গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ইসরায়েলের প্রস্তুতি: আলোচনার নতুন সম্ভাবনা
গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত এবং যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন অগ্রগতির খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এপি। এ সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দক্ষিণ কমান্ড পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর ইসরায়েল গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন জানায়, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, খুব শিগগিরই চুক্তিটি সম্পন্ন হবে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা গেছে, চুক্তিতে কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিমত থাকলেও কয়েকটি মূল শর্তে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
চুক্তির প্রথম দিনেই হামাস তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
ইসরায়েল জনবহুল এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে।
সাত দিনের মধ্যে হামাস আরও চারজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
ইসরায়েল গাজার দক্ষিণের বাস্তুচ্যুত মানুষদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে।
উপকূলীয় সড়ক কেবল পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
যানবাহন, পশু-টানা গাড়ি ও ট্রাক সালাহ আল-দিন রোড সংলগ্ন বিশেষ পথে চলাচল করবে। এই পথ কাতার এবং মিশরের কারিগরি নিরাপত্তা টিমের তত্ত্বাবধানে থাকবে।
কাতার এবং মিশর এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করছে। তারা নিরাপত্তা ও পরিবহন প্রক্রিয়া তদারকির পাশাপাশি এই চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চুক্তির বাস্তবায়ন গাজা উপত্যকায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন গাজার দিকে, যেখানে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সংকট নিরসনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
জাগতিজ/আ-রহমান।
মন্তব্য করুন