শীত মৌসুমে কলা খাওয়া নিয়ে প্রচলিত ধারণা
শীতের সময় কলা খেলে ঠান্ডা লাগার ভ্রান্ত ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধারণা সঠিক নয়। বরং পরিমিত পরিমাণে কলা খেলে শরীরের জন্য তা উপকারী হতে পারে।
কলা খাওয়া ও ঠান্ডা লাগার সম্পর্ক:
চিকিৎসকদের মতে, কলা খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যাদের অ্যালার্জি বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কলা খেলে সামান্য অসুবিধা হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য শীতের সময় কলা এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
কলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
কলায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শীতকালীন সর্দি-কাশি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়া কলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
কলা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা:
1. রেনাল ফেলিওর রোগীদের জন্য সতর্কতা:
কলায় উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম থাকায় যারা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
2. হজমে সহায়ক:
কলায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত কলা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
ঠান্ডার সময় ফল খাওয়া নিয়ে ধারণা:
সাধারণত ঠান্ডা লাগলে কলা বা টকজাতীয় ফল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে খেলে এসব ফল শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। বরং সঠিকভাবে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কলা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি:
ঠান্ডার দিনে কলা খেতে চাইলে, এটি ঘরের তাপমাত্রায় রাখার পর খাওয়া উচিত। সকালে বা দুপুরে কলা খাওয়া ভালো, কারণ তখন হজম প্রক্রিয়া কার্যকর থাকে।
কলা একটি পুষ্টিকর ফল, যা শীতকালে সঠিকভাবে খেলে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে অ্যালার্জি বা বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফল খাওয়া উচিত।
জাগতিক/ জেএএস
মন্তব্য করুন