সিগারেটের দাম আকাশছোঁয়া, চিন্তায় ধূমপায়ীরা
সরকার সম্প্রতি পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম বেড়েছে। এতে ধূমপায়ীদের মধ্যে চরম অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। অধ্যাদেশে চারটি স্তরে সিগারেটের দাম এবং শুল্ক উভয়ই বাড়ানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মূল্য বৃদ্ধির পরিসংখ্যান
বেনসন (১২ শলাকা): ১৯৪ টাকা থেকে বেড়ে ২২২ টাকা।
বেনসন (২০ শলাকা): ৩২৪ টাকা থেকে ৩৭০ টাকা।
ডারবী (২০ শলাকা): ৫২ টাকা থেকে ৭২ টাকা।
বিড়ি (২০ শলাকা): ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা।
শহরের ধূমপায়ী সাংবাদিক রাশেদ রাসু বলেন, “সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দাম বাড়ায় সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।”
চায়ের দোকানদার মন্টু খান জানান, “দাম বৃদ্ধির কারণে বেচাকেনা কমে গেছে। আগে যেখানে বেশি সিগারেট বিক্রি হতো, এখন ধূমপায়ীরা অনেক কম ক্রয় করছে।”
গণমাধ্যমকর্মী কাজী ইমরান বলেন, “ধূমপায়ীরা এখন চরম বিপাকে। অনেকেই সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। সিগারেটের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবি জানাচ্ছি।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিগারেটের দামে এই হঠাৎ বৃদ্ধি ধূমপায়ীদের অভ্যাসে প্রভাব ফেলবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।
সিগারেটের উচ্চমূল্যের কারণে বিক্রির হার কমেছে। অনেক বিক্রেতা জানিয়েছেন, ক্রেতারা কম দামের সিগারেটের দিকে ঝুঁকছে।
ধূমপায়ীরা সিগারেটের ওপর শুল্ক কমানোর দাবি জানালেও সরকার জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে কর আরোপের বিষয়ে অটল থাকতে পারে।
জাগতিক /জেএএস
মন্তব্য করুন