গাজার রাস্তায় মানুষের ঢল: যুদ্ধবিরতির খবরে আশার আলো
১৫ মাসের টানা সংঘাত আর সহিংসতার পর অবশেষে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছে। কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ। বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। এর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বইছে।
গাজার রাস্তাঘাট ভরে গেছে উচ্ছ্বসিত জনতায়। খান ইউনিসসহ পুরো গাজা উপত্যকার মানুষেরা নেমেছেন উৎসবমুখর পরিবেশে। স্লোগান, নাচ-গান আর আতশবাজির আলোয় উদযাপন করছেন তারা। শিশুদের চোখেও ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝলক। বহুদিনের ভয়াবহ দিনগুলোর পর এ যেন এক অন্য রকম মুহূর্ত।
বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, চুক্তির অধীনে শুধু যুদ্ধবিরতিই নয়, বন্দি মুক্তির বিষয়েও দুই পক্ষ একমত হয়েছে। চুক্তিটি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে এবং রোববার থেকে এটি কার্যকর হবে।
যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে যুদ্ধবিরতির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনজুড়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। গাজাবাসীর এই উচ্ছ্বাস তাদের দীর্ঘদিনের অব্যাহত সংকট থেকে মুক্তির আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে, দীর্ঘমেয়াদে শান্তি টেকসই করতে উভয় পক্ষের আরও বেশি উদ্যোগ প্রয়োজন।
জাগতিক/ আ-রহমান।
মন্তব্য করুন