পরিকল্পিতভাবে ৯ হাজারের বেশি বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত করে পরিকল্পিতভাবে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছিল। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে চাকরিচ্যুত সদস্যরা এই দাবি জানান। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—
প্রথমত, পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং প্রহসনের বিস্ফোরক মামলা বাতিল করা। তৃতীয়ত, পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত 'ব্যতীত' শব্দ ও কার্যপরিধি ২-এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা এই দাবির সাথে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং জেলে মৃত্যুবরণ করা প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। তারা আরও দাবি করেছেন যে, ‘বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআর’ নামটি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে।
এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পরিবার সদস্যরাও। তাদের বক্তব্য, বিনা অপরাধে তাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন