সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাধীন সংস্থার প্রধান হ্যাম্পটন ডেলিঙ্গারকে বরখাস্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম আইনি লড়াইটি শুরু হলো। ট্রাম্প, যিনি সদ্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সম্প্রতি ‘স্পেশাল কাউন্সেল’ কার্যালয়ের প্রধান ডেলিঙ্গারকে বরখাস্ত করেন। তবে, ১২ ফেব্রুয়ারি একটি ফেডারেল বিচারপতি এই সিদ্ধান্তের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, ট্রাম্পের প্রশাসন ফেডারেল বিচারপতির আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। মামলাটি এখনও আদালতে নথিভুক্ত হয়নি, তবে এই আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাধীন সংস্থাগুলোর প্রধানদের অপসারণ এবং ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপগুলোকে দেখবে, তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ফেডারেল সরকারের বেশ কিছু পদে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত স্বাধীন সংস্থার প্রধানদের অপসারণে। এই পদক্ষেপে তিনি সুপ্রিম কোর্টের রক্ষণশীল সদস্যদের সাথে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন, যাদের মধ্যে তিনজনই তিনি নিজেই নিয়োগ করেছেন প্রথম মেয়াদে।
ডেলিঙ্গারের পাঁচ বছরের মেয়াদ ২০২৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি জানিয়ে দেন যে ট্রাম্প তাঁকে পর্যবেক্ষক হিসেবে বরখাস্ত করেছেন। এই বিষয়ে ডেলিঙ্গার আদালতে মামলা করেছেন, যেখানে তাঁর যুক্তি, ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার বাইরে গিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করেছেন। তাঁর দাবি, ফেডারেল আইন শুধুমাত্র "অদক্ষতা, কর্তব্যে অবহেলা, অথবা অফিসে অসদাচরণ" এর কারণে কাউকে অপসারণের অনুমতি দেয়।
এদিকে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরের প্রথম চার সপ্তাহে ব্যাপকভাবে মিডিয়াতে উপস্থিত হচ্ছেন। তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য তিনি ঐতিহাসিক ওয়েস্ট উইং থেকে একের পর এক মিডিয়া সমাবেশের আয়োজন করছেন, যাতে তাঁর বক্তব্য টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলোতে পৌঁছাতে পারে।
এই আইনি লড়াই, ট্রাম্পের কেন্দ্রীয় সরকারের পুনর্গঠন এবং তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শনের সাথে যুক্ত হয়ে আগামী দিনগুলোতে মার্কিন রাজনীতি এবং আইনি পরিবেশে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করতে পারে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন