলোর দ্যুতি। সেই আলোর রশ্মি শুধু নারীসমাজকে নয়, পুরো সমাজকে আলোকিত করছে শতাব্দীব্যাপী। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সমগ্র কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে ছিল নারীসমাজ। কিন্তু নারীর জীবনের অধস্তনতার কারণগুলো যে সমাজের প্রচলিত বিধিব্যবস্থা, সেটা তিনি দেখিয়ে গেছেন তাঁর সাহিত্যকর্ম, ভাবনায় ও বক্তব্যে। তাঁর জীবনের বৈশিষ্ট্য এই যে তিনি কারণগুলোকে শুধু চিহ্নিতই করেননি, নারীর জীবনে মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাঁর রচিত প্রবন্ধ সংকলন ‘মতিচূর’, উপন্যাস ‘পদ্মরাগ’, ‘সুলতানার স্বপ্ন’সহ বিভিন্ন লেখায় যেমন নারীর অধস্তনতার কারণ বর্ণনা করেছেন, তেমনি নারী যে নিজের শক্তি ধারণ করে সব কাজে পারঙ্গম হয়ে উঠতে পারে—সেই স্বপ্নও দেখিয়েছেন। শুধু সাহিত্যকর্ম নয়, দাঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নারীসমাজকে সংগঠিত করেছেন। নারীশিক্ষার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠা করেছেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠ আজও সগৌরবে পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাপক বহুমুখী কর্মপ্রবাহের মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া পরিণত হয়েছেন একটি প্রতিষ্ঠানে, যে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। বর্তমান সময়েও নারীসমাজ এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আজকের সময়ে বাংলাদেশের নারীসমাজ সামাজিক  উন্নয়নের অনেক সূচকে অগ্রগামী। বেগম রোকেয়ার স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে নারী আজ ম্যাজিস্ট্রেট, উকিল হয়েছে, সেনাবাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় যোগ দিয়েছে। পর্বতের শিখরে বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীয়মান করেছে। কিন্তু নারীর মর্যাদার প্রশ্নটি রয়েছে উপেক্ষিত। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে সিডওর দুটি ধারা থেকে সংরক্ষণ তুলবে না সরকার। সিডও দলিল নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য জাতিসংঘ প্রণীত একটি সনদ। ১৯৭৯ সালে প্রণীত এই সনদ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যকর হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কয়েকটি ধারা সংরক্ষণসহ এই সনদ স্বাক্ষর করে। এখন পর্যন্ত সিডও সনদের ২ নম্বর ও ১৬(১) ধারার সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেনি বাংলাদেশ সরকার। সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা আছে যে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য শরিক দেশগুলো সব ধরনের প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; যা কিনা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। অথচ সেই ধারার সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হলো না। ১৬(১) ধারায় বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদে নারীর সমানাধিকার ও দায়িত্বের ঘোষণা ব্যক্ত হয়েছে। ওই ধারা দুটিতে সংরক্ষণ প্রত্যাহার না করায় পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীর সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও নারীর সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাল্যবিবাহ নিরোধে যে বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে তার মাধ্যমে কন্যাশিশুর শৈশবকে হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯২৯ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণীত হয়। এই আইনকে যুগোপযোগী সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়ায় অগ্রগতি না হয়ে পিছু হটার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিশ্ব সংস্থা ১৮ বছরের নিচে মানবসন্তানকে শিশু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কাজেই ১৮-এর নিচে বিয়ে হলে সেটা বাল্যবিবাহ হিসেবে পরিগণিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সহায়তার জন্য এই সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থাকে যে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার কার পক্ষ নেবে—নিপীড়কের, না নিপীড়িতের? বিশেষ ব্যবস্থার নামে নিপীড়িত নারীকে আরো দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ঘরে-বাইরে, স্কুলে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, কর্মক্ষেত্রে, পরিবহন কোথাও নারী নিরাপদ নয়। নির্যাতন মামলার ধীরগতি, মামলায়  প্রভাবশালীদের দাপটের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই নির্যাতনকারীর শাস্তি হচ্ছে না। আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্যাতনকারীরা দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্যাতিতরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দিন যাপন করছে। আইনের প্রয়োগ যথাযথ না হওয়ায় নারী নির্যাতন হ্রাস পাচ্ছে না, নির্মূল করার পথে অগ্রসর হওয়া যাচ্ছে না। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া, রাষ্ট্র-সমাজ ও পরিবারে নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় নারী নির্যাতন হ্রাস পাচ্ছে না। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সব বৈষম্য দূর করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেগম রোকেয়ার একটি বক্তব্য বারবার মনে আসে। তিনি বলেছেন, ‘নারী যখনই মস্তক উত্তোলন করেছে তখনই ধর্মের দোহাই দিয়ে মস্তক চূর্ণবিচূর্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। ’ আজকের সময়ে সেটা যে কত প্রাসঙ্গিক, তা নিশ্চয় ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে যখন নারীর অগ্রগতির দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, সরকার নারীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তখন নানা অজুহাত তুলে ও ধর্মের দোহাই দিয়ে একটি গোষ্ঠী সমাজকে পেছনে টেনে রাখার চেষ্টা করছে। আমরাও তাদের ভয়ে ভীত হচ্ছি। নারীর সমমর্যাদা ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে চিরাচরিত প্রথায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমাজের মানস গঠনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। ভারসাম্য তৈরি করার নামে পশ্চাদপসরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ। বেগম রোকেয়া ‘মতিচূর’ প্রবন্ধ সংকলন ‘স্ত্রী জাতির অবনতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, ‘আমাদের উচিত যে স্বহস্তে উন্নতির দ্বার উন্মুক্ত করা। ’ এই প্রবন্ধে তিনি আরো বলেছেন, ‘প্রথমে জাগিয়া ওঠা সহজ নহে জানি, সমাজ মহা গোলযোগ বাধাইবে। ’ আজ একবিংশ শতাব্দীতে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সূচনায় যে মহাগোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য রোকয়ার ভাষায় জবাব দিতে হবে। ‘পুরুষের সমকক্ষতা লাভের জন্য আমাদের যাহা করিতে হয়, তাহাই করিব। ’ তাই শুধু নারী নয়, দেশের একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া। আজ আমরা নারী আন্দোলনের সংগঠকরা যেমন ভাবি নারী আন্দোলন একটি সর্বব্যাপী আন্দোলন (Holistic), বেগম রোকেয়া আজ থেকে এক শতাব্দী আগে একটি সর্বব্যাপী চিন্তাচেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন তাঁর সাহিত্য ও কর্মে। আজও তিনি সমাজ পরিবর্তনের আলোর দ্যুতি।বেগম রোকেয়া দিবস আজ আজ ৯ ডিসেম্বর। বেগম রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। সে হিসেবে বেগম রোকেয়ার ১৩৭তম জন্মদিন ও ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ৯ ডিসেম্বর। মানবসভ্যতার ইতিহাসে উজ্জ্বলতম একটি শতক উনিশ শতকে বেগম রোকেয়ার জন্ম। এই শতকে জাতিসত্তার বিকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনও হয়ে ওঠে শক্তিশালী। অনেক ইতিহাসবিদ এই সময়কালকে নবজাগরণের যুগ বলেও অভিহিত করেছেন। এই যুগে এসেছেন অনেক মহিষী, যাঁরা মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে যুক্ত করেছেন নতুন মাত্রা। নারীর জীবনের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছিল। বেগম রোকেয়া এই দশকে এনেছিলেন আলোর দ্যুতি। সেই আলোর রশ্মি শুধু নারীসমাজকে নয়, পুরো সমাজকে আলোকিত করছে শতাব্দীব্যাপী। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সমগ্র কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে ছিল নারীসমাজ। কিন্তু নারীর জীবনের অধস্তনতার কারণগুলো যে সমাজের প্রচলিত বিধিব্যবস্থা, সেটা তিনি দেখিয়ে গেছেন তাঁর সাহিত্যকর্ম, ভাবনায় ও বক্তব্যে। তাঁর জীবনের বৈশিষ্ট্য এই যে তিনি কারণগুলোকে শুধু চিহ্নিতই করেননি, নারীর জীবনে মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাঁর রচিত প্রবন্ধ সংকলন ‘মতিচূর’, উপন্যাস ‘পদ্মরাগ’, ‘সুলতানার স্বপ্ন’সহ বিভিন্ন লেখায় যেমন নারীর অধস্তনতার কারণ বর্ণনা করেছেন, তেমনি নারী যে নিজের শক্তি ধারণ করে সব কাজে পারঙ্গম হয়ে উঠতে পারে—সেই স্বপ্নও দেখিয়েছেন। শুধু সাহিত্যকর্ম নয়, দাঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নারীসমাজকে সংগঠিত করেছেন। নারীশিক্ষার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠা করেছেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠ আজও সগৌরবে পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাপক বহুমুখী কর্মপ্রবাহের মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া পরিণত হয়েছেন একটি প্রতিষ্ঠানে, যে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। বর্তমান সময়েও নারীসমাজ এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আজকের সময়ে বাংলাদেশের নারীসমাজ সামাজিক  উন্নয়নের অনেক সূচকে অগ্রগামী। বেগম রোকেয়ার স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে নারী আজ ম্যাজিস্ট্রেট, উকিল হয়েছে, সেনাবাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় যোগ দিয়েছে। পর্বতের শিখরে বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীয়মান করেছে। কিন্তু নারীর মর্যাদার প্রশ্নটি রয়েছে উপেক্ষিত। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে সিডওর দুটি ধারা থেকে সংরক্ষণ তুলবে না সরকার। সিডও দলিল নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য জাতিসংঘ প্রণীত একটি সনদ। ১৯৭৯ সালে প্রণীত এই সনদ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যকর হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কয়েকটি ধারা সংরক্ষণসহ এই সনদ স্বাক্ষর করে। এখন পর্যন্ত সিডও সনদের ২ নম্বর ও ১৬(১) ধারার সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেনি বাংলাদেশ সরকার। সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা আছে যে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য শরিক দেশগুলো সব ধরনের প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; যা কিনা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। অথচ সেই ধারার সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হলো না। ১৬(১) ধারায় বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদে নারীর সমানাধিকার ও দায়িত্বের ঘোষণা ব্যক্ত হয়েছে। ওই ধারা দুটিতে সংরক্ষণ প্রত্যাহার না করায় পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীর সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও নারীর সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাল্যবিবাহ নিরোধে যে বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে তার মাধ্যমে কন্যাশিশুর শৈশবকে হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯২৯ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণীত হয়। এই আইনকে যুগোপযোগী সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়ায় অগ্রগতি না হয়ে পিছু হটার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিশ্ব সংস্থা ১৮ বছরের নিচে মানবসন্তানকে শিশু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কাজেই ১৮-এর নিচে বিয়ে হলে সেটা বাল্যবিবাহ হিসেবে পরিগণিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সহায়তার জন্য এই সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থাকে যে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার কার পক্ষ নেবে—নিপীড়কের, না নিপীড়িতের? বিশেষ ব্যবস্থার নামে নিপীড়িত নারীকে আরো দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ঘরে-বাইরে, স্কুলে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, কর্মক্ষেত্রে, পরিবহন কোথাও নারী নিরাপদ নয়। নির্যাতন মামলার ধীরগতি, মামলায়  প্রভাবশালীদের দাপটের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই নির্যাতনকারীর শাস্তি হচ্ছে না। আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্যাতনকারীরা দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্যাতিতরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দিন যাপন করছে। আইনের প্রয়োগ যথাযথ না হওয়ায় নারী নির্যাতন হ্রাস পাচ্ছে না, নির্মূল করার পথে অগ্রসর হওয়া যাচ্ছে না। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া, রাষ্ট্র-সমাজ ও পরিবারে নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় নারী নির্যাতন হ্রাস পাচ্ছে না। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সব বৈষম্য দূর করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেগম রোকেয়ার একটি বক্তব্য বারবার মনে আসে। তিনি বলেছেন, ‘নারী যখনই মস্তক উত্তোলন করেছে তখনই ধর্মের দোহাই দিয়ে মস্তক চূর্ণবিচূর্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। ’ আজকের সময়ে সেটা যে কত প্রাসঙ্গিক, তা নিশ্চয় ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে যখন নারীর অগ্রগতির দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, সরকার নারীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তখন নানা অজুহাত তুলে ও ধর্মের দোহাই দিয়ে একটি গোষ্ঠী সমাজকে পেছনে টেনে রাখার চেষ্টা করছে। আমরাও তাদের ভয়ে ভীত হচ্ছি। নারীর সমমর্যাদা ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে চিরাচরিত প্রথায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমাজের মানস গঠনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। ভারসাম্য তৈরি করার নামে পশ্চাদপসরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ। বেগম রোকেয়া ‘মতিচূর’ প্রবন্ধ সংকলন ‘স্ত্রী জাতির অবনতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, ‘আমাদের উচিত যে স্বহস্তে উন্নতির দ্বার উন্মুক্ত করা। ’ এই প্রবন্ধে তিনি আরো বলেছেন, ‘প্রথমে জাগিয়া ওঠা সহজ নহে জানি, সমাজ মহা গোলযোগ বাধাইবে। ’ আজ একবিংশ শতাব্দীতে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সূচনায় যে মহাগোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য রোকয়ার ভাষায় জবাব দিতে হবে। ‘পুরুষের সমকক্ষতা লাভের জন্য আমাদের যাহা করিতে হয়, তাহাই করিব। ’ তাই শুধু নারী নয়, দেশের একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া। আজ আমরা নারী আন্দোলনের সংগঠকরা যেমন ভাবি নারী আন্দোলন একটি সর্বব্যাপী আন্দোলন (Holistic), বেগম রোকেয়া আজ থেকে এক শতাব্দী আগে একটি সর্বব্যাপী চিন্তাচেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন তাঁর সাহিত্য ও কর্মে। আজও তিনি সমাজ পরিবর্তনের আলোর দ্যুতি।