বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি যোগাযোগ: নতুন দিগন্তের পথে
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সেই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এবার আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই চালু হতে পারে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল।
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ছে। ইতোমধ্যে করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এবার আকাশপথেও একই রকম সংযোগের পরিকল্পনা করছে দুই দেশ।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকায় আয়োজিত এক সভায় সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, "চলতি বছরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। তবে এটি আগে কোন এয়ারলাইন চালু করলো, তা বড় বিষয় নয়। আমরা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে চাই।
সভায় ফ্লাইট চালুর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ভিসা জটিলতা সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়। বক্তারা জানান, ভিসা সহজ হলে বাংলাদেশের কৃষি, পর্যটন, টেক্সটাইল এবং সিরামিক খাতে পাকিস্তানি বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভ্রমণ বাড়বে।ব্যবসায়ীদের যাতায়াত সহজ হবে।জনগণের মধ্যে সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটবে।
সম্প্রতি করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগ দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়েছে। এ পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় সরাসরি বিমান চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা আঞ্চলিক যোগাযোগে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভিসা নীতির জটিলতা এবং কূটনৈতিক বাধাগুলো দূর করা না গেলে এ উদ্যোগ পূর্ণ সফলতা পাবে না। দুই দেশকে কৌশলগতভাবে সমঝোতায় পৌঁছে প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। এটি শুধু দুই দেশের জনগণের যাতায়াতকেই সহজ করবে না, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিনিয়োগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জাগতিক /এসআই
মন্তব্য করুন