বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সামরিক নেতৃত্বের সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দপ্তরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ এই সম্পর্ককে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বহিরাগত চাপের মধ্যেও এটি দৃঢ় রাখার ওপর জোর দেন।

প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পরিকল্পনা

বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতে তথ্য বিনিময়, যৌথ উদ্যোগ এবং সহযোগিতা বাড়িয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পাকিস্তানের যৌথ চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গেও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের বৈঠক হয়। এতে কৌশলগত স্বার্থ এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার নতুন উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয়পক্ষই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন।

সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

গত কয়েক বছর ধরে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক সীমিত ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়তে শুরু করেছে।

বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এই সামরিক ও কূটনৈতিক অগ্রগতি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।