logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
কনকনে শীতের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
মোবাইল ইন্টারনেটে সুখবর, চালু হচ্ছে ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ সুবিধা
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সুখবর নিয়ে এলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে মোবাইল ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হলেও অব্যবহৃত ডেটা ফেলে যেতে হবে না। ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ সুবিধার মাধ্যমে সেই ডেটা পরবর্তী প্যাকেজে ব্যবহার করা যাবে। গতকাল রোববার বিটিআরসির এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের জন্য আরও নমনীয় ও বহুমুখী ডেটা প্যাকেজ আনতে পারবে। আগে প্যাকেজের সংখ্যা ৪০টি ও মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকলেও এবার সেই সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে: ১. নিয়মিত প্যাকেজ: যা সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত। ২. বিশেষ প্যাকেজ: নির্দিষ্ট গ্রাহকদের ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী তৈরি। ৩. পরীক্ষামূলক প্যাকেজ: বাজার যাচাইয়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি প্যাকেজ। এছাড়া গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঘণ্টাভিত্তিক ও ১ থেকে ৩ দিনের মেয়াদী প্যাকেজ চালু করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টাভিত্তিক ও সীমিত মেয়াদের প্যাকেজের সর্বোচ্চ সীমা: • প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ এমবি। • এক দিনে ৩ জিবি। • দুই দিনে ৫ জিবি। • তিন দিনে ৮ জিবি। গ্রাহক যেন নিজের পছন্দমতো প্যাকেজ বেছে নিতে পারে, সেজন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ এবং মেয়াদহীন (আনলিমিটেড) প্যাকেজের সুবিধাও থাকছে। তবে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টাভিত্তিক প্যাকেজ বিক্রি করা যাবে না। বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, কোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে তা জানাতে হবে। এই নতুন নির্দেশনা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের আরও সুবিধাজনক অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাগতিক/ আফরোজা 
আ.লীগ ক্ষমতায় এলে গণ-অভ্যুত্থানকারীদের বিচার করবে: নুর
এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার ২
কর বৃদ্ধিতে জনজীবনে সংকট বাড়বে: চরমোনাই পীর
সাড়ে তিন মাসে রাজধানীতে ১হাজার ২'শ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইন থেকে দেড়শ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, সীমান্তে ভারতের কয়েকটি কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ঢাকায় সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সীমান্তে সমঝোতা স্মারক লঙ্ঘন করে ভারত যেসব কাজ করতে চেয়েছিল, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান জানাবে। বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে ভারত কাজ বন্ধ করেছে।” সম্প্রতি তিনটি জেলার পাঁচটি সীমান্তে বিএসএফের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিজিবিকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনার সূত্রপাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকো সীমান্তে। সেখানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের জড়ো হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করার পর বাংলাদেশের তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তে এমন উত্তেজনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই নতুন করে সামনে এলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে এবং যে কোনো অস্থিতিশীলতা এড়াতে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। জাগকিত / আফরোজা 
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ৬০ দিন
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের। এরপর গত ১৫ নভেম্বর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে এই ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দেওয়া হয়। জাগতিক/ আফরোজা  
বিনিয়োগে আস্থা ফেরাতে দ্রুতই নির্বাচনী রোডম্যাপ:পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমতার পালাবদলে তৈরি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছেন। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যখন দেখেন, তখন কেউ সেখানে সহজে বিনিয়োগ করতে চান না। আস্থা ফেরাতে দ্রুতই নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স’ সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। তৌহিদ হোসেন বলেন, বিনিয়োগ না এলে আমাদের চলবে না। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে আমরা অচিরেই মুক্তি পাব বলে আশা করছি। তখন বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত হবে। অর্থের নিশ্চয়তা না মিললে বিনিয়োগ আসবে না জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ করবেন, নিরাপত্তা পেলে তারাও ঝটপট আসবেন। নিশ্চয়তা না মিললে তারা আসবেন না। এটা খুবই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মনে করেন তৌহিদ হোসেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় রাজনৈতিক দল। দুনিয়ার আর কোনো রাজনৈতিক দলের পুরো পৃথিবীতে এত শাখা নেই। প্রায় সব দেশেই এসব দলের শাখা আছে। তবে সেখানে তারা একে অপরের চরম শত্রুভাবাপন্ন, যা বিদেশে বাঙালিদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। গত চার মাসে বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক অনেক নিউজ হয়েছে, যা বিশ্বে খারাপ প্রভাব ফেলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম। আর সেটি ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রবাসী ভারতীয়রা। দক্ষ শ্রমিক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে তৌহিদ বলেন, আমরা যদি শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে তুলতে পারি, তাহলে রেমিট্যান্স দ্বিগুণ করতে পারব। সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগের অনেক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে। গত ছয় মাসে গড়ে রেমিট্যান্স ২৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এ সময়ে ৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। রপ্তানি ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ বলেন, যুক্তরাজ্যে এনআরবিরা সব সময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের প্রতি রক্তের ঋণ আছে। বাংলাদেশে কোনো ক্ষতি হলে আমরা লন্ডনে গর্জে উঠি। আপনাদের কষ্ট আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে। সংগঠনের চেয়ারম্যান এমএস শেখিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল হাই সরকার, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর প্রমুখ। জাগতিক/ আফরোজা  
