চিনি: উপকারের চেয়ে ক্ষতির পাল্লা ভারী
অনেকে খাবারে বাড়তি মিষ্টি স্বাদ আনতে চিনি ব্যবহার করতে ভালোবাসেন। চায়ের কাপে বেশি চিনি দেওয়া কিংবা রুটি-পারোটার সঙ্গে চিনি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাসে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
টেবিল সুগার বা চিনিকে বিশ্লেষণ করলে এটি মূলত দুটি উপাদান দিয়ে গঠিত— গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ।
এটি রক্তে প্রবেশ করলে শরীরের ইনসুলিন হরমোন সক্রিয় হয়। ইনসুলিন গ্লুকোজকে রক্ত থেকে সরিয়ে দেয়, যাতে শরীরের ক্ষতি কম হয়।
এটি লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়। বেশি ফ্রুকটোজ শরীরে ফ্যাট জমার প্রবণতা বাড়ায়।
অতিরিক্ত চিনি খেলে ক্যালরি বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের ওজন বাড়ায়।
গ্লুকোজ রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।
বেশি ফ্রুকটোজ লিভারে চর্বি জমায়, যা ফ্যাটি লিভার এর ঝুঁকি বাড়ায়।
চিনি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে।
গ্লুকোজ রক্তে প্রবেশ করলে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়ায়। ইনসুলিন ঝাড়ুর মতো গ্লুকোজকে রক্ত থেকে সরিয়ে দেয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দেখা দিতে পারে, যা ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।
প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে ফলমূল বেছে নিন। এগুলোতে ফাইবার থাকায় ক্ষতির ঝুঁকি কমে।
প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিবর্তে প্রাকৃতিক মিষ্টি ব্যবহার করুন।
দৈনন্দিন খাবারে চিনির ব্যবহার কমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চিনি খাওয়ার আনন্দের আড়ালে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। মিষ্টি ভালো, তবে মিষ্টির মাশুল যেন আপনার শরীর না দেয়।
জাগতিক /এসআই
মন্তব্য করুন