logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
জাতীয় নাগরিক কমিটিতে শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৪ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ফিরতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার না করলে এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফেরা সম্ভব নয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাদের সহযোগীদেরও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো দেখিয়েছে, জুলাই-আগস্টে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর কীভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী হত্যাকাণ্ড ও হৃদয় হত্যার ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। তিনি জানান, আরও তথ্যচিত্র তৈরি হচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে সংঘটিত অপরাধের চিত্র তুলে ধরছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা অতীতের কিছু বিষয়, যেমন ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং একদলীয় শাসনের স্মৃতি ভুলিয়ে দিতে চাইলেও বর্তমান প্রজন্ম এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, তারা মূলত দেশের প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধ স্বীকার না করে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয় বলেও তাদের মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে।
সাতক্ষীরায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে সংস্কার করার সুযোগ নেই
আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছিল না: আব্দুল মঈন খান
সুষ্ঠু ভোট উপহার দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নির্বাচন কমিশন
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক 
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) তাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে ড. ইউনূস ও প্রেসিডেন্ট স্টাব বৈশ্বিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ভূ-রাজনীতিতে গ্লোবাল সাউথের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা এবং রোহিঙ্গা সংকট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ডব্লিউইএফ সম্মেলনে অংশ নিতে সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন ড. ইউনূস। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ডাভোসে পৌঁছালে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও ভূমিকা জোরদার করার একটি বড় উদাহরণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা জোরদারের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানা গেছে। চার দিনের সরকারি সফরে ড. ইউনূস বিভিন্ন বৈঠক এবং আলোচনায় অংশ নেবেন। তিনি আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তার এই সফর বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রসারিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডব্লিউইএফ সম্মেলন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা ও সমাধানের পথ খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এখানে ড. ইউনূসের উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই বৈঠক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং বৈশ্বিক অংশগ্রহণকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাগতিক /এস আই
দেশের ৬৮ শতাংশ বাস ট্রাকের চালক কানে শোনেন না,পরিবেশ উপদেষ্টা 
বাংলাদেশে বাস ও ট্রাকের ৬৮ শতাংশ চালক শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন। রাজধানী ঢাকায় শব্দদূষণের মাত্রা এত বেশি যে এটি পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ আওয়াজপূর্ণ শহর হিসেবে পরিচিত। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, "বাংলাদেশ শব্দ ও বায়ুদূষণে শীর্ষে অবস্থান করছে। আগামী মাস থেকে শব্দদূষণ রোধে ‘হর্ন ক্যাম্পেইন’ শুরু করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।" পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে স্বেচ্ছাসেবকদের সনদ বিতরণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পলিথিন বন্ধে চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, "২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এখন ২০২৪ সালে আমরা আবার এই বিষয়ে কাজ করছি। অনেকেই আমাদের সমর্থন করছেন, আবার কেউ কেউ কাজের ধীরগতিতে হতাশ। তবে এ কাজ সময়সাপেক্ষ এবং আমাদের ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।" উপদেষ্টা আরও বলেন, "পলিথিনের বিকল্প নেই—এমন ধারণা ভুল। আমাদের বাবা-দাদারা পাটের চটের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতেন। এটি প্রথাগতভাবেই পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।" তিনি বলেন, "শুধুমাত্র পলিথিন শপিং ব্যাগ নিয়েই কাজ শুরু করেছি। এটি বন্ধ করা সবার স্বার্থে জরুরি। তা না হলে আমাদের মাটি, নদী ও লেকের পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।" শব্দ ও পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাগতিক/ এস
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস
সারজিস আলম জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ফাউন্ডেশনের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য এর গঠনতন্ত্র, কাঠামো এবং কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে একটি এক্সিকিউটিভ কমিটি। এ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও)। বর্তমানে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফাউন্ডেশনের নীতি নির্ধারণে কাজ করবে একটি গভর্নিং বডি। এতে প্রধান উপদেষ্টাসহ স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার এবং আইসিটি সংশ্লিষ্ট চারজন উপদেষ্টা থাকবেন। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, ফাউন্ডেশনে আর সাধারণ সম্পাদক নামে কোনো পদ থাকবে না। সারজিস জানান, তিনি ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব পালন করেছেন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। দায়িত্ব পালনকালে ফাউন্ডেশন ভ্যারিফাইড ৮২৬ জন শহিদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে এবং প্রায় ১১ হাজার আহতের মধ্যে ২ হাজার জনকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, যতদিন সম্ভব হয়েছে, ততদিন তিনি ফাউন্ডেশনে সময় দিয়েছেন। তবে যখন মনে হয়েছে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব নয়, তখনই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে দায়িত্ব ছাড়াকে তিনি দুর্বলতা নয়, বরং সৎ সাহসের উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। তিনি চেষ্টা করেছেন দায়িত্বের প্রতি সর্বোচ্চ সততা বজায় রাখতে।
বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের অধ্যাদেশ জারি
উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ এখন থেকে একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, হাইকোর্টে বিচারক পদে পরবর্তী নিয়োগ এই নতুন প্রক্রিয়াতেই হবে। আইন উপদেষ্টা জানান, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। এতে থাকবেন আপিল বিভাগের দু’জন বিচারক (একজন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন কর্মরত), হাইকোর্টের দু’জন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল। এই কাউন্সিলের নাম হবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল। এই কাউন্সিল সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই এবং সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে। যেকোনো ব্যক্তি বা আইনজীবী নিজে আবেদন করতে পারবেন অথবা অন্য কারও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। যাচাই প্রক্রিয়া শেষে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে উচ্চ আদালতে দলীয় বিবেচনায় অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে উচ্চ আদালত অনেক ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এটি দেশের ১৭ কোটি মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি ছিল। নতুন এই অধ্যাদেশ সেই প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন আপাতত সম্ভব নয়
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় বর্তমানে লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে তাঁর চিকিৎসা চলছে। লিভারের বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে তাঁকে ‘হিউম্যান সিরাম অ্যালবুমিন’ দেওয়া হচ্ছে, যা লিভারের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বয়স ও শারীরিক জটিলতা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, খালেদা জিয়ার শারীরিক সক্ষমতা ভালো থাকাকালে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসক দলের একজন সদস্য জানান, শারীরিক জটিলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে। তবে, লিভার প্রতিস্থাপনের মতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তাঁর ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনিরা নিয়মিত হাসপাতালে এসে খোঁজ নিচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বাসা থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি তাঁকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কিংস কলেজ হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম আগামীকাল তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার তিনি বাসায় ফিরতে পারেন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৮ জানুয়ারি থেকে তিনি সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং তার চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন অধ্যাপক ডা. জন প্যাট্রিক কেনেডি। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনার পর তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে পরিদর্শন করবেন। বর্তমানে তিনি ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে যদি শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তার চিকিৎসকরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার কিডনি, লিভার এবং হার্টের অবস্থা নিয়ে তারা বিশেষভাবে চিন্তিত। তার বয়স বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বোর্ড তার চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে একটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এর আগে তিনি কয়েকবার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিলেন। ডা. জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া প্রয়োজন। তিনি আশা করেন, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিগগিরই তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছান। বর্তমানে তিনি সেখানকার ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অগ্রগতি নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাগতিক /এস আই
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন / বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন
রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুই ছাত্রীসহ আটজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঢাকার ডেমরায় আগের দিন সংঘটিত একটি হামলার বিচার চাইতে শিক্ষার্থীদের একটি দল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, ‘সমন্বয়কদের গুনি না।’ এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে মারামারিতে রূপ নেয়। আহতদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা এক শিক্ষার্থীকে টেনে কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনার সময় কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে কয়েকজনকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে।” সাংবাদিকদের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় তাঁদের ভিডিও করতে বাধা দেওয়া হয় এবং মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলা হয়। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কার্যালয়ে কিছু ব্যক্তি জোরপূর্বক প্রবেশ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁরা নির্বাহী সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালান। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য, সংঘর্ষে জড়িতদের মধ্যে কেউ কেউ সংগঠনের নিয়মিত সদস্য নন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।