logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২.৯৯% বৃদ্ধি
ইপিবির প্রতিবেদন / পোশাক খাতে রপ্তানির ১৯ ভাগ যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের মোট রপ্তানির ৫০ দশমিক ৩৪ শতাংশই গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যার মূল্য ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।   ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মোট ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, স্পেনে ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সে ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।   জাগতিক /আফরোজা 
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন / চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৪.১%
জনগণের উপর ভ্যাট ও শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের
আগামী বাজেটের আকার হতে পারে ৮ লাখ কোটি টাকা: জাহিদ হোসেন
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি যোগাযোগ: নতুন দিগন্তের পথে
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ: গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল ৪ টাকা
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানুয়ারি মাসের জন্য লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম গ্রাহক পর্যায়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মাসের শুরুতে ছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। ফলে দাম বেড়েছে ৪ টাকা। এ দাম বৃদ্ধি মূলত আরোপিত মূল্য সংযোজন করের (মুসক) হার পরিবর্তনের ফলে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিইআরসি। এলপিজি আমদানি, মজুত, এবং পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি এবং নতুন মুসক হার বাস্তবায়নের ফলে কোম্পানি পর্যায়েও কিছুটা ব্যয় বেড়েছে। তবে বিইআরসি আশা করছে, এই পরিবর্তন সিলিন্ডার বিতরণের সময়কার লজিস্টিক সাপোর্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সাধারণ গ্রাহকরা এই মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বৃদ্ধি তাদের সংসার খরচে বাড়তি চাপ ফেলবে। তবে অনেকেই আশা করছেন, ভবিষ্যতে দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে এলপিজি ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি, ব্যবসায়িক এবং শিল্পক্ষেত্রেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এর মূল্য পরিবর্তন সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। এলপিজির নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার ফলে বাজারে এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে আগামী কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ চালানো হবে। জাগতিক /এসআই  
বাড়লো এলপিজির দাম, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৪৫৯ টাকা
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধির পর এবার বাড়ানো হয়েছে এলপিজির দাম। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভ্যাট সমন্বয় করে এই নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। গত ২ জানুয়ারিতে এই সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা, যা জানুয়ারির শুরুতে অপরিবর্তিত ছিল। নতুন দাম অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির প্রতি কেজি গ্যাসের দাম হয়েছে ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা, যা ভ্যাট বৃদ্ধির আগে ছিল ১২১ টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা ৮১ পয়সা। অটো গ্যাসের দামও লিটারপ্রতি বাড়ানো হয়েছে। পূর্বের ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে এখন এটি ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দাম কার্যকর হওয়ার ফলে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির খরচ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রমজান সামনে রেখে টিসিবির পণ্য মজুদ কার্যক্রম জোরদার
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ বাড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভোক্তাদের স্বল্পমূল্যে মানসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গত রমজানে টিসিবির সরবরাহকৃত খেজুরের মান নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়। ভোক্তাদের এ অভিযোগ আমলে নিয়ে এবার মানসম্মত খেজুর সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ন কবির জানান, “এবার ভোক্তাদের জন্য ভালো মানের খেজুর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে এসব পণ্য বাজারে বিক্রি শুরু হবে। টিসিবি কোনো পণ্য আমদানি করার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (PSI) ও টেস্টিং সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে। এ বিষয়ে হুমায়ন কবির বলেন, “আমরা নিশ্চিত করি যে, কোনো নিম্নমানের পণ্য আমদানির অনুমতি না দেওয়া হয়। বিদেশি টেস্টিং কোম্পানির অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য দেশে প্রবেশ করতে পারে না। রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে টিসিবি নিম্নলিখিত পণ্য বিক্রি করবে: ২০ হাজার টন মসুর ডাল ২ কোটি লিটার ভোজ্যতেল ১০ হাজার টন চিনি ১০ হাজার টন ছোলা ১,৫০০ টন খেজুর এই পণ্যগুলো সারাদেশের ৮,২৫০ জন ডিলারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। টিসিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ডিলার ও ভোক্তারা। তারা আশা করছেন, এবার স্বল্পমূল্যে মানসম্মত খেজুর ও অন্যান্য পণ্য পাওয়া যাবে। ভোক্তারা বলছেন, “রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। টিসিবি’র এ উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে এসব পণ্য সরবরাহ করবে, যা রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। টিসিবি’র এই উদ্যোগ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যতম সাশ্রয়ী বাজার ব্যবস্থাপনা হিসেবে টিসিবি ইতোমধ্যে দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এবারও রমজানে টিসিবি’র কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জাগতিক/ এসআই  
সঞ্চয়পত্রের সেবা বন্ধ: গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের কারণে গত তিন দিন ধরে সঞ্চয়পত্রের সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সঞ্চয়পত্র কেনা-বেচা বা মুনাফার টাকা তুলতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সার্ভারের উন্নয়ন কাজ চলছে, যার কারণে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরের পর থেকে সেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়েও সার্ভার সচল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পরিচালক রোকনুজ্জামান বলেন, “সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর বিষয়টি দেখছে। তারা দুপুর ১২টার মধ্যে সেবা চালুর কথা জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি।” অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজটি চলছে এবং খুব শিগগিরই সার্ভার চালু হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেছেন। এদিকে বুধবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই সমস্যার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সঞ্চয়পত্রের সব ধরনের বিক্রি বন্ধ রয়েছে। অনেক গ্রাহক সঞ্চয়পত্র কিনতে গিয়ে ফিরে আসছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গ্রাহক আল আমিন বলেন, “সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম। কিন্তু এসে জানলাম বিক্রি বন্ধ। আগেই জানলে অফিসের কাজ বাদ দিয়ে আসতাম না।” অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এটি কোনো সার্ভার ডাউন সমস্যা নয়। বরং বৃহস্পতিবার থেকে সফটওয়্যার উন্নয়ন কাজ চলছে। গ্রাহকদের এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, খুব দ্রুতই সেবা স্বাভাবিক হবে। জাগতিক/বি
ব্যবসায়ীরা চাপে, বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা
বর্তমানে ব্যবসায়ীরা পরিচালন ব্যয়ের চাপে দিশেহারা। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস এবং উৎপাদন খরচ বাড়ায় পণ্য ও সেবা বিক্রিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই অবস্থায় নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে উদ্যোক্তারা সংকটাপন্ন ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। রবিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করে বর্তমান সমস্যা তুলে ধরেন। কঠিন বাস্তবতার চিত্র বিনিয়োগবান্ধব হতে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বাংলাদেশের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। বিনিয়োগে জটিলতা চরমে—একজন উদ্যোক্তাকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৪১টি ছাড়পত্র নিতে হয়। এর মধ্যেই গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ঋণের উচ্চ সুদহার এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ব্যবসায়ীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, “উৎপাদন ৩০-৪০ শতাংশ কমে গেছে। এলসি জটিলতায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি করা যাচ্ছে না। কর বাড়ানোর চাপ এবং গ্যাসের উচ্চ মূল্য আমাদের ব্যবসা পরিচালনা অসম্ভব করে তুলেছে।” বিনিয়োগে ভাটা ২০২১ সাল থেকে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।     •    ২০২১ সালে এক হাজার ৩৩৪ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল।     •    ২০২৩ সালে তা নেমে আসে ৮৯৭ কোটি ডলারে।     •    চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮৬ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৪৭ কোটি ডলারে নেমেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ কম। ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ব্যবসায়ীরা বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন:     1.    ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার নীতিমালা (এক্সিট পলিসি): সংকটাপন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নীতিমালা চালু করা।     2.    নগদ সহায়তা ত্বরান্বিত করা: রপ্তানিমুখী শিল্পে নগদ সহায়তা দুই-তিন মাসে প্রদানের প্রস্তাব।     3.    ঋণের শর্ত শিথিল করা: ঋণখেলাপির জন্য সময়সীমা ছয় মাসে উন্নীত করা।     4.    সিঙ্গেল বরোয়ার লিমিট বৃদ্ধি: ২৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করা।     5.    রুগ্ণ শিল্পের ঋণ পুনঃতফসিল: ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ১৫ বছরের কিস্তি সুবিধা। গভর্নরের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি কমানো। জুন নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। বেসরকারি খাতে অর্থপ্রবাহ বাড়াতে এবং রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা বৈঠকে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করা না গেলে নতুন বিনিয়োগ সম্ভব নয়। তারা বিদ্যুত ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, করপোরেট বন্ডের উন্নয়ন এবং সিএমএসই খাতের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন। বিনিয়োগ ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে অর্থনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর
গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সকল ধর্ম, ভাষা ও নৃগোষ্ঠীর মানুষ একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে পারে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। কেউ যেন নিজেকে বঞ্চিত বা সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন মনে না করে। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এটিই বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।”   তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের ৩৬ দিন তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। আমরা সেই দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করছি। এই কাজে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।” আদিলুর রহমান খান এ কথা বলেন যে  রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন এবং রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী এবং বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ। উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কাজগুলো এগিয়ে নিতে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।” তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম সৎকারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমবারের মতো একটি স্থায়ী মহাশ্মশানের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। রাজউক ঢাকার উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ কাঠার প্লট বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ করেছে। এই মহাশ্মশান ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ করবে।   জাগতিক/বি  
চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১১ টাকা
ঈশ্বরদীর জয়নগর চালের মোকামে গত এক মাসে কেজি প্রতি চালের দাম ১০ থেকে ১১ টাকা বেড়েছে। বাসমতি চালের ৪০ কেজির বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম দাঁড়িয়েছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। মিনিকেট চালের ৪০ কেজির বস্তার দাম হয়েছে ১৯০০ টাকা, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকায়। আমনের ভরা মৌসুমেও চালের এমন মূল্যবৃদ্ধি জনসাধারণের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলমত হায়দার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চালের দামে এই বৃদ্ধি জনসাধারণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। মিল মালিকদের অভিযোগ: ঈশ্বরদীতে ১৪টি অটো রাইচমিলের মধ্যে মাত্র তিনটি মালিকদের নিজস্ব পরিচালনায় রয়েছে। বাকি মিলগুলো ছোট ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে ভাড়া নিয়ে চাল তৈরি করেন। পাবনা জেলা অটো রাইচমিল মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল সরদার জানান, ধানের দাম মন প্রতি গড়ে ২০০ টাকা বেড়েছে, যা মিল পরিচালনায় কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার নির্ধারিত ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক মিল মালিকই লোকসানের মুখে পড়ছেন। অন্যদিকে ভারত থেকে চাল আমদানিতেও জটিলতা তৈরি হওয়ায় বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বড় কোম্পানির মজুদ ও নিয়ন্ত্রণ: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, বড় কোম্পানিগুলো, যেমন স্কয়ার, প্রাণ গ্রুপ এবং নাসির গ্রুপ বৈশাখ মাসে বিপুল পরিমাণ ধান কিনে মজুদ করেছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে তারা চাল তৈরি করে প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়ে এবং নিজেরাই দামের নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া যারা চাল আমদানি করে তাদের জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) পাওয়াও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এলসি ব্যবস্থাপনায়ও বড় কোম্পানিগুলোর প্রভাব রয়েছে বলে জানা যায়। জনসাধারণের দুর্ভোগ: চালের ব্যবসা বড় কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীরা এখন অনেকটাই কোণঠাসা। এর ফলে বাজারে চালের দাম বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষকে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য করছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য সাংসারিক ব্যয় মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। চালের দাম কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে জনসাধারণের এই ভোগান্তি আরও দীর্ঘায়িত হবে। জাগতিক/আফরোজা