logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে আনার আপিল শুনানি আজ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা / খালেদা জিয়ার আপিলের শেষদিনের শুনানি চলছে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শেষদিনের শুনানি চলছে। বুধবার সকালে আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। গত ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন। আগের দির মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হলে বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনির আর হক। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছেন তাতে আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় হয়েছে। শুধু তাই নয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে সেই অর্থও সেই অ্যাকাউন্টে সুরক্ষিত আছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষও বলেন, এ মামলায় অর্থ আত্মসাতের কোনো ঘটনা নেই। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দুই মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। তবে এরপরও গত নভেম্বরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। জাগতিক/ আফরোজা    
“জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা” / খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু
সাবেক আইজিপি মামুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার 
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডি
সাইবার সুরক্ষা / অধ্যাদেশ প্রণয়নে সব অংশীজনের অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার আহ্বান ২৭ নাগরিকের নিন্দা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশটি নাগরিকদের অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রণয়ন না করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাতিল হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিপীড়নের শিকার ২৭ নাগরিক। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানান। এতে বলা হয়, আমরা ২৭ জন নিম্নস্বাক্ষরকারী সাইবার নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বাতিল ৫৭ ধারা এবং বাতিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিপীড়নের শিকার প্রতিবাদী ভুক্তভোগী উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশটি নাগরিকদের অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রণয়ন না করার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপ্লবী শিক্ষার্থী-জনতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করেছে। প্রায় দুই হাজারের ওপর শহীদ ও ২০ হাজারের ওপর আহত বিপ্লবী সাধারণ জনতা খুনি হাসিনা সরকার কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হয়ে বাংলাদেশের জন্য এনেছে নতুন স্বাধীনতার স্বাদ। বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা, মুক্তি ও মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে শপথ নেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আরোহণ করেছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা এই যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সব অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা করে জনবান্ধব আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকরা লক্ষ করছে যে উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন এবং উপদেষ্টামণ্ডলী কর্তৃক অনুমোদনের ক্ষেত্রে সব অংশীজনের অংশগ্রহণের অভাব ও আইন প্রণয়নে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে সম্পূর্ণরূপে অপ্রত্যাশিত। অনুমোদন করা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো পরিলক্ষিত হয়েছে: ১। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে সব অংশীজনের অংশগ্রহণ ও পর্যাপ্ত আলোচনার ব্যতিরেকে উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে, যা 'আইনের শাসন'র ব্যত্যয়। এভাবে গোপনভাবে আইনের খসড়া প্রণয়নের সঙ্গে খুনি হাসিনার অপশাসনকালের আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির গুণগত কোনো প্রকার পার্থক্য নেই। ২। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তাকারী বিশেষ উপদেষ্টা আইনের পুরো খসড়া জনগণের কাছে প্রকাশ না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে অধ্যাদেশের কিছু ধারা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে অংশীজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের অপেশাদার আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অগ্রহণযোগ্য, যা জবাবদিহিতার দাবি রাখে। ৩। সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু বিতর্কিত ধারা বাতিল এবং শাস্তি কমানো ছাড়া অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়ার সঙ্গে বিলোপ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মৌলিক তেমন কোনো পার্থক্য নেই। বরং ধারা ৮-এর উপধারা ১ এবং ২-তে জাতীয় সংহতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি বলে মনে করা যেকোনো তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালককে দেওয়া হয়েছে, যা একজন নাগরিককে এই বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়ার বৈষম্যমূলক পথ তৈরি করবে। এই ধরনের পদক্ষেপ ভিন্নমত দমনে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। অধ্যাদেশটি পড়ে যা বোঝা যাচ্ছে—এখন রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রের চাকরিরত কর্মকর্তারা দেশের সংহতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ইত্যাদির সংজ্ঞা নির্ধারণ করবেন এবং এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেক্ষেত্রে বিগত সরকারগুলো দ্বারা তৈরি করা আইনের সঙ্গে এই আইনের তো তেমন কোনো পার্থক্যই থাকছে না। ৪। জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলে সরকারের মন্ত্রী, আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের আধিক্য, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার এবং ডিএসএ বা সিএসএ আইনে অনিষ্পন্ন মামলাগুলো চলমান থাকা ইত্যাদি নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনেরই ধারাবাহিকতা। ৫। সব অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা না করে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া প্রণয়ন করায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা সুস্পষ্ট করা হয়নি। যেমন: সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ, অনলাইন যৌন নির্যাতন, সাইবার বুলিং, অনলাইন গ্রুমিং, ব্যক্তিগত তথ্য ইত্যাদি। এ ছাড়াও বেশ কিছু বিষয়, যেমন: সেবা প্রদানকারীকে দায়ী না হওয়া, বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতির সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড, সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো ইত্যাদি উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত অনুমোদিত অধ্যাদেশে অনুপস্থিত। ৬। উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুতকারীরা সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ ও কন্টেন্ট ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক খসড়া উপদেষ্টা ও জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছেন। ৭। জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন বা নীতিমালা, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন বা নীতিমালা, ব্লকচেইন আইন বা নীতিমালা, ওটিটি নীতিমালা ইত্যাদি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত অধ্যাদেশে বিস্তারিত ধারা না থাকায় ভবিষ্যতে উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত অধ্যাদেশের সঙ্গে উপরোক্ত আইন বা নীতিমালাগুলো সাংঘর্ষিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৮। উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত অধ্যাদেশের সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও নীতিমালার অগ্রগতিকে ধারণ করে না। এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সামিট অব দ্য ফিউচারে ঘোষিত গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট (জিডিসি) এবং ২৪ ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হওয়া ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট সাইবার-ক্রাইমের নীতিমালাগুলো উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত অনুমোদিত অধ্যাদেশে অনুপস্থিত এবং এই অনুপস্থিতি সৃজনশীল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদের সৃজনশীলতা ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে। যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিকরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মর্মকে ধারণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে, সেহেতু উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলো সুবিবেচনার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি। সাইবার আইনে নানা সময়ে নানানভাবে প্রতিবাদী ভুক্তভোগী হিসেবে আমরা আশা করি যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার কর্তৃক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশসহ ভবিষ্যতে সব ধরনের আইন জনগণের সব অংশীজনের সঙ্গে পর্যাপ্ত পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। ওই ২৭ জন হলেন—বন্দিনী পুনর্বাসন উদ্যোগের ইশরাত জাহান রেইলি, ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক রহিম শুভ, ফেনীর শিক্ষার্থী সাইদুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মঞ্জিলা ঝুমা, বরগুনার সাংবাদিক জামাল মীর, পটুয়াখালীর শিক্ষক নুসরাত জাহান সোনিয়া, রাঙামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহী, ঢাকার সাংবাদিক রুদ্র ইকবাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা, খুলনার সাংবাদিক আবু তৈয়ব, ময়মনসিংহের ভালুকার শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমন, সুনামগঞ্জের সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার, ঢাকার সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন ও মুমিতুল মিম্মা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা, যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের পিএইচডি গবেষক মাইদুল ইসলাম, রংপুরের সাংবাদিক আফরোজা সরকার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, মালয়েশিয়ার শিক্ষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক আল মামুন জীবন, চট্টগ্রামের মানবাধিকারকর্মী ইঞ্জিনিয়ার শাহনেওয়াজ চৌধুরী, নওগাঁর সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দিন আজাদ, ঢাকার গবেষক ও সাংবাদিক বায়জিদ আহমেদ, ডিএসএ ভিক্টিমস নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক গোলাম মাহফুজ জোয়ার্দার ও সদস্য সচিব প্রীতম দাশ এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক ও ডিএসএ ভিক্টিমস নেটওয়ার্কের সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া। জাগতিক/ আফরোজা     
২০২৫ সাল হবে ঘৃণ্য অপরাধীদের বিচারের বছর: চিফ প্রসিকিউটর
যারা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, ২০২৫ সাল সেই সব অপরাধীদের বিচারের বছর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটা নতুন সূর্যোদয় হয়েছে এবং ২০২৫ সাল আমরা শুরু করতে পেরেছি স্বৈরশাসন মুক্ত পরিবেশে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় প্রায়োরিটি আছে। সবচাইতে বড় প্রায়োরিটি এবং সবাই যেটা চান তা হচ্ছে, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে সেগুলোর সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার সমাপ্ত করা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনলের উপরে প্রত্যাশার অনেক বড় চাপ আছে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দেশে যে অপরাধগুলো হয়েছে তার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগামীর ভবিষ্যৎ পুনঃনির্মাণে এবং বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেয়ার জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করাটা প্রয়োজন।  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক তদন্ত রিপোর্ট বা তদন্ত কার্য। সে তদন্তকার্য এখন চলমান আছে। তদন্ত কার্য সমাপ্ত হওয়ার সাথে বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং শেষ হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। নতুন বছরের প্রত্যাশা ও আশাবাদ ব্যক্ত করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একটি আশাবাদ হচ্ছে ২০২৫ সাল হবে যারা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে সেই সব অপরাধীদের বিচারের বছর। সে আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে কাজ করে চলছি। আমরা চেষ্টা করব ২০২৫ সাল যেন বাংলাদেশের সুবর্ণ ইতিহাসের বছর হয়। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে, ২০২৫ সাল অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের বছর হবে। জাগতিক/ আফরোজা      
এস আলম গ্রুপের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নোটিশ দিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এলসি খুলতে না পারায় কাঁচামালের অভাবে সপ্তাহখানেক আগে ৯টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিল্পগ্রুপটি।গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) শিল্পগ্রুপটির মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধের নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, গত ২৪ ডিসেম্বর দেওয়া কারখানা বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করা হলো। উল্লিখিত কারখানাগুলো হলো- কর্ণফুলীর এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইছানগরে এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল নফ, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চেমন ইস্পাত লিমিটেড, এস আলম ব্যাগ ও এস আলম স্টিল। জাগতিক/ আফরোজা    
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টে রিট
খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান হাইকোর্টে রিটটি করেছেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটের বিষয়ে আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান বলেন এই রিটে, রাত ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে তিব্র সাউন্ড দিয়ে কোন অনুষ্ঠান না করা এবং বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি-পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাত ১০ টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্তস্থানে জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওইদিন আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধ চাওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা এই রিটে চাওয়া হয়েছে। জাগতিক/ আফরোজা       
শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলা দাখিল ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার
শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন মাইকেল চাকমা। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর পাঁচ বছর গুম করে রাখার ঘটনায় জড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ জমা দেন মাইকেল চাকমা। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শুরু করে।  মাইকেল চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা। মৌখিক অভিযোগ করার পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মাইকেল চাকমার অভিযোগ আমলে নিয়েছি। শিগগির তার অভিযোগের তদন্ত শুরু করব।’ এর আগে আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমের শিকার ইউপিডিএফের এ নেতা দায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ট্রাইব্যুনালে আসেন। মাইকেল চাকমার সঙ্গে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও তার স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ। মৌখিক অভিযোগের পর মাইকেল চাকমা সমকালকে বলেন, রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে সাদা পোশাকধারী অন্তত সাত-আটজন আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারা চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তোলে। আমি গাড়ির ভেতর একটি ওয়াকিটকি শনাক্ত করতে পেরেছিলাম। প্রথমে তারা আমাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং পরে আরও দুটি কক্ষে নিয়ে যায়, যেখানে নির্যাতন করা হয়। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ির সমাবেশে অংশ নেওয়ার সময় কেন সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল, তারা আমাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল সাংগঠনিক কাজ শেষে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও উদ্বেগ প্রকাশ করে তার সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়। হাইকোর্টে রিট করা হলেও তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিগত সরকার। জাগতিক/ আফরোজা       
হত্যা মামলায় আবার ৪ দিনের রিমান্ডে ইনু
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর প্রগতি সরণিতে মনির নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এর আগে আজ সোমবার সকালে ইনুকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক আবু জাফর বিশ্বাস। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।  রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বিচারক। ইনুর আইনজীবীরা শুনানিতে আদালতকে বলেন, রাজনৈতিক কারণে হাসানুল হক ইনুকে হয়রানি করার জন্য এ মামলায় আসামি করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ মামলায় রিমান্ড না দেওয়ার অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে জেলগেট জিজ্ঞাসাবাদ দেন।  এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে বলেন, আসামি ইনু হত্যা মামলায় ৯ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের সময় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তার ভূমিকা ছিল। মামলার সত্য উদঘাটনের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ইনু এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ইনুদের মতো ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের ইন্ধনে শেখ হাসিনা এত বড় গণহত্যা চালিয়েছেন। তাই তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করছি।  মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন প্রগতি সরণিতে মো. বাহাদুর হোসেন মনির রাস্তা পার হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷  এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. আবু জাফর রাজধানীর গুলশান থানায় শেখ হাসিনাসহ ১০৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাগকিত /আফরোজা