২০ বলে এলোমেলো চিটাগং কিংস, স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২১ রান
ফরচুন বরিশালের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং কিংস শুরুটা দারুণ করলেও ২০ বলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে শেষ পর্যন্ত থামে মাত্র ১২১ রানে। বরিশালের বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচটি তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে চিটাগং তোলে ১৫ রান। উসমান খানের ব্যাটে জাহানদাদের ওভার থেকে আসে দুটি চার ও একটি ছক্কা। দ্বিতীয় ওভারেও তানভীরের স্পিন সামলে দুটি চারের মার দেন তিনি। উড়ন্ত শুরুতে চিটাগংয়ের সমর্থকরা যখন ম্যাচের রোমাঞ্চে ডুবে গিয়েছিলেন, তখন তৃতীয় ওভার থেকে শুরু হয় নাটকীয় পতন।
তৃতীয় ওভারে রিপন মন্ডলের বলে উসমান খান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মাত্র ১৯ বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরে যান গ্রাহাম ক্লার্ক, পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পাওয়ার প্লেতে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগং।
তীব্র চাপের মুখে সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন এবং আরাফাত সানীর ৩৭ বলে ৩১ রানের জুটি চিটাগংয়ের পুঁজিকে কিছুটা সম্মানজনক করার চেষ্টা করে। মিঠুন ৩৫ রান করেন, তবে তার ইনিংসে বাউন্ডারির অভাব চাপে ফেলে দেয় দলকে। তানভীরের বলে সীমানায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ে তার ইনিংস শেষ হয়।
শেষ পর্যন্ত আরাফাত সানীর ৩৪ বলে ২৭ রানের ইনিংসে চিটাগং স্কোরবোর্ডে তোলে ১২১ রান।
ফরচুন বরিশালের পেসার রিপন মন্ডল এবং ফাহিম আশরাফ ছিলেন বল হাতে অসাধারণ। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট। স্পিনার তানভীর যোগ করেন আরও ২ উইকেট। চিটাগং কিংসের ব্যাটিং লাইনকে চূর্ণ করে ম্যাচটি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আনে বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস: ১২১/১০ (১৯.৫ ওভার) মোহাম্মদ মিঠুন: ৩৫ (৩৯), আরাফাত সানী: ২৭ (৩৪) রিপন মন্ডল: ৩/২৬, ফাহিম আশরাফ: ৩/২২, তানভীর: ২/২৪
বরিশালের সামনে এখন ১২২ রানের সহজ লক্ষ্য। তবে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। ম্যাচের বাকিটা চমক দেখানোর জন্য বাকি রেখেছে কি চিটাগং? সেটা জানার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন