logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ, মোদী অনিশ্চিত

অনলাইন ডেস্ক
  ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৬
ছবি: সংগৃহীত

২০ জানুয়ারি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে রাজনীতির পাশাপাশি প্রযুক্তি, ব্যবসা ও মিডিয়া জগতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন নেতাকে আমন্ত্রণ জানালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ভারতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এই সফরে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গেও আলাপচারিতায় অংশ নেবেন।

অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি দুনিয়ার বড় বড় ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মেটা প্ল্যাটফর্মসের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান, এবং কয়েনবেসের সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন মার-আ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তবে তাদের অংশগ্রহণ এখনো নিশ্চিত নয়।
উবারের সিইও দারা খোসরোশাহি এবং এলন মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া ফার্ম ‘এক্স’ ও মিডিয়া কোম্পানি ‘দ্য ফ্রি প্রেস’ যৌথভাবে একটি অভিষেক পার্টি আয়োজন করবে।

প্রথম মেয়াদে প্রযুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ালেও, সাম্প্রতিক সময়ে মেটা ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। মেটা এবং অ্যামাজন উভয়ই অভিষেক তহবিলে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। মেটার সিইও জাকারবার্গ ও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ট্রাম্পের সঙ্গে ডিনারে অংশ নেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের চীন সম্পর্ক পুনর্গঠনের সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন চীন ও মার্কিন বাণিজ্য নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কিনা, তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদীকে আমন্ত্রণ না জানানো কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।

অন্যদিকে, ভারতীয় কূটনৈতিক মহল আশাবাদী যে জয়শঙ্করের এই সফর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান কেবলমাত্র তার প্রশাসনের সূচনা নয়, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন কৌশলগত দিকও উন্মোচন করবে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ও কূটনৈতিক মহলের উপস্থিতি ভবিষ্যতের বৈশ্বিক সম্পর্ক পুনর্গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

জাগতিক /এস আই

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
গুলশান ও বাড্ডায় হামলা করে কুপিয়ে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডলার-ইউরো লুট
পুতিন চুক্তি না করলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে এশিয়ার শেয়ারবাজার ও মুদ্রায় অস্থিরতা
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প