মিথ্যা মামলায় হয়রানি, স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন গাছা থানায়
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার মাদক মামলায় ভুক্তভোগী যুবক শাহরিয়ার ফারুক গৌতম বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। একাধিক মাদক মামলায় অভিযুক্ত হলেও পরিবারের দাবি, এসব মামলা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইতোমধ্যে আদালত বেশ কয়েকটি মামলায় তাকে অব্যাহতি দিলেও নতুন করে আরও মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী শাহরিয়ার ফারুক গৌতম গাজীপুর সিটির ৩২নং ওয়ার্ডের বসুরা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ মামলা দায়ের করা হয় চলতি বছরের ২৫ মে। গাছা থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন ওই মামলায় শাহরিয়ারকে দ্বিতীয় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। মামলার প্রধান আসামি হিসেবে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের সালমা আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার ১নং আসামি সালমা আক্তার জামিনে এসে জানিয়েছেন, তিনি শাহরিয়ার ফারুক গৌতমকে চেনেন না এবং তার নাম কখনও উল্লেখ করেননি। সালমা বলেন, “আমার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করা হয়নি। তবুও ৫০ পিস ইয়াবা দেখিয়ে আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। শাহরিয়ারের নাম কীভাবে মামলায় যুক্ত হলো, তা আমি জানি না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলিম আল রাজি জিবন বলেছেন, “কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা আইনত অপরাধ। এটি মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং একজন স্বাধীন নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ন করে। এ ধরনের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।
সর্বশেষ মামলার বাদী এসআই সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “২৫ মে গাছা থানার বোর্ডবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালমাকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। সালমার দেওয়া তথ্যমতে শাহরিয়ার ফারুক গৌতমের নাম আসে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
শাহরিয়ার ফারুক গৌতমের পরিবার দাবি করছে, তিনি বারবার মিথ্যা মামলায় জড়িত হচ্ছেন, যা তাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর ও ক্ষতিকর। একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেও মিথ্যা মামলা বন্ধ হয়নি। তারা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে ন্যায্য বিচার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হলে সমাজে আইনশৃঙ্খলার প্রতি মানুষের আস্থা হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে, প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কীভাবে এই বিষয়টি সমাধান করে এবং ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচার পায় কিনা।
জাগতিক /এসআই
মন্তব্য করুন