চারদিনেই ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের পথে ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’
চলতি বছর হলিউডে বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম মার্ভেল স্টুডিওসের ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টস ডে উইকএন্ডে মুক্তি পেতে যাওয়া এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে ইতোমধ্যেই দারুণ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সিনেমাটি মুক্তির প্রথম চারদিনে বক্স অফিসে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টস ডে উইকএন্ড সাধারণত একটি উৎসবমুখর সময়। এই সময়ে বিভিন্ন আয়োজন ও ছুটির আমেজে দর্শকরা সিনেমা হলে ভিড় জমায়। মার্ভেল স্টুডিওসের জন্য এই উইকএন্ড বিশেষভাবে সফল প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ এই সময়ে আয় করেছিল ২৪২.১ মিলিয়ন ডলার, ‘ডেডপুল’ আয় করেছিল ১৫২.১ মিলিয়ন ডলার, আর ‘অ্যান্ট-ম্যান অ্যান্ড দ্য ওয়াস্প: কুয়ান্টামেনিয়া’ আয় করেছিল ১২০.৩ মিলিয়ন ডলার।
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ মুক্তির প্রথম চারদিনে ৮৬ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ সিনেমাটি জনপ্রিয় ‘দ্য ফ্যালকন অ্যান্ড দ্য উইন্টার সোলজার’ সিরিজের গল্প থেকে শুরু হবে। এখানে স্যাম উইলসন স্টিভ রজার্সের দেওয়া ঢালটি গ্রহণ করে নতুন ক্যাপ্টেন আমেরিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া সিনেমার কাস্ট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন দিকনির্দেশনা দর্শকদের মধ্যে বাড়তি কৌতূহল তৈরি করেছে। এই কিস্তি ২০১৪ সালের ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: উইন্টার সোলজার’-এর মতো বাস্তববাদী ও গভীর গল্পনির্ভর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্র্যাকিং সংস্থা কুয়েরাম জানিয়েছে, সিনেমাটি ৫৮ পয়েন্ট স্কোর নিয়ে আগামী মাসে মুক্তি পেতে যাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে দর্শক আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে। তুলনামূলকভাবে ইউনিভার্সালের ‘উলফ ম্যান’ ৪৪, লাইন্সগেটের ‘ফ্লাইট রিস্ক’ ৩৭ এবং সনি স্টুডিওর ‘প্যাডিংটন ইন পেরু’ ৩৬ স্কোর অর্জন করেছে।
টিকিট বিক্রির জরিপে দেখা গেছে, ৬৭% দর্শক থিয়েটারে সিনেমাটি দেখার জন্য প্রস্তুত। যা আসন্ন প্রতিযোগী সিনেমাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জুলিয়াস ওনাহ। এতে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি ম্যাকি, ড্যানি রামিরেজ, শিরাহ হাস, এবং লিভ টাইলার। সিনেমার গল্পে অ্যাকশন, বাস্তবতা ও দেশপ্রেমের মিশেলে নতুন রূপে ক্যাপ্টেন আমেরিকার যাত্রা দেখানো হবে।
মার্ভেল স্টুডিওস বরাবরই বক্স অফিসে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’-এর সাফল্য তাদের অবস্থান আরও সুসংহত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিনেমাটি মার্ভেলের দীর্ঘমেয়াদি ভক্তদের জন্য যেমন আকর্ষণীয় হবে, তেমনি নতুন প্রজন্মের দর্শকদেরও মুগ্ধ করবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির জন্য প্রস্তুত এই সিনেমা ইতোমধ্যেই বছরের অন্যতম সফল প্রজেক্ট হয়ে উঠার পথে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন