নিয়মিত সকালের নাশতা না করলে হতে পারে বিপদ
সুস্থ থাকতে নিয়মিত সকালের নাশতা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালে নাশতা না করেই দিন শুরু করেন। কেউ সময়ের অভাবে, কেউ ওজন কমানোর চেষ্টা করতে গিয়ে, আবার কেউবা অভ্যাসের কারণে সকালের খাবার এড়িয়ে যান। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের বিপাকক্রিয়া সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। তখন খাওয়া খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। কিন্তু নাশতা না করলে শরীরে শক্তি ঘাটতি দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম হয়।
সকালের নাশতা না করলে যেসব সমস্যা হয়
ওজন বৃদ্ধি:
অনেকেই মনে করেন, সকালের নাশতা না করলে ওজন কমানো যায়। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক উল্টো। সকালে নাশতা না করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
চুলের ক্ষতি:
প্রতিদিন নাশতা বাদ দিলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়। এতে চুলের প্রধান উপাদান ক্যারোটিন কমে যায়, যা চুলের বৃদ্ধি বন্ধ করে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়।
মাইগ্রেন:
মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য নাশতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাশতা না করলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং মাইগ্রেনের ব্যথা তীব্র করার কারণ হতে পারে।
হৃদরোগ:
সকালের নাশতা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তবে নাশতা না করলে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তশর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এসব সমস্যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ক্যানসারের ঝুঁকি:
সকালের নাশতা বাদ দিলে দিনজুড়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ে। এ থেকে স্থূলতা দেখা দেয়, যা ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নাশতা করার সঠিক সময়
পুষ্টিবিদদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে নাশতা করা উচিত। দেরি না করে সকাল ১০টার মধ্যে নাশতা শেষ করা ভালো। এতে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে এবং শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, সকালের নাশতা নিয়মিত করতে হবে। এতে শারীরিক শক্তি বজায় থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং নানা অসুখের ঝুঁকি কমবে।
জাগতিক /আ-রহমান।
মন্তব্য করুন