logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ নেওয়ার সময় কর্মকর্তা আটক
দহগ্রাম সীমান্ত / বিজিবি-স্থানীয়দের বাধায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বন্ধ হরেছে বিএসএফ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া প্রতিবাদে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ বন্ধ রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বর্তমানে ওই সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে গত শুক্রবার সকালে সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু করে বিএসএফ। এসময় বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানালে কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ। তবে দুপুর থেকে পুনরায় বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু করে। এসময় বিজিবির সঙ্গে যোগ দেন সীমান্তবাসীরা। তারা একযোগে প্রতিবাদ জানান। এতে বেড়া স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ। এরপর থেকেই ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।   বিজিবি জানায়, এ ঘটনায় শনিবার সরেজমিন পরিদর্শনের কথা ছিল বিজিবি-বিএসএফের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। বিজিবি রংপুর সেক্টরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সাব্রি আহমেদ ও রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আলদীন ঘটনাস্থলে দিনভর উপস্থিত ছিলেন কিন্তু বিএসএফ কর্মকর্তারা আসেননি। পরে শনিবার রাতে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানানো হয় যে, সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করবে না বিএসএফ। বিজিবি জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।  বিজিবি জানায়, ২০১০ সালে দহগ্রামের প্রবেশদ্বার তিনবিঘা করিডোর সংক্রান্ত একটি চুক্তি রয়েছে বিএসএফের সঙ্গে। বিএসএফ এ চুক্তির তথ্য উপস্থাপন করে সীমান্তের শূন্যরেখায় একলাইনের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যুক্তি তুলে ধরে। এ চুক্তি অনুযায়ী শুধু দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় একলাইনের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু ২০২১ সালে বিএসএফ এ চুক্তি অমান্য করেছে। সেসময় তিনবিঘা করিডোর দিয়ে দহগ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে অপটিক্যাল ক্যাবল লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু বিএসএফের বাঁধার কারণে তা সম্ভব হয়নি।  দহগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার কৃষক খবির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএসএফ শুক্রবার সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে চাইলে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয়রা প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। এর ফলে শনিবার থেকে কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ। এখন ওই সীমান্তে মাঝে মাঝে বিএসএফের টহল দেখা যাচ্ছে। বিজিবিও তাদের টহল বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রাও সজাগ রয়েছেন। বিএসএফ পুনরায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে তারা কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন।'  রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক আমির খসরু সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে দহগ্রাম সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দহগ্রাম সীমান্তে উভয় দেশই সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের ভেতর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না।  জাগতিক/ আফরোজা   
লালমনিরহাট সীমান্তে / বিএসএফের বেড়া নির্মাণে বিজিবির বাধা
কুড়িগ্রামে বিএনপির দু’গুরুপে সংঘর্ষে নেতা নিহত
পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি
বেরোবিতে বিজয় দিবসের কনসার্টে গাঁজা সেবন, আটক ৩
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কনসার্ট চলাকালে ক্যাম্পাস থেকে গাঁজা সেবন করার সময় তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে পুলিশের হাতে তাদের সোপর্দ করা হয়। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। কনসার্টে বাংলা রক ব্যান্ড ‘আভাস’-এর সংগীত শিল্পী ও বেরোবি লোক সংগীত ব্যান্ড ‘টঙ্গের গান’-এর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান চলাকালে দর্শক সারির কয়েক জায়গায় বহিরাগত যুবকরা গাঁজা সেবন করতে থাকে ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করা হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠান চলাকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও কয়েকজন বহিগারত যুবককে মাদক সেবনকালে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় পাঠানো হয়। বাকিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে বিজয় দিবসে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আধিক্য, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও মাদক সেবনে বিব্রত বোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বেরোবি শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, এ কনসার্ট হয়ে গেছে মাদকসেবীদের নিরাপদ জায়গা। কনসার্টের অধিকাংশ জায়গায় গাঁজা সেবনের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছিল। শফিকুল ইসলাম শফিক নামের এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ক্যাম্পাসে জঘন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। চারদিকে সিগারেটের ধোঁয়া, গাঁজার গন্ধ ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি বাজে ইশারা চোখে পড়েছে। অনুষ্ঠানে ১০% শিক্ষার্থী ছিল কি না সন্দেহ আছে। বাকিরা বহিরাগত। এসব কর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের মান খারাপ করছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সবুর খান বলেন, অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়েছে মাইকিং করে গাঁজার দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। টোকাই দিয়ে ভরা ছিল। কামরুল হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে গাঁজার গন্ধে থাকতে পারিনি। রুমিনা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ বাজে অভিজ্ঞতা হলো। অনুষ্ঠানের সময় নাচতে নাচতে কয়েকজন যুবক আমাদের দিকে আসছিল। আমাদের নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তাও বলছিল। তাদের কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনে হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালে মাদক সেবনের সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকজন যুবককে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক আজিজ স্বপন বলেন, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও মাদক সেবনের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাগকিত / আফরোজা   
রংপুরে উদ্বোধন হলো ১০ দিনব্যাপি বিসিক উদ্যোক্তা মেলা
রংপুরে দশ দিনব্যাপি বিসিক-বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন উদ্যোক্তা ২০২৪ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। রংপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এর উপস্থিতিতে মেলাটি উদ্বোধন করা হয়।  মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রংপুর বিসিক কার্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। তিনি ফিতা কাটেন এবং বেলুন উড়িয়ে এই মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। রংপুর বিসিক কার্যালয় আয়োজিত মেলাটি ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপি চলমান থাকবে। মেলায় ৯৩টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত।  জাগতিক / আফরোজা     
শেখ মুজিবের চেয়ে তার মেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর -শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ মুজিবের চেয়ে তার মেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর। গত ১৬ বছরে কত হাজার মায়ের বুক তিনি খালি করেছেন তার হিসাব নেই। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ দুই হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও নিখোঁজ করেছেন, কিংবা আয়নাঘরে পাঠিয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছেন। আজ সোমবার (১৬ই ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর মহানগর বিএনপি আয়োজিত একটি বিজয় র‍্যালি নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়।  সথে জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জিয়া মঞ্চ, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাসসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরে বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিবের চেয়ে তার মেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর। হাসিনা আবার না কি ফিরে আসার চিন্তা করছে। আসেন, আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে কত মানুষকে আপনি খুন করেছেন। কত লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার ও কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষকে আপনি ভারতের দাসত্বে রূপান্তর করেছিলেন তারও জবাব দিতে হবে। দুদু বলেন, ১৬ বছরে ইলিয়াস আলীসহ ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম ও নিখোঁজ করা হয়েছে। না হয় আইন-আদালতের মারপ্যাঁচে জীবন শেষ করে দিয়েছে। তিনি বলতেন মুজিব কন্যা পালায় না, কিন্তু এমন দৌড় দিয়েছে বাংলাদেশে এইরকম দৌড় আর কেউ দেয়নি। দুদু আরও বলেন, যার কণ্ঠস্বরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, যিনি কালুরঘাট বেতার থেকে বলেছিলেন ‘আমি মেজর জিয়া বলছি, বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম’। এ ঘোষণার বাইরে কিছু প্রতারক আছে শহীদ জিয়াকে ছোট করার জন্য হান্নান, মান্নানসহ অনেকের নাম সামনে আনা হয়েছে। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম প্রমুখ। জাগতিক/ আফরোজা 
‘১২ বছর ধরে সংস্কার হয়নি’ / রংপুরের বধ্যভূমিগুলো আজও অরক্ষিত রয়েছে
রংপুরের বধ্যভূমিগুলো আজও অরক্ষিত রয়েছে। গত ১২ বছর ধরে এই অঞ্চলের বধ্যভূমিগুলো কোন সংস্কার করা হয়নি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা আলবদর-রাজাকারদের মাধ্যমে রংপুরের স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ অসংখ্য মানুষকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় স্মৃতিবিজড়িত সেসব স্থানের মধ্যে কিছু জায়গা চিহ্নিত করে সেগুলোতে বধ্যভূমি হিসাবে গড়ে তোলা হয়। তবে খুব একটা সুরক্ষিত নয় এসব স্থান। আবার কোথাও কোথাও এখনও চিহ্নিতই হয়নি অনেক জায়গা, যেখানে রয়ে গেছে একাত্তরের শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতি। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এর মধ্যে অনেকগুলো বধ্যভূমি বিলীন হওয়ার পথে। তার ওপর ব্যক্তিমালিকানায় যেসব স্থানে বধ্যভূমি রয়েছে সেগুলো অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে সংস্কার কাজ। সর্বশেষ ২০১২ সালের দিকে রংপুর বিভাগের বধ্যভূমিগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ এসেছিল। কাজ শুরু করার পরপরই সেই বরাদ্দ শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে বরাদ্দ না আসায় অর্থাভাবে রংপুর বিভাগের দুই শতাধিক বধ্যভূমির সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ থমকে আছে। এসব বধ্যভূমি সংস্কারের ফাইল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লাল ফিতায় বন্দি রয়েছে। তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, খুব দ্রুত বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া সরকারি জায়গায় বধ্যভূমি সংস্কারে কোনো জটিলতা না থাকলেও ব্যক্তি মালিকায় যেসব স্থানে বধ্যভূমি রয়েছে সেগুলো অধিগ্রহণের জটিলতায় সংস্কার কাজ আটকে আছে। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর গণহত্যার স্থান তথা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সরকার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১০৮টি বধ্যভূমির ওপর জরিপ চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণগুলো চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে সরকার মাত্র ৫০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে স্থান ও জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। সরকারি জমিতে থাকা বধ্যভূমি সংস্কারে কোনো সমস্যা না থাকলেও অনেক বধ্যভূমি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে। সেসব জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র জানায়, সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া বধ্যভূমির মধ্যে রংপুরের পাঁচটি বধ্যভূমি রয়েছে। কিন্তু এর তিনটি বধ্যভূমি ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় সেসব জমি এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সংস্কারের সিদ্ধান্ত শুধু কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে বাকি দুটির কিছুটা সংস্কার করা হয়। রংপুরে ছোট-বড় অনেক বধ্যভূমি থাকলেও জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৩টি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- রংপুর টাউন হল, দখিগঞ্জ শ্মশান, সাহেবগঞ্জ, দমদমা, বালার খাইল, নব্দীগঞ্জ, লাহিড়ীরহাট, ঘাঘট নদী, নিসবেতগঞ্জ, জাফরগঞ্জ ব্রিজ, বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুর এবং মিঠাপুকুর উপজেলার জয়রাম আনোয়ারা বধ্যভূমি। এছাড়া জানা-অজানার মধ্যে রয়েছে মডার্ন সিনেমা হল, নারিরহাট, শংকরদহ, বৈরাগীগঞ্জ, বলদিপুকুর, দেবীপুর, শিবগঞ্জ এলাকা বধ্যভূমি এবং রংপুর সেনানিবাস গণকবর। রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের ঝড়ূয়ার বিল। সেখানে ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল এক সঙ্গে প্রায় এক হাজার ৫০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করে। আজও সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা ভোলেননি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। ২০১৬ সালে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু বধ্যভূমিটি এখনো রয়েছে অরক্ষিত। রংপুর নগরীর হারাগাছ রোডের পাশে রংপুর জেলখানা থেকে ১৯ জন বন্দী ইপিআর সদস্যকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। সাহেবগঞ্জের মাঝামাঝি একটি স্থানে থাকা বধ্যভূমিতে শহীদদের গণকবর ছিল। ২০২০ সালে সংরক্ষণ কাজের সময়ে সেখান থেকে রক্তমাখা কাপড়সহ হাড়গোড় উদ্ধার হয়। বর্তমানে গণকবর না থাকলেও সেখানে নামফলকসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের হাজীরহাটে জাফরগঞ্জ সেতুতে ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল রংপুর শহরের ব্যবসায়ী অশ্বিনী ঘোষসহ ১৯ জনকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করে। সেখানে আজও কোনো স্মৃতিফলক নির্মিত হয়নি। