রমজান সামনে রেখে টিসিবির পণ্য মজুদ কার্যক্রম জোরদার
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ বাড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভোক্তাদের স্বল্পমূল্যে মানসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
গত রমজানে টিসিবির সরবরাহকৃত খেজুরের মান নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়। ভোক্তাদের এ অভিযোগ আমলে নিয়ে এবার মানসম্মত খেজুর সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ন কবির জানান, “এবার ভোক্তাদের জন্য ভালো মানের খেজুর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে এসব পণ্য বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
টিসিবি কোনো পণ্য আমদানি করার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (PSI) ও টেস্টিং সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে। এ বিষয়ে হুমায়ন কবির বলেন, “আমরা নিশ্চিত করি যে, কোনো নিম্নমানের পণ্য আমদানির অনুমতি না দেওয়া হয়। বিদেশি টেস্টিং কোম্পানির অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য দেশে প্রবেশ করতে পারে না।
রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে টিসিবি নিম্নলিখিত পণ্য বিক্রি করবে:
২০ হাজার টন মসুর ডাল
২ কোটি লিটার ভোজ্যতেল
১০ হাজার টন চিনি
১০ হাজার টন ছোলা
১,৫০০ টন খেজুর
এই পণ্যগুলো সারাদেশের ৮,২৫০ জন ডিলারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
টিসিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ডিলার ও ভোক্তারা। তারা আশা করছেন, এবার স্বল্পমূল্যে মানসম্মত খেজুর ও অন্যান্য পণ্য পাওয়া যাবে। ভোক্তারা বলছেন, “রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। টিসিবি’র এ উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে এসব পণ্য সরবরাহ করবে, যা রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। টিসিবি’র এই উদ্যোগ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যতম সাশ্রয়ী বাজার ব্যবস্থাপনা হিসেবে টিসিবি ইতোমধ্যে দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এবারও রমজানে টিসিবি’র কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাগতিক/ এসআই
মন্তব্য করুন