logo
  • রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
বসুন্ধরা শুভসংঘ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার উদ্যোগে পিঠা উৎসব
সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ
ঢাকার সরকারি সাত কলেজের জন্য পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে সরকার অবহিত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও চাহিদা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যেহেতু এ বিষয়ে সরকার ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে, তাই নির্দিষ্ট সময় বেঁধে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থাও সরকার বিবেচনা করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে—এমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ না করতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়—এমন যেকোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সাত কলেজের মধ্যে তিতুমীর কলেজের ব্যাপারে বিশেষ আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিতুমীর কলেজকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সরকার সংবেদনশীল বলে আশ্বস্ত করেছে মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "আমরা স্পষ্ট ঘোষণা চাই, শুধু কমিটি গঠন করলেই হবে না, আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।" অন্যদিকে, শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাত কলেজের স্বতন্ত্র প্রশাসন এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। তবে, এটি বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।  
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জাতীয় নাগরিক কমিটিতে শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৪ কর্মকর্তা
আগামী মাসে সাতটি গ্রহ একই রেখায়, বিরল  দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারে পৃথিবী
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি আবেদন শুরু, পরীক্ষা ৩ মে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন আজ (২১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা আবেদনকৃত কলেজে (মোবাইল ব্যাংকিং বা সরাসরি) ২ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ভর্তি নির্দেশিকার সব শর্ত মেনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রমে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে শিক্ষার্থীর এসএসসি জিপিএ’র ৪০% এবং এইচএসসি জিপিএ’র ৬০% যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা তৈরি করে বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে রোল নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস। তবে পরীক্ষার প্রয়োজনে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। আবেদন শুরু: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ আবেদন শেষ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রাথমিক ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ২ মার্চ ২০২৫ ভর্তি পরীক্ষা: ৩ মে ২০২৫ পরীক্ষার কেন্দ্র ও সময়সীমা পরবর্তীতে জানানো হবে। মেধা তালিকা প্রকাশের সময়সূচি ও অন্যান্য তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের নির্দেশিকা অনুসারে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সামগ্রী ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস আনা নিষিদ্ধ। সূত্র: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। জাগতিক /এস আই  
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা / মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কোটা নিয়ে ঢাবিতে বিক্ষোভ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার ব্যবস্থাকে বৈষম্যমূলক দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটার ভিত্তিতে মেধাবীদের সুযোগ বঞ্চিত করা হয়েছে। এক শিক্ষার্থী ৭৩ পেয়ে ভর্তির সুযোগ পাননি, অথচ অন্য একজন ৪১ পেয়ে কোটার কারণে সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বৈষম্যমূলক এ ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন “কোটা না মেধা, মেধা-মেধা”, “মুক্তিযোদ্ধা কোটার কবর দে”, “অন্যায় হবে যতবার, জেগে উঠবো ততবার”। এর আগে, রাত ১০টায় ঢাকা কলেজ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সাইন্সল্যাব হয়ে নীলক্ষেত প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল ও কোটাব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী আসিফ খান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বৈষম্যমূলক এ ব্যবস্থা খুবই দুঃখজনক।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতা জাহিদ আহসান বলেন, “কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। এরপরও এই ব্যবস্থা টিকে থাকায় আমরা হতাশ।” প্রসঙ্গত, রোববার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সরকারি ৩৭টি কলেজে ৫ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হন। ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা কোটার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন।
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল
কৃষি গুচ্ছের নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় সারাদেশে একযোগে ওই ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন গতকাল শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বাকৃবি উপাচার্যের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। সভায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।   তিনি আরও বলেন, সভায় কৃষি গুচ্ছের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩ শতাংশ, প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ এবং উপজাতি বা পার্বত্য অঞ্চলের বাংলাদেশি বা অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। আবেদনের ফি নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা।   ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। ভর্তিপরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে (https://www.acas.edu.bd) পাওয়া যাবে। কৃষিগুচ্ছে থাকা নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। জাগতিক / আফরোজা  
বিশ্বের ৫৫ টি দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য  অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের একটি মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি। দেশটির বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগ এই বৃত্তি প্রদান করে। এই সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, পরিবেশ, সাসটেইনেবিলিটি, বাণিজ্য, পাবলিক পলিসি, অর্থনীতি, গভর্ন্যান্স, অবকাঠামো, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ব্লু ইকোনমি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্বের ৫৫টি দেশের মোট ১ হাজার ৫৫১ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, ২০২৩–২০২৪ প্রোগ্রামে এই বৃত্তির পেছনে অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এই বৃত্তি পেতে হলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে। এর জন্য আইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ প্রত্যেকটি মডিউলে থাকতে হবে সর্বনিম্ন ৬ পয়েন্ট অথবা টোয়েফলে ৮৪ স্কোর প্রমাণস্বরূপ জমা দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের অধীনে শিক্ষার্থীরা যেসব সুবিধা পাবেন তা হলো: সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পড়াশোনার প্রয়োজনীয় বই এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রীর খরচ অস্ট্রেলিয়ায় যাতায়াতের জন্য বিমানের ইকোনমি ক্লাস টিকিট পড়াশোনার সময় বসবাসের খরচ এবং স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা নির্দিষ্ট কোর্সের ক্ষেত্রে ফিল্ডওয়ার্কের সুবিধাও দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের একাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং তাদের নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হতে পারে। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এই বৃত্তি পেতে আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করে আবেদন করতে পারেন। জাগতিক/ আ-রহমান।  
আগামীকাল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা: কঠোর নির্দেশনা জারি
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা: ১. কেন্দ্রে প্রবেশ: কেন্দ্র-ভেন্যুর গেট খুলবে সকাল ৮টায়। সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার হলে প্রবেশের জন্য রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র আনতে হবে। ২. তল্লাশি ব্যবস্থা: ছেলে ও মেয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। কক্ষ পরিদর্শকরা প্রবেশপত্রে থাকা পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে পরিচয় নিশ্চিত করে হলে প্রবেশের অনুমতি দেবেন। ৩. ডিজিটাল ডিভাইস নিষিদ্ধ: মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, হাতঘড়ি, ব্লুটুথ, ইয়ারফোনসহ কোনো ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে হলে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ডিভাইসসহ কোনো পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। ৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থা: কেন্দ্রের আশপাশে থাকা ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা হবে। পরীক্ষার হলে এবং কেন্দ্রের আশপাশে পরীক্ষাসংক্রান্ত গুজব বা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া গেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫.পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা: ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইনভিজিলেটর এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখতে পারবেন না। শুধুমাত্র পরীক্ষাসংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাই কেন্দ্র-ভেন্যুতে প্রবেশ করতে পারবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অসদাচরণ বা প্রতারণার ঘটনা চিহ্নিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পরীক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অভিভাবকদের কেন্দ্রের আশপাশে ভিড় এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। জাগতিক/ এস আই  
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শাটডাউন, চলছেআমরণ অনশন / সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পোস্ট দিচ্ছেন
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে রয়েছেন। এরই মধ্যে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকসহ বিভিন্ন গেটে তালা লাগিয়ে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন। সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পোস্ট দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের গেটে তালা ঝুলছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর), ফার্মেসি, গণিত, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়েছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাতেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। এদিকে, কর্মকর্তারা নিজেদের কাজে ফিরতে না পেরে গেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন। এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের ভাইয়েরা মরে যাবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব, তা হতে পারে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না।” শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে তাদের আন্দোলন চলবে।
মার্চ ফর ইউনিটি / ঘোষণাপত্র ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই চান শিক্ষার্থীরা
মধ্য জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ শীর্ষক সমাবেশে সংগঠন দুটির নেতারা এই দাবি জানান। একই সঙ্গে সমাবেশ থেকে জুলাই গণহত্যার বিচার, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ কয়েক দফা দাবি জানান। এ ছাড়া সেখানে আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত নির্যাতন-নিপীড়ন, খুন, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও লুটপাট এবং জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে দু’দিন ধরে নানা আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়– অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে গত সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠনের পক্ষে শক্তিমত্তারও জানান দেওয়ার পাশাপাশি সংবিধান বাতিলের পক্ষে জনমত তৈরির চিন্তাও ছিল তাদের। সমাবেশের পর নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা জানান, অনুষ্ঠানে অন্তত ৩০ হাজারের মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে ঢাকার বাইরে কয়েক স্থানে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের গাড়িবহরে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে।  বিকেল ৩টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে দলে দলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় পুরো এলাকা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার সবচেয়ে বড় এই সমাবেশ মুখর ছিল স্লোগানে। বিকেল ৪টার দিকে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। শুরুতে আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ছেলের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তিনি দীর্ঘ পাঁচ মাসেও হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। সমাবেশে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আগামীতে যে ঘোষণাপত্র আসবে, সেখানে প্রত্যেক শহীদের রক্তের ফোঁটার কথা উল্লেখ থাকতে হবে। যদি আমরা সে কথাগুলো না পাই, তাহলে বাংলার চব্বিশের বাঘের বাচ্চারা তা মেনে নেবে না। ঘোষণাপত্রে ৫৩ বছরে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, তা সংস্কারের ইঙ্গিত থাকতে হবে। আমরা এক নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো শহীদ বা আহতের ওপর চোখ রাঙানো চলবে না। টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি হবে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দ্রুত ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন। সক্রিয় না হলে চব্বিশের বাঘের বাচ্চারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবে। আমাদের আগামীর কাজ হবে শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে এনে বিচার নিশ্চিত করা।  নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জুলাই ঘোষণাপত্র চায়। তারা সংস্কার চায়, নতুন সংবিধান চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করার ঘোষণা দিয়েছে, তখন সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি বিজয়। তিনি বলেন, সরকারকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করতে হবে। আমাদের বলা হয়, নতুন সংবিধান করবে তার ম্যান্ডেট কোথায়? আমরা বলি, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই নতুন সংবিধান হবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই সংবিধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন সংবিধান গঠন এবং আইনসভার সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন তারা। বাংলাদেশের বিচার, সংস্কারসহ নানা আকাঙ্ক্ষা আছে। ছাত্র-জনতা অবশ্যই তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের সামনে খুনি ও তাদের দোসররা এখনও উন্মুক্ত চলাফেরা করছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনও আমাদের বিভিন্ন জায়গা দেখে মুচকি হাসে। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের রক্তের বিচার করতে না পারলে, আমরা কখনও নিজেদের ক্ষমা করতে পারব না। এ সময় তিনি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সরকারের পদক্ষেপের দাবি জানান।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতিতে যাবে। তবে এই নীতির সুযোগ নিয়ে যদি কেউ মাথায় উঠে বসতে চায়, আমরা তাকে মাথা থেকে মাটিতে ফেলে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না। এ সময় তিনি ঢাকার বাইরে সমাবেশে আগতদের ওপর হামলার বিচার চান।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। এ সময় তিনি উপস্থিত জনতার সঙ্গে হাত তুলে জুলাই গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের শপথ করেন। উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা নিয়ে পাড়ায়-পাড়ায় মানুষের কাছে যাবেন। তাদের কথা শুনবেন এবং তাদের কথা তুলে আনবেন। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি জানান নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীনও। তা না হলে ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।   জাগতিক/ আফরোজা    
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'