ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে না আওয়ামী লীগ
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, নানামুখী নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার এবং মামলা-হামলার কারণে এখনও তারা কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
ক্ষমতা হারানোর পর থেকে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, অনেকে আত্মগোপনে আছেন। এমনকি দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। দলীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার নামে প্রায় আড়াই শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেকের নামে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে।
অপরাধমূলক মামলার কারণে অনেক নেতা কারাগারে বন্দি। এ পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থগিত হয়ে আছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকেই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। কেউ প্রকাশ্যে আসতে সাহস পাচ্ছেন না।
রাজনীতিতে ফেরার উদ্যোগ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারা জানাচ্ছেন, জানুয়ারির পর নেতাকর্মীদের রাজনীতিমুখী করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। তবে দলের অভ্যন্তরে হতাশা প্রকট। মধ্যম স্তরের এক নেতা বলেন, “নেতাকর্মীরা এখনো চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার আমাদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে আসার মতো অবস্থা এখনও তৈরি হয়নি।
দলীয় নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মামলার শিকার হচ্ছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরতে বড় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দলটিকে।
জানুয়ারির পর রাজনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ধীরে ধীরে মাঠে ফেরার কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে তাদের মূল লক্ষ্য হলো নেতাকর্মীদের ধৈর্যশীল রাখা এবং দমনপীড়নের পরিস্থিতিতে টিকে থাকা।
দলের নেতারা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাঠের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই। তবে ধৈর্য ধরে রাজনৈতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। তারা আশাবাদী, পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে আবারও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন