ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ১১:২৭ রাত
ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়
অ- অ+
ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়
ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব : পৃথিবীর প্রতিটি জাতির জীবনেই উৎসব রয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের আনন্দ উৎসব পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী-ধর্মের উৎসবের চেয়ে কিছুটা ভিন্নধর্মী। অন্যান্য জাতি-ধর্মের উৎসব হলো খাও দাও ফুর্তি কর। তাদের আনন্দ উৎসব অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় ভরপুর।
ইসলাম প্রবর্তিত আনন্দ-উৎসব ইহকালীন ও পরকালীন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলমানদের ঈদ নিছক উৎসরই নয় বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। মুসলমানদের ঈদের ইহকালীন তাৎপর্য হলো-রমাদান শেষে সাদাকাতুল ফিতর গরিবদের আর্থিক সহায়তার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। অসচ্ছল পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের তথা দারিদ্র্য বিমোচনে ঈদ যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
মুসলমানদের ঈদের পরকালীন তাৎপর্য হলো-আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমাদান মাসকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ামতে ভরপুর করেছেন। এ মাসেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে। দিনে রোজা রাখার এবং রাত্রিকালীন ইবাদতের মধ্যে অনেক ফজিলতের কথা বিধৃত হয়েছে। লাইলাতুল কদর নামক হাজার রাতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ একটি মহিমান্বিত রাত দান করা হয়েছে এ মাসে। পাপ মোচনের এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় রমাদান মাসে। এ সমস্ত নিয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ আনন্দ উৎসবের ব্যবস্থা। কাজেই ঈদ নিছক আনন্দ উৎসব নয়, এটি একটি ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।
‘ঈদুল ফিতর’ মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতে পরিণত হবে তাদের জন্য যারা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে রমাদানের রোজা পালন করেছে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যে উদ্দেশ্যে রমাদানের রোজা ফরয করেছেন সেই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে রোজা রেখেছেন তথা তাকওয়া অর্জন করেছেন।
যারা পাপমুক্ত জীবন গঠনের মানসিকতা অর্জন করেছে এবং যারা ইসলামের নির্দেশনার গন্ডির মধ্যে থেকে আনন্দ উৎসব পালন করেছে অর্থাৎ যাদের আনন্দ উৎসবে অশ্ললীলতা ও বেহায়াপনা নেই। প্রকৃতপক্ষে এ ঈদ হলো এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। পরবর্তী এগারো মাস সেই প্রশিক্ষণ অনুযায়ী জীবনের বাঁকে বাঁকে চলার এক সফল প্রতিশ্রুতি। তাই একদিকে ‘ঈদুল’ ফিতর যেমন সিয়াম সাধনার সমাপ্তি ঘোষণা করে, অপর দিকে তা নির্মল আনন্দ বয়ে আনে।
ঈদের দিনের সুন্নাত ও মুস্তাহাবসমূহ : ঈদুল ফিতরের দিন নিম্নলিখিত কাজগুলো সম্পাদন করা মুস্তাহাব।
১. নিজ মহল্লার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করা।
২. মিসওয়াক করা।
৩. গোসল করা।
৪. খুশবু ব্যবহার করা।
৫. সাদাকাতুল ফিতর নামাজের পূর্বেই আদায় করা।
৬. সাধ্যানুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা।
৭. খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করা।
৮. ঈদের ময়দানে যাওয়ার পূর্বে কিছু নাশতা করা।
৯. মিষ্টি জাতীয় ও বিজোড় সংখ্যার খেজুর দিয়ে এই নাশতা করা।
মন্তব্য করুন