ইস্তেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত কাল

প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সম্মেলন, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। এর প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ আগামীকাল বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
এই বছরের বিশ্ব ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ৫ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত। আখেরি মোনাজাতের সময় লাখো মুসল্লি একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করবেন।
এ সময় মুসল্লিরা নিজেদের জন্য, পরিবার ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি, কল্যাণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, এবং দুনিয়া ও আখেরাতে ভালোবাসা ও রহমতের জন্য প্রার্থনা করবেন।
দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমদ। তার নেতৃত্বে মোনাজাতে মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। এর মাধ্যমে শেষ হবে এবারের ইস্তেমার দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম।
আজ মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, সকাল থেকে মুসল্লিরা বাদ ফজর জিকির আসকার এবং ইবাদত-বন্দেগীতে দিন কাটাচ্ছেন। ইস্তেমার এই পর্বে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে ঈমানি আলোচনা, বয়ান, এবং বিশেষ ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছেন। বিশেষ করে, গতকাল বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশিদ বয়ান প্রদান করেন, যেখানে তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপর গুরুত্ব দেন।
বিশ্ব ইজতেমা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় সমাবেশ, যেখানে মুসল্লিরা আল্লাহর রাহে একত্রিত হন, নিজেদের ঈমানকে শক্তিশালী করেন এবং মুসলিম উম্মাহর উন্নতি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করেন। এই ইস্তেমা মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও একতার বার্তা প্রচার করে, এবং ইসলামের শান্তিপূর্ণ পথ অনুসরণের আহ্বান জানায়।
বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা মুসল্লিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে। তুরাগ নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন