logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
জাতীয় নাগরিক কমিটিতে শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৪ কর্মকর্তা
আগামী মাসে সাতটি গ্রহ একই রেখায়, বিরল  দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারে পৃথিবী
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এক বিরল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে পৃথিবীবাসী। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতের আকাশে একসঙ্গে সাতটি গ্রহ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটি এক বিরল দৃশ্য, যা জ্যোতির্বিদদের মতে, প্রায়ই ঘটে না। বর্তমানে রাতের আকাশে শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন—এই ছয়টি গ্রহ দেখা যায়। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির রাতে এই গ্রহগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে বুধ। এর ফলে, একসঙ্গে সাতটি গ্রহ পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হতে পারে। আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যের চারপাশে ভিন্ন ভিন্ন গতিতে প্রদক্ষিণ করে। এই গতির পার্থক্যের কারণে কখনো কখনো কিছু গ্রহ একই সারিতে এসে সূর্যের ডান দিকে অবস্থান করে। তখন সেগুলো পৃথিবী থেকে দেখা যায়। বিশেষ অবস্থায় সব গ্রহ একই রেখায় চলে আসে, যা খুবই বিরল। শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি—এই চারটি গ্রহ খালি চোখেই দেখা যাবে। তবে ইউরেনাস ও নেপচুন দেখার জন্য বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে ২৮ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহগুলো একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের জ্যোতির্বিদ জেনিফার মিলার্ড বলেন, ‘এই গ্রহগুলো নিজের চোখে দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। যদিও টেলিস্কোপ বা গুগলে গ্রহগুলোর আরও ভালো ছবি পাওয়া যায়, তবু এই গ্রহগুলো দেখে আপনি মহাকাশের বিশালতার অংশ হতে পারবেন।’ এ ধরনের ঘটনা নিয়ে অনেক সময় কিছু ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাতটি গ্রহ একই রেখায় আসার ফলে পৃথিবীর ওপর কোনো সরাসরি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। ২০১৯ সালে গবেষণায় বলা হয়েছিল, গ্রহগুলোর অবস্থান সৌর কার্যকলাপের ওপর সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সৌরবিজ্ঞানী রবার্ট ক্যামেরন বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণে সৌরচক্রের সঙ্গে গ্রহগুলোর অবস্থানের সরাসরি কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।’ ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতের আকাশে গ্রহগুলোর এই বিরল কুচকাওয়াজ দেখতে প্রস্তুতি নিতে পারেন। পরিষ্কার আকাশে এটি দেখার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাগতিক/র  
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি আবেদন শুরু, পরীক্ষা ৩ মে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা / মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কোটা নিয়ে ঢাবিতে বিক্ষোভ
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল
বিশ্বের ৫৫ টি দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য  অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি
আগামীকাল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা: কঠোর নির্দেশনা জারি
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা: ১. কেন্দ্রে প্রবেশ: কেন্দ্র-ভেন্যুর গেট খুলবে সকাল ৮টায়। সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার হলে প্রবেশের জন্য রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র আনতে হবে। ২. তল্লাশি ব্যবস্থা: ছেলে ও মেয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। কক্ষ পরিদর্শকরা প্রবেশপত্রে থাকা পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে পরিচয় নিশ্চিত করে হলে প্রবেশের অনুমতি দেবেন। ৩. ডিজিটাল ডিভাইস নিষিদ্ধ: মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, হাতঘড়ি, ব্লুটুথ, ইয়ারফোনসহ কোনো ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে হলে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ডিভাইসসহ কোনো পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। ৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থা: কেন্দ্রের আশপাশে থাকা ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা হবে। পরীক্ষার হলে এবং কেন্দ্রের আশপাশে পরীক্ষাসংক্রান্ত গুজব বা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া গেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫.পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা: ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইনভিজিলেটর এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখতে পারবেন না। শুধুমাত্র পরীক্ষাসংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাই কেন্দ্র-ভেন্যুতে প্রবেশ করতে পারবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অসদাচরণ বা প্রতারণার ঘটনা চিহ্নিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পরীক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অভিভাবকদের কেন্দ্রের আশপাশে ভিড় এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। জাগতিক/ এস আই  
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শাটডাউন, চলছেআমরণ অনশন / সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পোস্ট দিচ্ছেন
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে রয়েছেন। এরই মধ্যে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকসহ বিভিন্ন গেটে তালা লাগিয়ে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন। সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পোস্ট দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের গেটে তালা ঝুলছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর), ফার্মেসি, গণিত, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়েছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাতেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। এদিকে, কর্মকর্তারা নিজেদের কাজে ফিরতে না পেরে গেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন। এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের ভাইয়েরা মরে যাবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব, তা হতে পারে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না।” শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে তাদের আন্দোলন চলবে।
মার্চ ফর ইউনিটি / ঘোষণাপত্র ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই চান শিক্ষার্থীরা
মধ্য জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ শীর্ষক সমাবেশে সংগঠন দুটির নেতারা এই দাবি জানান। একই সঙ্গে সমাবেশ থেকে জুলাই গণহত্যার বিচার, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ কয়েক দফা দাবি জানান। এ ছাড়া সেখানে আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত নির্যাতন-নিপীড়ন, খুন, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও লুটপাট এবং জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে দু’দিন ধরে নানা আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়– অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে গত সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠনের পক্ষে শক্তিমত্তারও জানান দেওয়ার পাশাপাশি সংবিধান বাতিলের পক্ষে জনমত তৈরির চিন্তাও ছিল তাদের। সমাবেশের পর নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা জানান, অনুষ্ঠানে অন্তত ৩০ হাজারের মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে ঢাকার বাইরে কয়েক স্থানে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের গাড়িবহরে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে।  বিকেল ৩টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে দলে দলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় পুরো এলাকা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার সবচেয়ে বড় এই সমাবেশ মুখর ছিল স্লোগানে। বিকেল ৪টার দিকে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। শুরুতে আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ছেলের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তিনি দীর্ঘ পাঁচ মাসেও হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। সমাবেশে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আগামীতে যে ঘোষণাপত্র আসবে, সেখানে প্রত্যেক শহীদের রক্তের ফোঁটার কথা উল্লেখ থাকতে হবে। যদি আমরা সে কথাগুলো না পাই, তাহলে বাংলার চব্বিশের বাঘের বাচ্চারা তা মেনে নেবে না। ঘোষণাপত্রে ৫৩ বছরে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, তা সংস্কারের ইঙ্গিত থাকতে হবে। আমরা এক নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো শহীদ বা আহতের ওপর চোখ রাঙানো চলবে না। টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি হবে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দ্রুত ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন। সক্রিয় না হলে চব্বিশের বাঘের বাচ্চারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবে। আমাদের আগামীর কাজ হবে শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে এনে বিচার নিশ্চিত করা।  নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জুলাই ঘোষণাপত্র চায়। তারা সংস্কার চায়, নতুন সংবিধান চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করার ঘোষণা দিয়েছে, তখন সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি বিজয়। তিনি বলেন, সরকারকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করতে হবে। আমাদের বলা হয়, নতুন সংবিধান করবে তার ম্যান্ডেট কোথায়? আমরা বলি, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই নতুন সংবিধান হবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই সংবিধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন সংবিধান গঠন এবং আইনসভার সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন তারা। বাংলাদেশের বিচার, সংস্কারসহ নানা আকাঙ্ক্ষা আছে। ছাত্র-জনতা অবশ্যই তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের সামনে খুনি ও তাদের দোসররা এখনও উন্মুক্ত চলাফেরা করছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনও আমাদের বিভিন্ন জায়গা দেখে মুচকি হাসে। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের রক্তের বিচার করতে না পারলে, আমরা কখনও নিজেদের ক্ষমা করতে পারব না। এ সময় তিনি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সরকারের পদক্ষেপের দাবি জানান।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতিতে যাবে। তবে এই নীতির সুযোগ নিয়ে যদি কেউ মাথায় উঠে বসতে চায়, আমরা তাকে মাথা থেকে মাটিতে ফেলে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না। এ সময় তিনি ঢাকার বাইরে সমাবেশে আগতদের ওপর হামলার বিচার চান।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। এ সময় তিনি উপস্থিত জনতার সঙ্গে হাত তুলে জুলাই গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের শপথ করেন। উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা নিয়ে পাড়ায়-পাড়ায় মানুষের কাছে যাবেন। তাদের কথা শুনবেন এবং তাদের কথা তুলে আনবেন। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি জানান নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীনও। তা না হলে ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।   জাগতিক/ আফরোজা    
বছরের প্রথম দিনে বই না দিতে পেরে শিক্ষা উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ
নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিতে না পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বই বিতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বই বিতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নানাভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা বাধা দিয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারা কারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন, কারা আমাদের জন্য বাধা সৃষ্টি করেছেন। তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিতে না পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনটিসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘মাত্র আড়াই মাসে ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছি। ছয় কোটি বই গেছে। চার কোটি ট্রাকে ওঠার অপেক্ষায়। আগামী ৫ জানুয়ারি প্রাথমিক ও দশম শ্রেণির সব বই, ১০ জানুয়ারি মাধ্যমিকের আটটি বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই পাঠানোর চেষ্টা করব।’ গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়। সেইসঙ্গে বইয়ের পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। সেসব কাজ শেষ করে বই ছাপানো শুরু করতে অনেকটাই দেরি হয়।  এবার ৪০ কোটির মতো নতুন বই ছাপাচ্ছে সরকার। নতুন পাঠ্যবইয়ে অনেক বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বা বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে স্থান পেয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তুসহ নতুন কিছু গল্প-কবিতা। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণাসহ ইতিহাসের বেশ কিছু বিষয়েও সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। জাগতিক/ আফরোজা  
১৫ বছর পর এবার হচ্ছে না ‘বই উৎসব’
বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি প্রথমবার বই উৎসব করে তৎকালীন সরকার। এরপর টানা ১৫ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথমদিনে উৎসব করে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উৎফুল্ল হয়েছে শিক্ষার্থীদের মন। দেড় দশকের সেই রীতিতে এবার ভাটা পড়েছে। ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ’ এড়াতে অন্তর্র্বতী সরকার বাতিল করেছে ঘটা করে বই উৎসব। তাছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বই ছাপার কাজ দেরিতে শুরু করায় সব বই ছাপাও শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সব বই হাতে পেতেও আরও একমাস অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বই উৎসব নয়, অনলাইন ভার্সন উদ্বোধনএবার বই উৎসব করছে না সরকার। তবে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, এসসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান প্রমুখ। জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়াতে ঘটা করে বই উৎসব করতে চায় না অন্তর্র্বতী সরকার। অনলাইনে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর সব স্কুলে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।’ ৬ কোটি ৬ লাখ বই স্কুলে পৌঁছানোর ‘চেষ্টা’জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবার বই ছাপানোর কাজ দেরিতে শুরু করেছে। তাছাড়া হঠাৎ শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসায় সংশোধন-পরিমার্জন করতে হয়েছে পাঁচ শতাধিক বই। এ কারণে বিগত বছরগুলোর মতো বছরের প্রথমদিনে সব বই শিক্ষার্থীর হাতে দিতে পারছে না সরকার। আরও পড়ুন১ জানুয়ারি কোন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা কয়টি বই পাবে স্কুলে যাচ্ছে ৬ কোটি পাঠ্যবই, অনলাইনে মিলবে সব বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই দিতে না পারার ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতে কৌশল! পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩ জন। তাদের জন্য ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই। মাধ্যমিক পর্যায়ের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ব্রেইল বই ছাপা হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য ছাপা হবে প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা। এনসিটিবির তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মোট ৬ কোটি ৬ লাখ বই ছাপানো হয়েছে। যার মধ্যে প্রাথমিকের পাঁচটি শ্রেণির ৩ কোটি ৯৮ লাখ। এছাড়া মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ির ২ কোটি ৮ লাখ বই ছাপা হয়েছে। ছাপা শেষ হওয়া ৬ কোটি ৬ লাখ বই বুধবার (১ জানুয়ারি) স্কুলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এনসিটিবি। যদিও শেষ পর্যন্ত সব বই সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে বুধবার ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৬ কোটি বই বিতরণ করা হবে। ৩২৩ উপজেলায় যাবে মাধ্যমিক-ইবতেদায়ির বইমাধ্যমিক ও মাদরাসার ইবতেদায়ির মোট ২ কোটি ৮ লাখ বই ছাপা হয়েছে। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই বেশি ছাপা হয়েছে। এ দুই শ্রেণির দুটি বা তিনটি করে বই ৩২৩ উপজেলায় বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরের মধ্যে পৌঁছে দিতে কাজ করছে এনসিটিবি। ষষ্ঠ ও সপ্তম ছাড়া দশম শ্রেণির কিছু বই ৩৮ জেলার উপজেলাগুলোতে দিতে পারছে এনসিটিবি। অষ্টম ও নবম শ্রেণির কোনো বই ছাপা শেষ হয়নি। সেগুলো বছরের প্রথমদিন স্কুলে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৩২৩ উপজেলার বইয়ের ছাড়পত্র (পিডিআই) দিয়েছি। সব উপজেলায় যে আগামীকাল (বুধবার) যথাসময়ে বই পৌঁছাবে সে নিশ্চয়তা নেই। বইভর্তি ট্রাক যাচ্ছে, সেই ট্রাকে হয়তো একসঙ্গে তিন উপজেলার বই আছে। একটা একটা করে উপজেলায় বই নামিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। কোনো উপজেলায় যদি মধ্যরাতে যায়, তাহলে দেখা যাবে সেখানে বই রিসিভ করার লোক নেই। তখন তো দেরি হবে। সেজন্য স্পষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দু-একদিনের মধ্যে সব উপজেলায় কিছু না কিছু বই চলে যাবে।’ দশম শ্রেণির জন্য সাধারণত বই ছাপানো হয় না। নবম ও দশম শ্রেণিতে একই বই পড়ানো হয়। তবে এবার নবম থেকে দশমে ওঠা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ও নিয়মে পরিবর্তন আসায় তাদের জন্যও বই দিতে হচ্ছে। দশমের জন্য প্রায় ৫ কোটি বই ছাপা হচ্ছে জানিয়ে এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দশমের বইগুলো আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ছাপার কাজ করছি। তবে এ পর্যন্ত খুব বেশি বই ছাপানো যায়নি। এক কোটির মতো বই ছাপানো হয়েছে, সেগুলো ৩৮ জেলায় পাঠানো হয়েছে। বাকি বইগুলো ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৪০০ উপজেলায় যাবে প্রাথমিকের বইমাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকের বই বেশি উপজেলায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। প্রায় ৪০০ উপজেলায় প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির তিনটি করে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির দুটি বা তিনটি করে বই মাত্র ৯ থেকে ১০টি উপজেলায় যেতে পারে। প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ দেখভাল করে এনসিটিবির উৎপাদন শাখা। উৎপাদন নিয়ন্ত্রক আবু নাসের টুকু জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিকের বই প্রায় সব উপজেলার স্কুলে পৌঁছে যাবে। ৪০০ উপজেলায় এরই মধ্যে বই ছাড় করেছি। সেগুলোর বেশিরভাগই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই সেভাবে ছাপা হয়নি। মাত্র ৯-১০টি উপজেলায় আমরা এ দুই শ্রেণির বই দিয়েছি।’ জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘সব উপজেলায় আমরা কিছু না কিছু বই পাঠাচ্ছি। সব স্কুলেও কিছু না কিছু বই পাঠানো হয়েছে। বই একেবারে যায়নি এমন উপজেলা ও স্কুল থাকবে না। হয়তো সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী প্রথমদিনে বই হাতে পাবে না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেবো। জাগতিক/ আফরোজা    
বই বিতরণ শুরু / শিক্ষার্থীরা পুরো সেট পাচ্ছে না সবাই
বছরের প্রথম দিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন বই নিতে ভীড় করছেন শিক্ষার্থিরা। তবে পুরো সেট বই পাচ্ছে না সব শ্রেণীর শিক্ষার্থী। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে সবগুলো বই এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থিরা বাংলা ইংরেজি অঙ্ক বই পেয়েছে।  এনসিটিবি জানিয়েছে, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে সব শিক্ষার্থিকে ধাপে ধাপে বই দেয়া সম্ভব হবে।  আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করা হয়েছে। আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেওয়া এবং মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আনুষঙ্গিক কাজের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়াই বছরের প্রথম দিন সব বই দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানান, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি বই এবং মাধ্যমিকের ৮টি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির সব বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।   এ বছরের জন্য ৪১ কোটি বই ছাপানোর মধ্যে ৬ কোটি বই ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও ৪ কোটি বই বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।   এনসিটিবি চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী বছরগুলোতে বই উৎসব আয়োজনের নামে অর্থের অপচয় হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর সময়মতো বই বিতরণ নিশ্চিত করতেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।     জাগতিক/ আফরোজা      
দেশের সব কোচিং সেন্টার / ২২ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আজ থেকে ২২ দিন সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে ২২ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জানা যায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিজিএমই) মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছেন। সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, সতর্কতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার নির্দেশনার আলোকে ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সব পর্যায়ে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সর্বদা সজাগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানান হলো। জাগতিক/ আফরোজা