logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

মহানবী (সা.)-এর পরামর্শ বিয়ের জন্য নারীর যে গুণাবলি দেখা উচিত

অনলাইন ডেস্ক

  ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৩
ছবি: ইন্টারনেট

ইসলামে বিয়ে শুধুমাত্র একটি সামাজিক বন্ধন নয়, এটি দুটি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা এবং সুখ নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। বিয়ে সম্পর্কিত ইসলামের দিকনির্দেশনায় দেখা যায়, উভয় পক্ষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা ও পর্যালোচনা করা অত্যাবশ্যক।

হাদিসের আলোকে বিয়ের প্রস্তুতি

হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে মেয়েটিকে দেখে নাও। কেননা এতে উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩১০৭)।

অন্য একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, এক ব্যক্তি আনসারদের এক মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন নবী করিম (সা.) তাকে মেয়েটিকে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ আনসারদের মাঝে দৃষ্টিগত কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। (সহিহ মুসলিম)।

এ থেকেই বোঝা যায়, ইসলামে বিয়ের পূর্বে উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং প্রত্যক্ষ দেখার অনুমতি রয়েছে। এতে দাম্পত্য জীবনে আন্তরিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ দৃঢ় হয়।

বিয়ে করার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো:

হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিয়ের পূর্বে কিছু বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যা উভয় পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

1. চরিত্র ও ধর্মীয় অনুশীলন:
বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে দেখা উচিত, পাত্র বা পাত্রী ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে চরিত্রবান কি না। রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমরা এমন কাউকে বিয়ে করো, যার চরিত্র ও দ্বীন তোমাদের পছন্দ হয়। অন্যথায় সমাজে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১০৮৪-৮৫)।


2. শারীরিক সুস্থতা:
উভয় পক্ষের জন্যই শারীরিক দিকগুলো জানা জরুরি। কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত। এতে ভবিষ্যৎ জীবনে ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়।


3. পারিবারিক সম্মতি:
বিয়ে শুধুমাত্র দুটি মানুষের নয়; এটি দুটি পরিবারের মধ্যেও একটি বন্ধন। তাই পারিবারিক সম্মতিকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।


4. পারস্পরিক বোঝাপড়া:
বিয়ের পূর্বে উভয় পক্ষের পারস্পরিক মনোভাব, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং জীবনধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।

ইসলামের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলাম বিয়েকে এমন একটি সম্পর্ক হিসেবে দেখায়, যেখানে দাম্পত্য সুখের জন্য উভয় পক্ষের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক বিষয়গুলোতে সমন্বয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। পারস্পরিক দেখাশোনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটি সুখী পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব।

ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি দেখা, আলোচনা এবং উভয়ের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করে না, বরং ভবিষ্যৎ জীবনের সুখ-শান্তির পথও তৈরি করে।

জাগতিক /জেএএস

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়