মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা
১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সুপারভাইজার!

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসার ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন এক সুপারভাইজার। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সিহাব উদ্দিন, যিনি দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফারাংপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। অভিযোগকারী ব্যক্তি মো. মোক্তার হোসেন শামীম, যিনি ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের ডিস্ট্রিবিউটর ও দুর্গাপুর পৌর শহরের কথা টেলিকমের স্বত্বাধিকারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিহাব উদ্দিন ছিলেন প্রতিষ্ঠানের বিশ্বস্ত কর্মচারী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ হিসাব ও মূল (মাদার) সিমকার্ড পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৩ মার্চ দুপুরে ঝানজাইল বাজারে যাওয়ার কথা বলে তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হন। সন্ধ্যায় ফোন করলে তিনি জানান, পূর্বধলা এলাকায় আছেন এবং দ্রুতই দুর্গাপুর ফিরবেন। তবে পরে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রাতে সিহাবের চাচা আজগর আলী প্রতিষ্ঠানের মালিককে ফোন করে জানান, সে এখনো বাড়ি ফেরেনি। সন্দেহ হওয়ায় তার ব্যক্তিগত নম্বর ও ব্যবসার মূল সিমকার্ডে ফোন করা হলে সব নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে রকেট অফিসের হটলাইন (১৬২১৬) নম্বরে যোগাযোগ করলে জানা যায়, মাদার সিমকার্ডে মাত্র ১৫,৫০০ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে, বাকি ১৭ লাখ টাকা বিভিন্ন সময়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মোক্তার হোসেন শামীম জানান, "আমি কম্পানির মাধ্যমে জানতে পারি, সিহাব দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতি করে টাকা সরাচ্ছিল। সে হিসাবরক্ষণ ও আর্থিক লেনদেন একাই পরিচালনা করত, তাই বিষয়টি আমার নজরে আসেনি।"
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ প্রতারকের সন্ধানে মাঠে নেমেছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
এ ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা রাখা, একক ব্যক্তির ওপর পুরো হিসাব রক্ষণ না রাখা ও নিয়মিত হিসাব যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন