প্যাকেটজাত দুধ খাওয়ার আগে ফোটানো উচিত কিনা

বর্তমানে প্যাকেটজাত দুধ খাওয়ার আগে ফোটানো উচিত কি না, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে চলছে তুমুল বিতর্ক। কেউ কেউ দাবি করছেন, প্যাকেটজাত দুধ ফোটালে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, আবার অনেকে বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দুধ অবশ্যই ফোটানো উচিত। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতীতে সরাসরি পশু খামার বা গোয়ালঘর থেকে আনা দুধে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু থাকতে পারে বলে দুধ ফুটিয়ে খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। এখনও গ্রামাঞ্চলে যেখানে দুধ সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা নেই, সেখানে দুধ ফুটিয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যকর।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকেটজাত দুধ সাধারণত পাস্তুরাইজড হয়। অর্থাৎ, দুধ প্যাকেট করার আগে তা নির্ধারিত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়, যা ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করে। এই পাস্তুরাইজড দুধ আবার ফোটানোর প্রয়োজন নেই।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি প্যাকেটজাত দুধ পাস্তুরাইজড না হয়, তবে তা অবশ্যই ফোটানো উচিত। কারণ এতে থাকা জীবাণু ও ভাইরাস মেরে ফেলার জন্য এটি অপরিহার্য।
এছাড়া দুধ ফোটানোর ফলে প্রোটিন ভেঙে গিয়ে সহজপাচ্য হয়ে যায়।
যদিও অতিরিক্ত ফোটানো দুধের কিছু পুষ্টিগুণ হ্রাস পেতে পারে, তবু জীবাণুমুক্ত দুধ নিশ্চিত করতে এ পদ্ধতি এখনও নিরাপদ। বিশেষ করে যদি দুধে সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সন্দেহ থাকে।
পাস্তুরাইজড দুধ সরাসরি পান করতে পারেন।
পাস্তুরাইজড নয় এমন দুধ অবশ্যই ফোটানো উচিত।
বেশি সময় ধরে দুধ না ফোটানোই ভালো, যাতে পুষ্টিগুণ হ্রাস না পায়।
চিকিৎসকরা মনে করেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্যাকেটের গায়ে উল্লেখিত নির্দেশনা মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন