আন্তর্জাতিক তদন্তে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সম্পদ পাচারের খোঁজ

বিভিন্ন দেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ পাচারের বিষয়ে তদন্তে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। এই তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশ আকারে চালু হবে।
সম্প্রতি এক টাস্কফোর্স সভায় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে ৬টি দেশের (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, কেমান দ্বীপপুঞ্জ) ব্যাংক একাউন্ট এবং সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) এর তদন্তে দেশে ১১টি ব্যাংক একাউন্টে প্রায় ৫ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া, বিদেশে ১৩৪টি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ৬৩৪ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা ১১টি মামলার মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির অনুসন্ধান চলছে। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, কর ফাঁকি, এবং অন্যান্য অভিযোগে তদন্তের পাশাপাশি আদালত ২০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের টাস্কফোর্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনজীবী ফার্মগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করে বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ আইন তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে আনা এবং এই বিষয়ে বিদেশি আইনজীবীদের সহযোগিতা গ্রহণ।
এই বিশেষ আইনটি, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে একটি কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পাচারকৃত অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর হবে।
মন্তব্য করুন