logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

নিয়মিত হেডফোন ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হতে পারে 

অনলাইন ডেস্ক
  ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:১৯
ছবি: সংগৃহীত

নিয়মিত এবং দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করার ফলে স্বাস্থ্যের ওপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম না মেনে বা উচ্চ শব্দে ব্যবহার করার কারণে হয়। জেনে নিন নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষতিগুলো।

দীর্ঘসময় উচ্চ শব্দে হেডফোন ব্যবহার করলে কানের ভেতরের নার্ভ বা শ্রবণ ইন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।

অতিরিক্ত সময় হেডফোন পরলে কানে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে। ইয়ারবাড বা ওভার-ইয়ার হেডফোন সঠিকভাবে ফিট না হলে এটি আরও বাড়ে।

হেডফোনে উচ্চ শব্দে গান শুনলে বা ভিডিও দেখলে টিনিটাসের সমস্যা হতে পারে। এতে কানে সবসময় ‘গুঞ্জন’ বা বাজে ধরনের শব্দ শোনা যায়।

একই হেডফোন অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে বা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করলে কানে জীবাণু প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ে। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।

অনেকক্ষণ হেডফোন পরে থাকলে মাথায় চাপ পড়ে। বিশেষত ওভার-ইয়ার হেডফোন দীর্ঘসময় ব্যবহারে মাথাব্যথা বা ক্লান্তি হতে পারে।

যাঁরা বেশি সময় হেডফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের আশপাশের আওয়াজ বা সতর্ক সংকেত শুনতে সমস্যা হয়। এটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, হেডফোন থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভস মস্তিষ্কের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারের ক্ষতি কমাতে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
হেডফোনের ভলিউম সর্বোচ্চ ৬০% এর মধ্যে রাখুন।
একটানা ১ ঘণ্টার বেশি হেডফোন ব্যবহার করবেন না। প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পর বিরতি নিন।
কারও সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
এমন হেডফোন ব্যবহার করুন, যা কানে আরামদায়ক।
রাস্তায় বা গাড়ি চালানোর সময় হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো।
হেডফোন নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন, যাতে জীবাণু প্রবেশ না করে।

সঠিকভাবে হেডফোন ব্যবহার করলে এর ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে সবসময় বিরত থাকা উচিত।

জাগতিক /এস আই

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
প্রতিদিন একটি আপেল: সুস্বাস্থ্যের সহজ উপায়?
সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে : স্বাস্থ্যের ডিজি