 নিরাপদ খাদ্য ও নির্মল বাতাসের জন্য ছাদবাগান জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য ও শহরের নির্মল বাতাসের জন্য ছাদবাগান প্রয়োজন। রাজধানীর ছাদগুলোকে বাগানে পরিণত করতে পারলে মানুষ উপকৃত হবে। এটি কার্বন নিঃসরণ কমায়, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বায়ুর মান উন্নত করে। নিজ নিজ ছাদে বাগান করলে পরিবেশ রক্ষায় সবাই ভূমিকা রাখতে পারে। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা নিরসনে ছাদ বাগানের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাদবাগান পরিবেশের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা করে। ছাদ ভেঙে পড়ার ভয় একটি ভুল ধারণা। তিনি বলেন, ছাদবাগান বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি কার্যকর সমাধান। তিনি বলেন, সরকার ছাদবাগান প্রচলনে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং জনসচেতনতা বাড়াচ্ছে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকার শেকড়ের মোতালেব মাশরেকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, গ্রিনওয়াচ ঢাকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, কৃষিবিদ ড. মেহেদী মাসুদ, ছাদবাগান আন্দোলনের অগ্রসৈনিক গোলাম হায়দার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য মমিন হোসেন। অনুষ্ঠানে ছাদ বাগানিদের পুরস্কার ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়। শেষে উপদেষ্টা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন।   জাগতিক/ আফরোজা    
‌মোবাইল-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুমকি
ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত বর্ধিত কর প্রত্যাহার না হলে আগামী সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইন্টারনেট খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। তারা বলেন, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।  আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, কর বৃদ্ধির ফলে এখন থেকে ৫০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ৫৭৫ টাকার বেশি এবং ১ হাজার টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১৫৫ টাকার বেশি দিতে হবে গ্রাহককে।  বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে। এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি যেমন বাড়বে তেমনি এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।  আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেমনভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ, যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক, গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না।  সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারও সাথে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, পাঠাও এর সিইও ফাহিম প্রমুখ।    জাগতিক/ আফরোজা  
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা / বিজিবির অবস্থানে বেড়া নির্মাণ বন্ধে করতে বাধ্য হয়েছে ভারত
বিজিবি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে বিএসএফ ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবি এবং স্থানীয় মানুষের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত ওই সব স্থানে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারত সীমান্তে কিছু অসম কাজ করেছে, যেগুলো ভারতের করা উচিত হয়নি। কিন্তু আমাদের আগের সরকার সেই সুযোগ দিয়েছে। জাগতিক/ আফরোজা
মাহফিলে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যা বললেন আজহারী
জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, দেশের যে কোনো সমস্যা বা অসঙ্গতি নিয়ে নাগরিক হিসেবে মত প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে। এজন্য রাজনীতিতে আসতে হবে—এমন মন্তব্য সঠিক নয়।গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এ বক্তব্য দেন। আজহারী বলেন, "আমি একজন আলেম এবং সাধারণ নাগরিক। দেশের যেকোনো অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে। বাকস্বাধীনতার কথা আপনারাই বলেন, আবার মত প্রকাশ করলে রাজনীতিতে আসার কথা বলেন—এটা ঠিক নয়।" তিনি আরও বলেন, "আমার বক্তব্য কোনো নির্দিষ্ট দলকে উদ্দেশ্য করে ছিল না। কিন্তু আপনারা সেটি নিজেদের গায়ে নিয়েছেন, যা অনভিপ্রেত। এ ধরনের আচরণ সাধারণ মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আমরা চাই না এদেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি চলতে থাকুক। দেশের ৩৮টি নিবন্ধিত দলেরই এখন শপথ নেওয়া উচিত—দেশ থেকে এসব দূর করতে।" আজহারী বলেন, "আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে কথা বলি, কোনো নির্দিষ্ট দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। ক্ষমতার পালাবদলের পরই দুর্নীতির ফিরিস্তি সামনে আসে। প্রতিটি দলে এ ধরনের খারাপ চর্চা রয়েছে। এখনই সময় এসব পরিবর্তন করার।" জানা গেছে, খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসির মাহফিলের শেষ দিন ছিল শনিবার। ওইদিন রাত ৮টায় মিজানুর রহমান আজহারী মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, এর আগে এক মাহফিলে আজহারী বলেন, "ইসলামের আলোকে দেশ গড়তে হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ঠেকাতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশে অনেক লুটপাট হয়েছে। এক দল যায়, আরেক দল এসে লুটপাট করে। আমাদের কুরআনের পথে চলা উচিত।" জাগতিক/ আফরোজা