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না জাফরগঞ্জ ব্রিজ বধ্যভূমির কথা। অন্যদিকে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে তামপাট দমদমা সেতুর কাছে কারমাইকেল কলেজের অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়, তার স্ত্রী মঞ্জু রানী রায়, চিত্তরঞ্জন রায়, রামকৃষ্ণ অধিকারী ও সুনীল চক্রবর্তীসহ অনেক মুক্তিকামী মানুষকে ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। বর্তমানে সেখানে বধ্যভূমির জায়গাটি নির্ধারণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সেটিও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। রংপুর টাউন হল এলাকা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল। ওই স্থানে রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করতো। এর পেছনের একটি কূপে ওই সব লাশ ফেলে দেওয়া হতো। ২০২০ সালে টাউন হল চত্বর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে কূপ থেকে মানুষের বেশ কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেখানে একটি দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।   রংপুর শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানঘাটে ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল রংপুর সেনানিবাসের দুটি মেস থেকে ১১ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দলে দিনেশ চন্দ্র ভৌমিক মন্টু ডাক্তারের সঙ্গে ছিলেন রংপুরের ভাসানী ন্যাপ নেতা ইয়াকুব মাহফুজ আলী। অলৌকিকভাবে সেই দিন বেঁচে যান মন্টু ডাক্তার। এই বধ্যভূমিতে নামফলক ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। তবে শ্মশানের প্রবেশপথের পাশে থাকা স্মৃতিস্তম্ভটি দীর্ঘ দিন ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। এছাড়া রংপুর সদরের রাজেন্দ্রপুরের বালারখাল, লাহিড়ীরহাট, কাউনিয়ার বলভবিসু, গঙ্গাচড়ার শংকরদহসহ বেশ কয়েকটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিফলকও নির্মাণ করা হয়নি। আবার কোথাও কোথাও স্মৃতিফলক থাকলেও তা রয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে। কিছু অনেক বধ্যভূমি আজ দখলের মুখে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, প্রথম দফায় ২০১২ সালের দিকে কিছু টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেলেও পরে বরাদ্দ না আসায় শুরু হওয়ার পরপরই থমকে গেছে সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ। ফলে এখনো বধ্যভূমিগুলো অবহেলায় পড়ে রয়েছে। তা ছাড়া রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুরের বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।   তথ্যানুসারে রংপুর বিভাগে সর্বমোট ৩৯৫টি গণহত্যা হয়েছে। এ গণহত্যার স্থানগুলোতে বা তার আশপাশে গণকবর ও বধ্যভূমি গড়ে উঠেছিল।অনেক বধ্যভূমি উন্মুক্ত ভূমি বা জলাশয় ছিল। ভূমিতে বা জলাশয়ে লাশ পচে-গলে মাটিতে মিশে গেলেও জমি যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য বধ্যভূমিকে জমির মালিকরা খুব একটা স্বীকার করেন না। সঙ্গত কারণে বধ্যভূমিগুলোতে হালচাষ বা অবকাঠামোর আওতায় আসায় বধ্যভূমি হারিয়ে যেতে বসেছে। রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু আক্ষেপ করে বলেন, অনেক বধ্যভূমি আজও সংরক্ষিত হয়নি। এসব বধ্যভূমি চিহ্নিত করে দ্রুত স্মৃতিফলক নির্মাণ করা দরকার। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে বধ্যভূমির সংরক্ষণ জরুরি। রংপুর গণপূর্ত অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন বরাদ্দ না আসায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক বধ্যভূমির জমি ব্যক্তিমালিকায় রয়েছে। ওই সব জমি উদ্ধার করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। তারা বধ্যভূমির জমি উদ্ধার করতে না পারায় সেগুলো চিন্হিত করা যাচ্ছে না। জাগতিক/ আফরোজা 
শীতের দাপটে কোনঠাসা দিনাজপুর
দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। এ জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার এ জেলায় দেশের তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। দিনাজপুরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে এখানকার প্রকৃতির রূপ। সকালে সবুজ ঘাসে জমছে নিশির শিশির। ভোরে কুয়াশাও পড়ছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি,জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচলে বিলম্ব ঘটছে। দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলায় বেশ শীত পড়ে গেছে। রাত থেকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
‘দুর্ভোগে পড়েছে দিনমজুর’ /  দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে
দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। এ জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।  আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার এ জেলায় দেশের তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। দিনাজপুরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে এখানকার প্রকৃতির রূপ। সকালে সবুজ ঘাসে জমছে নিশির শিশির। ভোরে কুয়াশাও পড়ছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি,জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচলে বিলম্ব ঘটছে। দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলায় বেশ শীত পড়ে গেছে। রাত থেকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। জাগতিক/ আফরোজা