রমজান উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে নিত্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। ভারত থেকে ছোলা, কিশমিশ, বাদাম, নারিকেলসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে গতি এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার রেট স্থিতিশীল থাকলে এবং এলসি জটিলতা পুরোপুরি সমাধান করা গেলে আমদানির পরিমাণ আরও বাড়বে, যা বাজারে পণ্যের সরবরাহ এবং দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিলি বন্দরের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বন্দরে আসা পণ্য দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মার্চ মাসে আমদানির কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে।
হিলি কাস্টমস ও বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসে ৭৩টি ট্রাকে ১,৭২৮ মেট্রিক টন ছোলা, বাদাম, কিশমিশ এবং নারিকেল আমদানি হয়েছে। এই আমদানি কার্যক্রম রমজানে পণ্যের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “রমজানে ছোলা, কিশমিশ এবং বাদামের চাহিদা ব্যাপক। তবে ডলার সংকট কিছুটা কমলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই এলসি জটিলতা দূর হলে আরও পণ্য আমদানি করা যাবে।”
অন্য এক ব্যবসায়ী মো. আবদুল মালেক বলেন, “বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে বন্দরের কার্যক্রম আরও বাড়ানো দরকার। আমদানি কার্যক্রম দ্রুত হলে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।”
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম জানান, “আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। রমজানে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে আমরা আরও উদ্যোগ নেব।”
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি জটিলতা কমানোর পাশাপাশি ডলার রেট স্থিতিশীল রাখা গেলে রমজানে পণ্যের চাহিদা মেটানো আরও সহজ হবে। এই উদ্যোগ দেশের নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন তারা।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন