সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে মামলা
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার তহমুল ইসলাম মাজহারুল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় গণহত্যায় নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় ১২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো। মামলায় তিনি তিন নম্বর আসামি।
তহমুল ইসলাম মাজহারুল বিএনপির একজন কর্মী। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এখন সুস্থ হওয়ায় মামলা করেছেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলাসহ পুরো জেলায় প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় চার হাজার জনের নাম উল্লেখসহ ১০ হাজারের বেশি অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, "মামলার বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
কিশোরগঞ্জের সরকারি কৌসুলি (পিপি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, "সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা করায় কোনো আইনি বাধা নেই। যে কেউ চাইলে মামলা করতে পারেন। তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া এই মামলাগুলো রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে। মামলাগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা না গেলে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। বিচার প্রক্রিয়া এবং মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা না হলে এ নিয়ে বিতর্ক ও সংঘাত বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাগতিক /এসআই
মন্তব্য করুন