অনলাইনে সনদ সত্যায়নে বছরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাশ্রয় হবে ৭০০ কোটি টাকা

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
অনলাইনে সনদ সত্যায়নে বছরে ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুসংবাদ আছে। এবার থেকে তাদের সনদ অনলাইনেই সত্যায়ন করা যাবে, যার ফলে প্রতি বছর কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

কীভাবে সম্ভব এই সাশ্রয়?

সরকার এখন অ্যাপোস্টিল পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। এর ফলে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আর এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে সনদ সত্যায়ন করতে হবে না। এই পদ্ধতিতে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ সনদ অনলাইনেই সত্যায়ন করা যাবে।

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ?
* সময় ও শ্রম সাশ্রয়: শিক্ষার্থীদের আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না।
* খরচ কমবে: সনদ সত্যায়নের জন্য আর অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না।
* দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি: এই পদ্ধতি দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ করে তুলবে।
* দুর্নীতি রোধ: অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং দুর্নীতি কমবে।
কীভাবে এই সুবিধা নেওয়া যাবে?
সরকার ‘অ্যাপোস্টিলমাইগভ’ নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা হবে। শিক্ষার্থীরা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই তাদের সনদ সত্যায়ন করতে পারবে।

এই উদ্যোগে কারা জড়িত?

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি মিলে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।

কেন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ?

এই উদ্যোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে এবং তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকে আরও সহজ করে তুলবে।