পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (PSO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসান সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেছেন। এই সফর দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অচল সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এই সফর নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক কার্যত অচল ছিল। বারবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে শান্তি উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসানের এই সফর সেই সম্পর্কোন্নয়নের প্রতীক বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
পাকিস্তান সফরে জেনারেল হাসান দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটি (CJCSC) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে বৈঠক করেন।
পাকিস্তানের আইএসপিআর-এর বিবৃতি অনুসারে, বৈঠকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা ইস্যুতে আদান-প্রদান এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।
দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
বৈঠকের বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন,
দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহিঃশক্তির প্রভাব সত্ত্বেও আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় থাকবে।
জবাবে বাংলাদেশের পিএসও বলেন,
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনে তাদের অসাধারণ আত্মত্যাগ ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
উভয়পক্ষই একমত হয়েছেন যে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক শুধু পারস্পরিক সহযোগিতা নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
১৯৯৬ সালের পর এটাই প্রথম কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এই সফর দুই দেশের কূটনৈতিক এবং সামরিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন অনেকেরই নজর এই নতুন দিক নির্দেশনার দিকে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন