logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
নবীজি আল্লাহর কাছে যেভাবে তাকওয়া ও সচ্ছলতা কামনা করতেন
সকালে পড়ার কিছু দোয়া
সকাল আল্লাহর নিয়ামত। সকালটা দোয়া দিয়ে শুরু হলে ভালো কাটবে সারাদিন। তাই ফজরের পর পড়ার মতো ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে। যেগুলো পড়ে মুমিন বান্দা নানা ধরনের উপকার লাভ করতে পারে। নিম্নে কতিপয় আমল উল্লেখ করা হলো- আয়াতুল কুরসি পড়া রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫) আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দোয়া যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার নিম্নের দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৯) দোয়াটি হলো ‘রাজিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।’ অর্থ : আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার যদি কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পড়ে এবং ওই দিনে বা রাতে ইন্তেকাল করে, তবে সে জান্নাতি হবে। (বুখারি : ৬৩০৬) জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৯) দোয়া: ‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।’ অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর ইবাদতে নিযুক্ত করার চেষ্টা একজন মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শুরুতে এই সহজ কয়েকটি আমল একজন মুমিনকে আল্লাহর নৈকট্য এবং তার রহমতের অধিকারী করবে। আমাদের সকলেরই উচিত, এই সুন্নত অনুসরণ করে প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদেরকে এসব আমল পালন করার তাওফিক দান করুন। দয়াময় আল্লাহর অশেষ রহমত দিয়ে আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনকে বরকতময় করুন। আমিন। জাগতিক /এসআই  
জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও মজবুত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আগামী মার্চের মধ্যে রাষ্ট্রের সংস্কার কাজ শেষ হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
ইজতেমার মাট নিয়ে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সংঘর্ষ, নিহত ৩
বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের আহ‌মেদ ও মাওলানা সাদ কান্দল‌ভি অনুসা‌রি‌দের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০)। আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামার পাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবের সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বহু হতাহত হয়। সাদপন্থিদের প্রভাবশালী মুরুব্বি মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমরা এখন ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণে আছি। জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণে আমাদের তিন ভাই শহিদ হয়েছেন। ময়দানে অনেক জুবায়েরপন্থি চাকু ও ছোড়াসহ আটক হয়েছে।  এদিকে ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম নিহত ও আহতদের খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, এ পর্যন্ত তিনজন নিহত ও অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে আসছে।  সাদপন্থির মি‌ডিয়া সম্বয়ক মোহাম্মদ সা‌য়েম সকাল সা‌ড়ে ৮টায় ব‌লেন, এখন মারামা‌রি হ‌চ্ছে না। এ পর্যন্ত তিনজন মারা গে‌ছে। দুইজনের প‌রিচয় পাওয়া‌ গে‌ছে।  জুবায়েরপন্থির লোকজন ময়দা‌নে আটক আছে। সেনাবা‌হিনী‌কে খবর দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। জুবায়েরপন্থির মি‌ডিয়া সমন্বয়ক হা‌বিবুল্লাহ ব‌লেন, আমা‌দের দুইজন সাথীর মৃত‌্যু হ‌য়ে‌ছে। ভেতরে অনেক নিহত হ‌য়ে‌ছেন ব‌লে ধারনা করা হ‌চ্ছে। আহত হ‌য়ে‌ছে প্রায় ৫ শতা‌ধিক। টঙ্গী প‌শ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হা‌বিবুর রহমান ব‌লেন, ময়দা‌নের প‌রি‌স্থি‌তি এখন শান্ত। ময়দান সাদ পন্থি‌দের দখ‌লে আছে। জাগতিক/ আফরোজা    
মহা পুরষ্কারের ঘোষণা শীতকালের যে ৩ আমলে পাবেন
শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহর দান। এ সময় কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায় প্রকৃতি সাজে নতুনরূপে। এসব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। এখানে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতকালে মুমিনের করণীয় ৩টি আমল তুলে ধরা হলো: বেশি বেশি রোজা রাখা শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। এতে রোজা রাখা খুবই সহজ হয়। তাই এ ঋতুতে সম্ভব হলে বেশি বেশি রোজা রাখা যায়। হজরত আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শীতকালের গনিমত হচ্ছে এ সময় রোজা রাখা।(তিরমিজি: ৭৯৫) নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায় তাহাজ্জুদ নামাজ সব সময় পড়া যায়। তবে শীতকালে রাত অনেক লম্বা হয়। লম্বা সময় ঘুমিয়ে আবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ হয়। মহান আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা সাজদাহ: ১৬)   অসহায়দের শীতবস্ত্র দান করা শীতকালে অসহায় মানুষ বস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্ট করে। একা ভালো থাকা ইসলামের শিক্ষা নয়। বরং সমাজের সবার প্রতি সহানুভূতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কর্তব্য। শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব। মহান আল্লাহ এর মহা পুরস্কার মহা মানবের চিন্তার বাহিরে। জাগতিক / আ-রহমান।
মহানবী (সা.)-এর পরামর্শ বিয়ের জন্য নারীর যে গুণাবলি দেখা উচিত
ইসলামে বিয়ে শুধুমাত্র একটি সামাজিক বন্ধন নয়, এটি দুটি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা এবং সুখ নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। বিয়ে সম্পর্কিত ইসলামের দিকনির্দেশনায় দেখা যায়, উভয় পক্ষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা ও পর্যালোচনা করা অত্যাবশ্যক। হাদিসের আলোকে বিয়ের প্রস্তুতি হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে মেয়েটিকে দেখে নাও। কেননা এতে উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩১০৭)। অন্য একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, এক ব্যক্তি আনসারদের এক মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন নবী করিম (সা.) তাকে মেয়েটিকে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ আনসারদের মাঝে দৃষ্টিগত কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। (সহিহ মুসলিম)। এ থেকেই বোঝা যায়, ইসলামে বিয়ের পূর্বে উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং প্রত্যক্ষ দেখার অনুমতি রয়েছে। এতে দাম্পত্য জীবনে আন্তরিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ দৃঢ় হয়। বিয়ে করার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো: হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিয়ের পূর্বে কিছু বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যা উভয় পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 1. চরিত্র ও ধর্মীয় অনুশীলন: বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে দেখা উচিত, পাত্র বা পাত্রী ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে চরিত্রবান কি না। রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমরা এমন কাউকে বিয়ে করো, যার চরিত্র ও দ্বীন তোমাদের পছন্দ হয়। অন্যথায় সমাজে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১০৮৪-৮৫)। 2. শারীরিক সুস্থতা: উভয় পক্ষের জন্যই শারীরিক দিকগুলো জানা জরুরি। কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত। এতে ভবিষ্যৎ জীবনে ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়। 3. পারিবারিক সম্মতি: বিয়ে শুধুমাত্র দুটি মানুষের নয়; এটি দুটি পরিবারের মধ্যেও একটি বন্ধন। তাই পারিবারিক সম্মতিকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। 4. পারস্পরিক বোঝাপড়া: বিয়ের পূর্বে উভয় পক্ষের পারস্পরিক মনোভাব, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং জীবনধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। ইসলামের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ইসলাম বিয়েকে এমন একটি সম্পর্ক হিসেবে দেখায়, যেখানে দাম্পত্য সুখের জন্য উভয় পক্ষের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক বিষয়গুলোতে সমন্বয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। পারস্পরিক দেখাশোনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটি সুখী পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব। ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি দেখা, আলোচনা এবং উভয়ের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করে না, বরং ভবিষ্যৎ জীবনের সুখ-শান্তির পথও তৈরি করে। জাগতিক /জেএএস
সিন্ডিকেটের কবলে ওমরাহ যাত্রীরা
পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হাজারো বাংলাদেশি এখন চরম সংকটে আছেন। বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি আর কালোবাজারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ওমরাহ যাত্রীদের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ওমরাহ ছাড়াও সৌদিগামী সাধারণ যাত্রীদের টিকেটেরও একই অবস্থা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সৌদি আরবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সৌদি আরবে পবিত্র ওমরা হজ পালনে যান অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এবার টিকিটের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। বিমানের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কিছু এজেন্সি ও কালোবাজারিরা এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।   বিমানের অফিসে ধরনা দিয়েও সমাধান পাননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তবে বেশি টাকা দিলে নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান অনেকে।   সৌদি আরবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনকে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে নেয়ার ইচ্ছা থাকলেও অস্বাভাবিক ব্যয়বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কেউ কেউ।   সৌদি প্রবাসীরা জানান, তারা পরিবারের সদস্যদের ওমরাহ পালন করতে সৌদ আরবে আনতে চাইলেও টিকিটের কালোবাজারি এবং টিকিটের বাড়তি দামের কারণে নিতে পারছে না। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এই সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানিয়েছেন তারা।   এদিকে বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোতেও যাত্রীর নাম বা পাসপোর্ট নম্বর ছাড়াই টিকিট ব্লক করে রাখা হচ্ছে। এতে টিকিটের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতেও সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা।   সৌদি প্রবাসীদের দাবি, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সাধারণ মানুষের ওমরাহ পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
যে ১৪ নারীকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
ইসলামে বিয়ে একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। তবে মুসলিম সমাজে সুস্থ, সুন্দর এবং ন্যায়ভিত্তিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, কিছু সম্পর্কের নারীকে বিয়ে করা ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ। এটি মুসলিম পরিবার ও সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে এমন ১৪ নারী সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, যাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রক্ত সম্পর্কের কারণে নিষিদ্ধ নারী: ১. মা ২. দাদী ও নানী (উর্ধ্বতন যেকোনো মহিলা পূর্বপুরুষ)। ৩. কন্যা ৪. নাতনী ও দৌহিত্রী (নিচের যেকোনো মহিলা উত্তরপুরুষ)। ৫. বোন ৬. ফুফু (পিতার বোন)। ৭. খালা (মাতার বোন)। ৮. ভাইয়ের মেয়ে ৯. বোনের মেয়ে দুধ সম্পর্কের কারণে নিষিদ্ধ নারী: ১০. দুধ মা ১১. দুধ বোন (যারা একই মায়ের দুধ পান করেছে তাদের মধ্যে বিয়ে হারাম)। বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে নিষিদ্ধ নারী: ১২. স্ত্রীর মা (শাশুড়ি) ১৩. স্ত্রীর কন্যা (সৎকন্যা) (শর্ত হলো, যদি সেই সৎকন্যা স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নিয়ে থাকে এবং স্ত্রীকে সহবাস করা হয়ে থাকে)। ১৪. পুত্রবধূ (নিজের ছেলের স্ত্রী)। বিস্তারিত বিধান: ইসলামে এসব নিষেধাজ্ঞা মূলত পারিবারিক অশান্তি ও অস্বাস্থ্যকর সামাজিক সম্পর্ক এড়ানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে সূরা আন-নিসার ২২-২৩ আয়াতে এই নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলোর কথা স্পষ্ট করেছেন। ইসলামের এই বিধান মেনে চলার মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা, শান্তি এবং পবিত্র সম্পর্কের গুরুত্ব অটুট রাখা সম্ভব। জাগতিক/ জেএএস
বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার  /  মমতার কথা নিয়ে ভারতকেযা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার।  প্রয়োজনে  রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাড়তি সেনা পাঠিয়ে সাহায্য করব?।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার রেশ ধরে ভারতকে আক্রমণ শানালেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।  সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারকে তৎপর হওয়ারও আর্জি জানান। সেই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়টি সামনে আসে। আর তারপরই মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যদি ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (বাংলাদেশের) হাই-কমিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর থেকে সহায়তা চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা মিশনে বাড়তি বাহিনী পাঠিয়ে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা করতে পারে। এমনিতে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভঙ্গের যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃখপ্রকাশ করেছে ভারত। সোমবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য 'গভীরভাবে দুঃখিত'।    সেইসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি যাই হোক না, কোনও বৈদেশিক দূতাবাস বা বিদেশি দূতদের জায়গাকে নিশানা উচিত নয়। নয়াদিল্লি বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে সাউথ ব্লক।   যদিও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে রাজি নয় ঢাকা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, 'পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা' চালিয়েছেন আগরতলা সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় ছিল না বলে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ করা হয়েছেে। সেইসঙ্গে দিনকয়েক আগে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন থেকে কিছুটা দূরে যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছিল, তাও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। যদিও সেদিন পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়নি। ডেপুটি হাইকমিশন থেকে বেশি খানিকটা দূরে সাময়িকভাবে উত্তেজনা তৈরি হলেও দ্রুত পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ। সার্বিকভাবে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।   তারইমধ্যে আগরতলায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হলপাড়া থেকে শুরু হয় মিছিল। ভিসি চত্বর পর্যন্ত মিছিল করা হয়। রাজু ভাস্কর্যের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বিক্ষোভ দেখান।    
শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনার ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আজ  মঙ্গলবার  (৩ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে শুরায়ে নেজামের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।   গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে সকালের আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে অপার করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।   হাজারো মানুষের কাঙ্খিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এর আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আব্দুর রহমান। আজ সকাল ৯টা ৫ মিনিটে শুরু করে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন মোনাজাতে হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহিম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনিব-ভৃত্য, ধনী-গরীর, নেতাকর্মী নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ পরওয়ারদেগার আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে চিল্লাধারী মুসল্লিরা ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুর, টঙ্গী ও আশুলিয়াসহ আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সকাল থেকে ময়দানে জড়ো হন।   শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জোড় ইজতেমায় ৪ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া গ্রামের মৃত মুকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী, দিনাজপুর সদরের মোস্তাপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী, সিরাজগঞ্জ সদরের শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম আকন্দ।   শুরায়ে নেজামের ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান জোড় ইজতেমা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমা। শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি।