দুই হাজার আসামীর মধ্যে ১৫০০ জনই মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত
জঙ্গি বা ভয়ংকর অপরাধীদের সাথে কারাগারে পলক

সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে দুই হাজার আসামির সাথে রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫০০ জনই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে শাহবাগে রিয়াজুল নামের এক ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পলকের বিষয়ে শুনানি চলছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক একরামুল হক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
শুনানি চলাকালে পলক নিজেই আদালতকে জানিয়ে বলেন, কাশিমপুর কারাগারে তাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি এবং ৫ হাত লম্বা ও ৪ হাত চওড়া সেলে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, ওই কারাগারে বেশিরভাগ আসামি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং তাদের সঙ্গে তাকে একসাথে রাখা হয়েছে।
পলক আরও বলেন, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা কিংবা ফোনে কথা বলার কোনো সুযোগও তাকে দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে তিনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কাশিমপুরে তাকে যে সেলে রাখা হয়েছে, সেখানে তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং সেলটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ সেখানে জঙ্গি বা ভয়ংকর অপরাধীদেরও রাখা হয়েছে।
এসময় আদালত তাকে লিখিত আবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এরপর আদালত তার গ্রেপ্তার আবেদনের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন এবং পলককে কারাগারে পাঠানো হয়।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইসলাম রাখি সংবাদমাধ্যমকে জানান, পলক তার ব্যক্তিগত মতামত আদালতে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, গত ২৭ অক্টোবর তাকে ডিভিশন দেয়া হয়েছিল এবং ডিসি থেকে অনুমোদনও পেয়েছিলেন। কিন্তু কাশিমপুরে তাকে হাইসিকিউরিটি সেলে স্থানান্তরিত করার পর তার ডিভিশন সুবিধা বাতিল হয়ে যায়, যা তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।
ফারজানা ইসলাম আরও বলেন, "ফাঁসির আসামিদের সাথে তাকে রাখা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গি। এই পরিস্থিতিতে তার নিরাপত্তা চরমভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি আসামিকে সপ্তাহে একবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়, কিন্তু পলককে সেই সুযোগও দেয়া হচ্ছে না।"
তিনি জানান, বিষয়টি আদালতের কাছে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, এবং যদি প্রয়োজন হয়, তারা লিখিতভাবে এ বিষয়ে আবেদন করবেন।
মন্তব্য করুন