logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
রক্তে আয়রনের ঘাটতিতে হতে পারে ভয়ানক রোগ 
বাংলাদেশে ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা: সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের নতুন বোঝা
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রবণতা সাধারণ মানুষের জন্য নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। গত এক বছরে ওষুধের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি সরকার ভ্যাট ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করেছে। যদিও এই ভ্যাট বৃদ্ধির হার তেমন বেশি নয়, কিন্তু এর অজুহাতে ব্যবসায়ীরা ওষুধের দাম আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। সরকারের ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধের খুচরা মূল্যে তেমন বড় প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভের মানসিকতার কারণে দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যয় আরও কঠিন হয়ে উঠছে। ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও এই পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোগীর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে। তবে এই আশ্বাস সত্ত্বেও মেডিকেল ডিভাইস, বিশেষ করে হার্টের স্টেন্ট ও চোখের লেন্সের ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর দাবিতে ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের বর্তমান চিত্র এক ধরনের লুটপাটের দিকে ইঙ্গিত করে। মাসের শুরুতেই অনেক ওষুধ কোম্পানি তাদের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মাধ্যমে ডাক্তারদের মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। এরপর ডাক্তারদের ব্যবস্থাপত্রে নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে রোগীদের ওপর অযথা ওষুধের বোঝা বাড়ে। এ প্রসঙ্গে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, “মানুষ যে ওষুধ ৭ টাকায় কিনছে, তার উৎপাদন খরচ মাত্র ২০ পয়সা।” এ থেকেই বোঝা যায়, দেশে ওষুধ ব্যবসার নামে কী পরিমাণ লুটপাট চলছে। ১৯৮২ সালে প্রণীত ওষুধনীতি বাংলাদেশকে স্বল্পমূল্যে ওষুধ সরবরাহে অনেকটাই সফল করেছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন একটি ওষুধনীতি প্রণয়ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেখানে ওষুধের উৎপাদন খরচ, ভোক্তা পর্যায়ের দাম এবং নীতিগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা খাতকে সুষ্ঠু ও নৈতিকভাবে পরিচালিত করতে জরুরি ভিত্তিতে নীতিমালা সংস্কার প্রয়োজন। এ খাতে অনিয়ম বন্ধ করতে সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসা ব্যয়ের অতিরিক্ত বোঝা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকারি নজরদারি এবং ওষুধ ব্যবসার সঠিক ব্যবস্থাপনা একান্ত প্রয়োজন। জাগতিক /এস আই  
চিরতার জলের উপকারিতা: শরীরের নানা সমস্যার সমাধান প্রাকৃতিক উপায়ে
৩০ সেকেন্ডের হাঁটাহাঁটিতেই ক্যালোরি খরচ বেশি
রাতে ঘুম না এলে কী করবেন? সহজ টিপসে পান শান্তির ঘুম
মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়া কি নিরাপদ? জেনে নিন শরীরের উপকারিতা এবং সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের তরঙ্গ ইঁদুরের মস্তিষ্কের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গবেষণাটি সম্প্রতি ন্যাচার সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দুটি গর্ভবতী ইঁদুরের দলের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। এক দলের কাছে সক্রিয় মোবাইল ফোন এবং অন্য দলের কাছে বন্ধ মোবাইল ফোন রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে, সক্রিয় মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে থাকা ইঁদুরগুলোর বাচ্চাদের মধ্যে অতিরিক্ত চঞ্চলতা, উদ্বেগ এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তির মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে। গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া ড. হিউ টেইলর মনে করেন, মানুষের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনের তরঙ্গ একই ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মোবাইল ফোনের বিকিরণকে সম্ভাব্য ক্যান্সারজনিত ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গবেষকরা মনে করেন, মোবাইলের বিকিরণ মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে প্রভাব ফেলতে পারে, যা অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার (ADHD)-এর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ২০১৭ সালে বার্সেলোনায় পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী মায়েরা যারা বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাদের সন্তানদের মধ্যে চঞ্চলতা এবং হাইপারঅ্যাকটিভিটির ঝুঁকি বেশি। গবেষকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। সুরক্ষার জন্য নিচের নিয়মগুলো মেনে চলা যেতে পারে: ফোনে কথা বলার সময় স্পিকার বা হেডসেট ব্যবহার করুন। ফোন শরীর থেকে দূরে রাখুন এবং প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ঘুমানোর সময় ফোন বন্ধ রাখুন বা এয়ারপ্লেন মোডে রাখুন। গবেষণাগুলোর বেশিরভাগই সীমিত পর্যায়ে পরিচালিত হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানো এবং বিকিরণ এড়ানোর চেষ্টা করা মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাগতিক /এসআই  
