১৬ বছর পর মুক্তি: বিডিআর সদস্যদের ঘরে ফেরার আনন্দে আত্মীয়দের ভিড়
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর কারাভোগের পর কাশিমপুর কারাগার থেকে একে একে মুক্তি পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে তারা কারাগার ছাড়তে শুরু করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মোট ১৬৮ জন বিডিআর সদস্য মুক্তি পাচ্ছেন। এর মধ্যে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তৎকালীন বিডিআরের ১২৭ জন সদস্য। জানা গেছে, কাশিমপুর-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ থেকে ৮৯ জন, এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ১২ জন মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন আরও ৪১ জন।
কারাগার ফটকে স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের জন্য অপেক্ষা করছেন। ইতোমধ্যে ১৬ জন সদস্য মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হয়। সেখানে ৮৫০ জনের বিচার শেষে ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ২৭৮ জন আসামি খালাস পান।
গত রবিবার (২০ জানুয়ারি) বিস্ফোরক মামলায় জামিন পান হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে এই জামিন দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ১৭৮ আসামির জামিননামা পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
বিডিআর সদস্যদের মুক্তির খবরে তাদের স্বজনদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। অনেকেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয়জনদের ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রায়, কারা কর্তৃপক্ষের বিবৃতি।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন