ঔষধের দাম আরও বাড়ানোর চেষ্টা!

বাংলাদেশের বাজারে ২০,০০০ ঔষধের মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাত্র ৪১৭টি ঔষধ , যা অত্যাবশ্যকীয়। বাকি ঔষধ গুলোর দাম নির্ধারণের জন্য কোম্পানিগুলো কাঁচামাল, উৎপাদন খরচ, প্যাকেজিং খরচ সহ অন্যান্য খরচ যুক্ত করে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এসব আবেদন যাচাই করে ভ্যাটসহ দাম নির্ধারণের অনুমোদন দেয়।
তবে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে যে, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঔষধের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে, যার কারণে অনেক কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এবং বাজারে ওষুধের প্রাপ্যতা কমে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, ঔষধের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়বে, যা মোকাবিলা করতে সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি ভ্যাট ও ট্যাক্স কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমানোর পরামর্শ দেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (BAPI) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি প্রণোদনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঔষধের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে, সরকারকে উচিত ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে ওষুধ পেতে পারেন এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমানো যায়।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন