আবারও ২০ বিলিয়নের ঘরে দেশের রিজার্ভ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে এ অবস্থানে আসে। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পাওনা ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে গিয়েছিল।
গত ৯ জানুয়ারি আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিলের দায় বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তখন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ শুরুর আগে রিজার্ভ ৩২-৩৩ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা থাকায় রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সরকারের কৌশল ও নীতিনির্ধারণে আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমদানি খরচ নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে এগোলেও আন্তর্জাতিক আর্থিক হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ বজায় রাখা হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন