ভারতের কাশ্মীরে পাহেলগাঁওয়ে অস্ত্রধারী হামলা

ভারতের কাশ্মীরে পাহেলগাঁওয়ে অস্ত্রধারী হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
কাশ্মীরের ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ইসলামাবাদকে মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনা থেকে দূরে সরিয়ে রেখে এই হামলাকে ভারতের বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর বিদ্রোহের’ অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোয়াজা বলেন, পাহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগসূত্র নেই। এখানেই থেমে থাকেননি খোয়াজা। তিনি বলেন, নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, মণিপুর এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহ চলছে। মনে হচ্ছে, এই হামলায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই, বরং স্থানীয় বিদ্রোহের ফল।
মঙ্গলবার পাহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। সেই সালেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-তাইয়েবার ছায়া সংগঠন হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সেই সংগঠনেরই পাঁচ-ছয়জন আচমকাই মঙ্গলবার দুপুরে পাহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। অনেকেই এই হামলার নেপথ্যে পাকযোগের তত্ত্ব তুলে ধরছেন। যদিও ভারত এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কারও দিকে আঙুল তোলেনি।
মন্তব্য করুন