চিনি: উপকারের চেয়ে ক্ষতির পাল্লা ভারী
অনেকে খাবারে বাড়তি মিষ্টি স্বাদ আনতে চিনি ব্যবহার করতে ভালোবাসেন। চায়ের কাপে বেশি চিনি দেওয়া কিংবা রুটি-পারোটার সঙ্গে চিনি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাসে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। টেবিল সুগার বা চিনিকে বিশ্লেষণ করলে এটি মূলত দুটি উপাদান দিয়ে গঠিত— গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ। এটি রক্তে প্রবেশ করলে শরীরের ইনসুলিন হরমোন সক্রিয় হয়। ইনসুলিন গ্লুকোজকে রক্ত থেকে সরিয়ে দেয়, যাতে শরীরের ক্ষতি কম হয়। এটি লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়। বেশি ফ্রুকটোজ শরীরে ফ্যাট জমার প্রবণতা বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনি খেলে ক্যালরি বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের ওজন বাড়ায়। গ্লুকোজ রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। বেশি ফ্রুকটোজ লিভারে চর্বি জমায়, যা ফ্যাটি লিভার এর ঝুঁকি বাড়ায়। চিনি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে। গ্লুকোজ রক্তে প্রবেশ করলে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়ায়। ইনসুলিন ঝাড়ুর মতো গ্লুকোজকে রক্ত থেকে সরিয়ে দেয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দেখা দিতে পারে, যা ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী। প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে ফলমূল বেছে নিন। এগুলোতে ফাইবার থাকায় ক্ষতির ঝুঁকি কমে। প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিবর্তে প্রাকৃতিক মিষ্টি ব্যবহার করুন। দৈনন্দিন খাবারে চিনির ব্যবহার কমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। চিনি খাওয়ার আনন্দের আড়ালে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। মিষ্টি ভালো, তবে মিষ্টির মাশুল যেন আপনার শরীর না দেয়। জাগতিক /এসআই  
সিগারেটের দাম আকাশছোঁয়া, চিন্তায় ধূমপায়ীরা
সরকার সম্প্রতি পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম বেড়েছে। এতে ধূমপায়ীদের মধ্যে চরম অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। অধ্যাদেশে চারটি স্তরে সিগারেটের দাম এবং শুল্ক উভয়ই বাড়ানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির পরিসংখ্যান বেনসন (১২ শলাকা): ১৯৪ টাকা থেকে বেড়ে ২২২ টাকা। বেনসন (২০ শলাকা): ৩২৪ টাকা থেকে ৩৭০ টাকা। ডারবী (২০ শলাকা): ৫২ টাকা থেকে ৭২ টাকা। বিড়ি (২০ শলাকা): ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। শহরের ধূমপায়ী সাংবাদিক রাশেদ রাসু বলেন, “সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দাম বাড়ায় সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।” চায়ের দোকানদার মন্টু খান জানান, “দাম বৃদ্ধির কারণে বেচাকেনা কমে গেছে। আগে যেখানে বেশি সিগারেট বিক্রি হতো, এখন ধূমপায়ীরা অনেক কম ক্রয় করছে।” গণমাধ্যমকর্মী কাজী ইমরান বলেন, “ধূমপায়ীরা এখন চরম বিপাকে। অনেকেই সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। সিগারেটের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবি জানাচ্ছি।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিগারেটের দামে এই হঠাৎ বৃদ্ধি ধূমপায়ীদের অভ্যাসে প্রভাব ফেলবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। সিগারেটের উচ্চমূল্যের কারণে বিক্রির হার কমেছে। অনেক বিক্রেতা জানিয়েছেন, ক্রেতারা কম দামের সিগারেটের দিকে ঝুঁকছে। ধূমপায়ীরা সিগারেটের ওপর শুল্ক কমানোর দাবি জানালেও সরকার জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে কর আরোপের বিষয়ে অটল থাকতে পারে। জাগতিক /জেএএস  
হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় মহিলাদের শরীর ও মনের ক্ষতি, লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হরমোন। তবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলে। বিশেষত মহিলারা হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি জটিলতায় ভোগেন। কিন্তু অনেকেই এই সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন না। তাই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক আছে কিনা, তা নির্ণয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এমন কিছু লক্ষণের উল্লেখ করা হলো, যা দেখে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে হরমোনজনিত সমস্যা আছে কিনা। ১. অবসাদ ও মুড সুইং ঘন ঘন মুড পরিবর্তন বা অবসাদ মানসিক অবস্থার পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। ২. অতিরিক্ত ক্লান্তি যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি ক্লান্তি দূর না হয়, তবে তা হতে পারে হরমোনজনিত সমস্যা। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই ক্লান্তি অনুভব করা হরমোনের ভারসাম্য নষ্টের একটি সাধারণ লক্ষণ। ৩. অনিদ্রা সুস্থতার জন্য প্রতিদিনের ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনিদ্রার সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তা হতে পারে হরমোনজনিত সমস্যার ফল। সেক্ষেত্রে অবশ্যই হরমোনের পরীক্ষা করানো উচিত। ৪. চুল পড়া পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও যদি রোজ প্রচুর চুল পড়ে, তবে তা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে। অকালে চুল পড়া বা টাক পড়া সমস্যার পেছনে হরমোনের বড় ভূমিকা থাকতে পারে। ৫. হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়মিত শরীরচর্চা বা ডায়েট করার পরেও যদি ওজন বেড়ে যায়, তবে তা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার একটি প্রধান ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনসুলিন, থাইরয়েড, বা কোর্টিসলের মতো হরমোনের সমস্যায় হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। ৬. ত্বকের সমস্যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার আরেকটি বড় লক্ষণ হলো ত্বকের সমস্যা। ব্রণ, অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক, বা শুষ্ক ত্বকের মতো সমস্যাগুলো প্রায়ই হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়। ৭. মাসিক অনিয়ম মাসিক চক্রের অনিয়ম বা ব্যথা হরমোনজনিত অসঙ্গতির অন্যতম পরিচায়ক। এস্ট্রোজেন বা প্রজেস্টেরনের ভারসাম্যহীনতায় এমনটি হতে পারে। ৮. হজমের সমস্যা ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তবে তা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। কী করবেন? এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন হলে রক্ত পরীক্ষা বা হরমোন পরীক্ষা করান। এছাড়া, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সুস্থ জীবনযাত্রা অনুসরণ করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হন এবং সময়মতো সমস্যা শনাক্ত করে সঠিক পদক্ষেপ নিন। জাগতিক /জেএএস  
দেশে একজনের শরীরে শনাক্ত এইচএমপিভি ভাইরাস
করোনা মহামারির পর বিশ্বে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। চীনে আতঙ্ক ছড়ানো এই ভাররাস জাপান, মালয়শিয়া ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো।  আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ নওশের আলম।  জানা গেছে, দেশে শনাক্ত হওয়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তিনি রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি,এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এতো ভয়ের কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়। সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোনো বয়সী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। জাগতিক/ আফরোজা  
দেশে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হলো ব্যাট রিওভাইরাস
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মানবদেহে ব্যাট রিওভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর এক গবেষণায় পাঁচজনের শরীরে এই ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে। বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ানো এ ভাইরাস মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তাই বিশেষভাবে সতর্ক থেকে খেজুরের কাঁচা রস পান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবছর অনেকেই খেজুরের কাঁচা রস পান করার কারণে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তেমনই লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আইইডিসিআর। যদিও পরীক্ষায় নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি, তবে পাঁচজনের শরীরে ব্যাট রিওভাইরাস পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশে প্রথমবার শনাক্ত হলো। ভাইরাসটি কতটা বিপজ্জনক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাট রিওভাইরাস বাদুড়ে বেশি দেখা যায়। এটি করোনার মতো ভয়ংকর না হলেও হাঁচি-কাশি এবং কখনো খাওয়ার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া। গুরুতর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া বা মস্তিষ্কের প্রদাহও হতে পারে। আইইডিসিআরের পরামর্শক মুশতাক হোসেন বলেন, “নিপাহ ভাইরাসের মতো ব্যাট রিওভাইরাসের লক্ষণও প্রায় একই রকম। তাই খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। ভাইরাসটি একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে অন্যদের সংক্রমিত করছে কিনা, সেটি গবেষণা চলছে।” জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, “ভাইরাসটি শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়াও খাওয়ার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তবে এতে প্রাণহানির আশঙ্কা খুবই কম। ভয় না পেয়ে সচেতন থাকলেই যথেষ্ট।” সতর্কতা হিসেবে খেজুরের কাঁচা রস এড়িয়ে চলা এবং সর্দি-কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১০ জেলায় বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
সারা দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা মানুষের। এই অবস্থায় দেশের ১০ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আজ শনিবার ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রোববার ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সোমবারের ১৩ জানুয়ারির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জাগতিক/ অফরোজা