বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার
মমতার কথা নিয়ে ভারতকেযা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার। প্রয়োজনে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাড়তি সেনা পাঠিয়ে সাহায্য করব?।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার রেশ ধরে ভারতকে আক্রমণ শানালেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারকে তৎপর হওয়ারও আর্জি জানান। সেই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়টি সামনে আসে। আর তারপরই মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যদি ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (বাংলাদেশের) হাই-কমিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর থেকে সহায়তা চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা মিশনে বাড়তি বাহিনী পাঠিয়ে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা করতে পারে।
এমনিতে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভঙ্গের যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃখপ্রকাশ করেছে ভারত। সোমবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য 'গভীরভাবে দুঃখিত'।
সেইসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি যাই হোক না, কোনও বৈদেশিক দূতাবাস বা বিদেশি দূতদের জায়গাকে নিশানা উচিত নয়। নয়াদিল্লি বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে সাউথ ব্লক।
যদিও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে রাজি নয় ঢাকা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, 'পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা' চালিয়েছেন আগরতলা সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় ছিল না বলে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ করা হয়েছেে।
সেইসঙ্গে দিনকয়েক আগে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন থেকে কিছুটা দূরে যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছিল, তাও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। যদিও সেদিন পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়নি। ডেপুটি হাইকমিশন থেকে বেশি খানিকটা দূরে সাময়িকভাবে উত্তেজনা তৈরি হলেও দ্রুত পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ। সার্বিকভাবে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
তারইমধ্যে আগরতলায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হলপাড়া থেকে শুরু হয় মিছিল। ভিসি চত্বর পর্যন্ত মিছিল করা হয়। রাজু ভাস্কর্যের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বিক্ষোভ দেখান।
মন্তব্য করুন