কবরের তিন প্রশ্ন: পরকালীন জীবনের প্রস্তুতি

মৃত্যুর পর মানুষের পৃথিবীর জীবন শেষ হয়ে যায় এবং শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়—কবর জীবন। কোরআন ও হাদিসে এই জগতকে ‘বারযাখ’ বলা হয়েছে। বারযাখ আরবি শব্দ, যার অর্থ পর্দা বা আবরণ। এটি এমন একটি জগত, যেখানে মানুষ মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত অবস্থান করবে।
বারযাখের জীবন মানুষের জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা হতে পারে। এটি কারও জন্য হবে শান্তির জান্নাত, আবার কারও জন্য হবে জাহান্নামের শাস্তির ঘর। হাদিস অনুযায়ী, মুমিনের কবর হবে প্রশান্তির স্থান, আর পাপীদের জন্য তা হবে শাস্তির জায়গা।
কবর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো, দুনিয়াতে এই প্রশ্ন ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে এখানে তিনটি প্রশ্ন করা হবে।
প্রশ্নগুলো হলো:
তোমার প্রতিপালক কে?
তোমার জীবনব্যবস্থা কী ছিল?
তোমার নবী কে ছিলেন?
প্রতিপালকের উপর আস্থা ও বিশ্বাস
যারা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করে এবং তাঁর নিয়ম মেনে চলে, তারা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কিন্তু যারা এ বিষয়ে উদাসীন ছিল, তারা উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে।
জীবনব্যবস্থার বিষয়ে
দুনিয়ার জীবনে যারা ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারা জানাবে, তাদের জীবনব্যবস্থা ছিল ইসলাম। কিন্তু যারা মানবসৃষ্ট নিয়মকেই জীবনব্যবস্থা হিসেবে বেছে নিয়েছিল, তারা এখানে ব্যর্থ হবে।
নবীর আদর্শ মেনে চলার
শেষ প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে, কার আদর্শে জীবন পরিচালনা করা হয়েছে। যারা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মেনে জীবনযাপন করেছে, তারা এ প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে, যারা অন্যদের আদর্শ অনুসরণ করেছে, তারা বলতে বাধ্য হবে, “আমি কিছুই জানি না।”
কবর জীবনের এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দেওয়া নির্ভর করে দুনিয়ার জীবনযাপনের ওপর। তাই পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান মেনে চলা, ইসলামের পথে থাকা এবং রাসুলের (সা.) সুন্নাহ অনুসরণ করাই হতে পারে সেই জীবনের প্রস্তুতি।
জাগতিক /আ-রহমান।
মন্তব্য করুন