সংকটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলের চার শর্ত

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষের পথে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল চারটি কঠোর শর্ত দিয়েছে, যা পূরণ না হলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এলি কোহেন দেশটির টিভি চ্যানেল 'কান'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই শর্তগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
ইসরায়েলের চার শর্ত:
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এবং তার আগে গাজায় অপহৃত সব ইসরায়েলি নাগরিককে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
হামাসকে গাজা ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।
গাজাকে পুরোপুরি নিরস্ত্র করতে হবে, যাতে সেখানে আর কোনো অস্ত্র বা সামরিক শক্তি না থাকে।
পুরো গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে।
ইসরায়েলের এই শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, হামাস এর আগেও যুদ্ধবিরতির শর্তে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মহল এই শর্তগুলোকে ইসরায়েলের কঠোর অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছে, যা মধ্যস্থতার পথকে জটিল করে তুলতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও তার মিত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলের সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১,২০০ মানুষকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। সেই হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজার ওপর ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালায়, যা প্রায় ১৫ মাস ধরে অব্যাহত ছিল।
চরম আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। তবে নতুন শর্ত আরোপের ফলে এই সংকটের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই চার শর্ত মেনে নেওয়া হামাসের জন্য কঠিন হবে এবং এতে করে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় কোনো সমাধান আসে কি না।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন