তেল ও চালের বাজারে অস্থিরতা, স্থিতিশীল সবজির দাম
দেশের বাজারে সয়াবিন তেল ও চালের দাম বেড়েই চলেছে। গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা তেলের সংকটে ভুগছেন। একইসঙ্গে, মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো চালের দামও বেড়েছে। তবে সবজির বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে।
সয়াবিন তেলের সংকট
সয়াবিন তেলের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। গত মাসে দাম বাড়ানোর পরও তেল সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে। পাড়া-মহল্লার অনেক দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অর্ডার ও অগ্রিম টাকা দিয়েও তেল মিলছে না। কোম্পানিগুলো অন্যান্য পণ্য কিনতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। গ্রাহকরাও জানিয়েছেন, তেল কিনতে একাধিক দোকানে যেতে হচ্ছে, এবং কখনো কখনো অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সরকার নির্ধারিত দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকা এবং খোলা তেল ১৫৭ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে বাজারে এই দাম অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী
বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। গত এক মাসে চিকন চালের দাম ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা এবং মাঝারি চাল ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ এর দাম ৬০ থেকে ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসলার বাজার অস্থির
শুকনা মরিচ, জিরা এবং ছোট এলাচের দামও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে শুকনা মরিচ ও জিরা কেজিতে ৫০ টাকা এবং ছোট এলাচ ২০০ টাকা বেড়েছে।
সবজির দাম স্থিতিশীল
সবজির বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও কিছু সবজির দাম এখনও বেশি। করলা ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, এবং কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, লাউ ৫০ টাকা পিস, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ টাকা, এবং পেঁপে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে আলুর দাম কমেছে, যা এখন ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত
মুরগি ও ডিমের বাজারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩৭০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মন্তব্য
রামপুরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া বলেন, “সবজির দাম প্রায় আগের মতোই আছে। তবে সয়াবিন তেল ও চালের বাজার এখনো অস্থির।” অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তেলের বাজারের সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
চালের দাম ও তেলের সংকট বাজারের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন