logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের আহ্বান যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৪

যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ দুর্নীতির অভিযোগে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়,

কেমি ব্যাডেনোচ এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তার জায়গায় নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখেছেন, যা এখন বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।”

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনামলের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ব্যয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পরিবারের ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে টিউলিপের নাম এসেছে। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে বিনামূল্যে দুটি ফ্ল্যাট পাওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে।

প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন ও বিভ্রান্তি:
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অবশ্য টিউলিপের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং তাকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে ডাউনিং স্ট্রিটের ভেতরে টিউলিপের বিকল্প খুঁজে বের করার আলোচনা চলছে বলে দ্য টাইমস জানিয়েছে।

প্রতিবেদন ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ:
দ্য টাইমস আরও জানায়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যোগসাজশের অভিযোগ উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজনে টিউলিপকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতে পারে।

এদিকে, টিউলিপ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নীতিশাস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। তবে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন মহলে তাকে ঘিরে বিব্রতকর পরিস্থিতি রয়ে গেছে।

বিরোধী দলের কড়া অবস্থান:
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক লেবার সরকারের জন্য একটি সমস্যা হয়ে উঠেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তার এই পদে থাকা অনুচিত।”

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে আলোচনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জাগতিক/বি

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়