logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
ভারতকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি
পুতিন চুক্তি না করলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি আলোচনার টেবিলে বসতে অস্বীকৃতি জানান, তবে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, "পুতিন যদি যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে রাজি না হন, তাহলে কি রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে?" জবাবে ট্রাম্প বলেন, "মনে হচ্ছে তাই হবে।" গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেছিলেন, "কিয়েভকে রাশিয়ার প্রতি ছাড় দিতে বাধ্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ প্রয়োগ করবে। পুতিনের ভূমিকার সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, পুতিনকে একটি চুক্তি করা উচিত। আমি মনে করি তিনি চুক্তি না করে রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন। ট্রাম্প আরও জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সঙ্গে শান্তি চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসানে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে, যা এখনো চলমান। এই যুদ্ধে লাখো মানুষের প্রাণহানি এবং ইউক্রেনের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ট্রাম্পের মতে, চলমান যুদ্ধ রাশিয়া ও পুতিনের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে তা রাশিয়ার অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক অবস্থানের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। জাগতিক /এস আই
টেসলার ব্র্যান্ড মূল্য ১৫ বিলিয়ন ডলার হ্রাস
রোম থেকে ঢাকায় আসা ফ্লাইটে বোমা থাকার আতঙ্ক, শাহজালাল বিমানবন্দরে সতর্কতা 
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে এশিয়ার শেয়ারবাজার ও মুদ্রায় অস্থিরতা
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
লাদাখে চীনের সামরিক মহড়া: ভারত কি নতুন সংকটে
ভারত ও চীনের সীমান্ত সংঘাতের ইতিহাস নতুন নয়। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের পর লাদাখের আকসাই চীন অঞ্চল চীনের দখলে চলে যায়, যা ভারতীয় মনোবল ও কৌশলগত অবস্থানে বড় আঘাত হানে। বর্তমানে চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষত লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের সামরিক তৎপরতা ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সম্প্রতি লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) এলাকায় বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। পেন্টাগনের তথ্য অনুসারে, চীন সেখানে আধুনিক ট্যাংক, কামান এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এমনকি পাহাড়ি অঞ্চলে দ্রুত গোলাবারুদ সরবরাহ ও যানবাহন চলাচলের অনুশীলনও চালিয়েছে তারা। চীনের এই মহড়া থেকে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হিমালয় অঞ্চলে নিজেদের সামরিক দখল আরও শক্তিশালী করতে চায় বেইজিং। এছাড়া, চীন তাদের দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। চীনের এই সামরিক তৎপরতা ভারতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশের একটি বড় অংশকে "দক্ষিণ তিব্বত" বলে দাবি করা এবং লাদাখে উত্তেজনা বাড়ানো চীনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য এটি একটি কঠিন সময়। চীনের এই আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের প্রতি নমনীয় অবস্থান ভারতের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের পক্ষে সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিগুলোর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করার ওপর জোর দিচ্ছে ভারত। বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সামরিক প্রস্তুতি এবং সীমান্তে তাদের তৎপরতা ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তবে সামরিক শক্তি ও কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে ভারত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় নেতৃত্বের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। এই পরিস্থিতি কেবল লাদাখ নয়, অরুণাচল প্রদেশের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। জাগতিক /এস আই  
শপথের পর মেলানিয়াকে নিয়ে নাচলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথের পরদিন, সোমবার (২০ জানুয়ারি), তার নতুন মেয়াদের সূচনাকে ঘিরে আয়োজিত বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এদিন ওয়াশিংটনের তিনটি স্থানে প্রেসিডেনশিয়াল ইন্যাগিউরাল বল অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো কমান্ডার-ইন-চিফ বল, লিবার্টি ইন্যাগিউরাল বল এবং স্টারলাইট বল। প্রথম অনুষ্ঠানে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে নাচের মধ্য দিয়ে বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার স্ত্রী উষা ভ্যান্সকেও নাচতে দেখা যায়। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল, জলবায়ু নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহার, এবং ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৬ জনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা। এই উদযাপনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের যাত্রা শুরু করলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ নানা ক্ষেত্রে তার নেওয়া সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জাগতিক/ র  
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে দেশকে বেরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি), দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই হোয়াইট হাউস থেকে এই ঘোষণা আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সমালোচনার মুখে পড়েছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি হলো একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ, যার লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা। এতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ স্বাক্ষর করেছিল এবং কার্বন নির্গমন হ্রাসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই চুক্তিকে ‘অন্যায্য’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শক্তি খাতের জন্য ক্ষতিকর’ বলে অভিহিত করেছে। ট্রাম্প এর আগেও ২০১৭ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে একই সিদ্ধান্ত নিলেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "প্যারিস চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের তেল ও গ্যাস খাতকে সীমাবদ্ধ করছে এবং উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে। এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।" বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি খাতের ওপর থাকা বিধিনিষেধ কমিয়ে এনে দেশকে তেল ও গ্যাস উৎপাদনে আরও শক্তিশালী করা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে বৃহত্তম তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে স্থান দখল করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "প্যারিস চুক্তি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত একটি ধাক্কা। তবে আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের শহর, রাজ্য ও বেসরকারি খাত এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। জাতিসংঘের সহকারী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো বলেছেন, "প্যারিস চুক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। তবে এই চুক্তি সফল করতে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদক। টেক্সাস ও নিউ মেক্সিকোর মতো অঙ্গরাজ্যগুলো উন্নত খনন প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক বাজারমূল্যের কারণে উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া মানে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশের ভূমিকা কমে যাওয়া। অন্যদিকে, পরিবেশবাদীরা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, করপোরেট প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজ এই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন উদ্যোগ নেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার চেষ্টা করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। জাগতিক /এস আই  
গাজায় পৌঁছালো ৫৫২টি ত্রাণবাহী ট্রাক
দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ৫৫২টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোতে গাজার জন্য জরুরি সহায়তা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, শাকসবজি, জ্বালানি, ময়দা ও মাংস। ত্রাণগুলো গাজার বিভিন্ন অংশে বিতরণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ২৪২টি ট্রাক উত্তর গাজায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন কিশোর এবং ৬৯ জন নারী। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতার পর এই উদ্যোগকে দুই পক্ষের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাজার স্থানীয় বাসিন্দারা এই ত্রাণ সাহায্য পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে ভবিষ্যতে শান্তি বজায় রাখা এবং সংকট নিরসনে উভয় পক্ষের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাগতিক /আ-র
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) কংগ্রেস ভবনের রোটুন্ডায় তিনি শপথ নেন। একই সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জেডি ভ্যান্স।   শপথের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রাখার কারণ আছে। শিগগিরই পরিবর্তন আসবে।” এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে।   শপথ অনুষ্ঠানের দিন ওয়াশিংটনজুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রায় ২৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। শীতের তীব্রতার কারণে কংগ্রেস ভবনের ভেতরে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে ২০ হাজার অতিথির আসন ছিল। বাকিরা ন্যাশনাল মলে বড় স্ক্রিনে অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেন। শপথের পর ক্যাপিটল থেকে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত এক জমকালো প্যারেডের আয়োজন করা হয়।   বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ এবং টিকটকের প্রধান নির্বাহী শৌ চিউ উপস্থিত ছিলেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।   বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে ইতালির জর্জিয়া মেলোনি, হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবান, আর্জেন্টিনার জাভিয়ার মিলেই এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।   ১৯৮৫ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেস ভবনের ভেতরে শপথ অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে ১৯৮৫ সালে রোনাল্ড রিগ্যান একই স্থানে শপথ নেন। পাশাপাশি, গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর ১২০ বছরে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরাজয়ের পর পুনরায় নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরলেন।  
ইরানে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার অভিযোগে পপ তারকার মৃত্যুদণ্ড
ইরানের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আমির হোসেন মাগসুদলু, যিনি ‘তাতালু’ নামে পরিচিত, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার দায়ে দেশটির একটি আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় পেয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি পুনরায় শুনানি শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ধর্ম অবমাননাসহ অন্যান্য অপরাধে তাতালুকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টে প্রসিকিউটরের আপত্তির পর মামলাটি পুনরায় খোলা হয়। এতে নতুন করে প্রমাণ মূল্যায়নের পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। ৩৭ বছর বয়সী এই গায়ক ২০১৮ সাল থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাস করছিলেন। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তুর্কি পুলিশ তাকে ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। তাতালুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে "পতিতাবৃত্তি প্রচার", "ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার" এবং "অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রকাশ"। এসব অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। তাতালুর ক্যারিয়ার নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে একটি গান প্রকাশ করেন, যা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনা তৈরি করে। এছাড়া, ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে তার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। তবে এই মৃত্যুদণ্ডের রায় এখনও চূড়ান্ত নয়। আইন অনুযায়ী, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এই ঘটনাটি ইরান ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে শিল্পী ও সৃষ্টিশীল কাজের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তুরস্কে বসবাসকালীন তাতালুর কর্মকাণ্ড এবং ইরানে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোও নতুন করে বিশ্লেষণের দাবি তুলছে। ইরানের আইনি ব্যবস্থায় ধর্মীয় অবমাননার মতো গুরুতর অভিযোগে কঠোর শাস্তির নজির নতুন কিছু নয়। তবে এই ঘটনাটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে, কারণ এটি সঙ্গীতের জগৎ থেকে উঠে আসা একজন বিতর্কিত তারকার সঙ্গে জড়িত।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ, মোদী অনিশ্চিত
 ২০ জানুয়ারি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে রাজনীতির পাশাপাশি প্রযুক্তি, ব্যবসা ও মিডিয়া জগতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন নেতাকে আমন্ত্রণ জানালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ভারতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এই সফরে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গেও আলাপচারিতায় অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি দুনিয়ার বড় বড় ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মেটা প্ল্যাটফর্মসের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান, এবং কয়েনবেসের সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন মার-আ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তবে তাদের অংশগ্রহণ এখনো নিশ্চিত নয়। উবারের সিইও দারা খোসরোশাহি এবং এলন মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া ফার্ম ‘এক্স’ ও মিডিয়া কোম্পানি ‘দ্য ফ্রি প্রেস’ যৌথভাবে একটি অভিষেক পার্টি আয়োজন করবে। প্রথম মেয়াদে প্রযুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ালেও, সাম্প্রতিক সময়ে মেটা ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। মেটা এবং অ্যামাজন উভয়ই অভিষেক তহবিলে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। মেটার সিইও জাকারবার্গ ও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ট্রাম্পের সঙ্গে ডিনারে অংশ নেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের চীন সম্পর্ক পুনর্গঠনের সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন চীন ও মার্কিন বাণিজ্য নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কিনা, তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদীকে আমন্ত্রণ না জানানো কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, ভারতীয় কূটনৈতিক মহল আশাবাদী যে জয়শঙ্করের এই সফর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান কেবলমাত্র তার প্রশাসনের সূচনা নয়, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন কৌশলগত দিকও উন্মোচন করবে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ও কূটনৈতিক মহলের উপস্থিতি ভবিষ্যতের বৈশ্বিক সম্পর্ক পুনর্গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জাগতিক /এস আই