মহাকাশে নজরদারি স্যাটেলাইট বসালো পাকিস্তান, কিসের ইঙ্গিত?
প্রথমবারের মতো মহাকাশে নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলো পাকিস্তান। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উত্তর চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। পাকিস্তানের স্যাটেলাইটটির নাম ‘পিআরএসসি-ইও১’, যা ভূমি মানচিত্রণ, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্যাটেলাইটটি চীনের লং মার্চ ২ডি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। উৎক্ষেপণের সময় পাকিস্তানের স্যাটেলাইটের সঙ্গে চীনের দুটি স্যাটেলাইটও মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে মহাকাশ সম্পর্ক গভীর হওয়ার এটি একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
পাকিস্তান এর আগেও চীনের সঙ্গে মহাকাশ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান চীনের আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা প্রকল্পে যোগ দেয়। বর্তমান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ চীনের সঙ্গে তাদের মহাকাশ প্রযুক্তির সহযোগিতার ধারাবাহিকতা।
ভারত এবং আন্তর্জাতিক মহলের মতে, স্যাটেলাইটটির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র অসামরিক নয়। ভারতের কিছু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সামরিক নজরদারির জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। এর পেছনে চীনের সহযোগিতাকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর আগে চীনের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গোপন নজরদারির অভিযোগ উঠেছে।
চীন ২০২৩ সালে ‘ইয়াওগান-৪১’ নামে একটি শক্তিশালী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল, যা সামরিক নজরদারির উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। একই ধাঁচে, পাকিস্তানের এই স্যাটেলাইটও নজরদারি বা সামরিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
পাকিস্তানের দাবি, ‘পিআরএসসি-ইও১’ স্যাটেলাইটটি কৃষি, নগরায়ণ পরিকল্পনা, এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে এর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ তাদের মহাকাশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বলে মনে হলেও, এটি যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন